আরশাদ আদনানের দুই সিনেমার ভবিষ্যৎ কী
দীর্ঘদিন ধরে টেলিভিশনের জন্য নাটক বানিয়েছেন। এর মাঝে দুটো সিনেমা বানালেও সাফল্য পাননি আরশাদ আদনান। কিন্তু শাকিব খান তাকে নতুন পথ দেখালেন। একই সময়ে শেখ হাসিনার আনুকূল্যে রাষ্ট্রপতির পদ পান বাবা মো. সাহাবুদ্দিন। ‘প্রিয়তমা’ ব্লকবাস্টার হয়ে ষোল কলা পূর্ণ হয়, রাতারাতি এফডিসিকেন্দ্রিক সব চলচ্চিত্রের অনুষ্ঠানে হর্তাকর্তা বনে যান। কিন্তু কারো দিন সব সময় সমান যায় না।
শেখ হাসিনা ভারত পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে কার্যত অন্তরালে চলে গেছেন আরশাদ আদনান। এর আগে যেসব সাংবাদিক তার বন্দনায় পঞ্চমুখ ছিলেন, তারাও একদম নিশ্চুপ। আর ‘প্রিয়তমা’, ‘রাজকুমার’-এর পর থমকে গেল তার প্রযোজনা ক্যারিয়ার।
শাকিব খানের সঙ্গে দুটি সিনেমা করলেও দূরত্ব তৈরি হতে বেশিদিন লাগেনি। শাকিবকে নিয়ে ‘সাহেব’ নামের সিনেমার ঘোষণা দিলেও পরে মত পাল্টান বা শাকিব রাজি হননি। কারণ রায়হান রাফীর ‘তুফান’ নিয়ে কম তো কামান দাগেননি।
এরপর ঠিক হয় শরীফুল রাজ ও কলকাতার নায়িকা ইধিকা পালকে নিয়ে ‘সাহেব’ পরিচালনা করবেন সাইফ চন্দন। নিয়ে গত আগস্টে সিনেমাটির শুটিং শুরুর কথা ছিল। পরে শুটিং পিছিয়ে যায়। এখন শোনা যাচ্ছে, এ ছবিটিও আপাতত হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে ছবির সাইফ চন্দন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার কাছে মনে হচ্ছে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে প্রযোজক ছবিটি আর না–ও করতে পারেন। প্রযোজকের কথায় বুঝতে পারছি, ছবিটি নিয়ে এখন আর তার কোনো আগ্রহ নেই। পরে অন্য কোনো প্রযোজক পেলে এই নামে ছবিটি হতেও পারে। তবে শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে পারছি না।’
শাকিবকে না পেলেও তার অসমাপ্ত ‘আগুন’-এর স্বত্ব কিনে নিয়েছিলেন আরশাদ, যেটির পরিচালক বদিউল আলম খোকন। এখন সেই সিনেমাও একদম পড়ল জলে। এছাড়া শাকিবকে নিয়ে একাধিক সিনেমা ঘোষণাও দিয়েছিলেন আরশাদ আদনান।
প্রিয়তমা ও রাজকুমার পরিচালনা করেছিলেন হিমেল আশরাফ। এ পরিচালকের প্রথম সিনেমা ‘সুলতানা বিবিয়ানা’র প্রযোজকও ছিলেন আরশাদ আদনান। এরপর লম্বা সময় পর আরশাদের আনুকূল্যের দুটি সিনেমা বানান এ পরিচালক। এছাড়া সরকারি অনুদানে শাকিব প্রযোজিত ‘মায়া’ পরিচালনার কথা থাকলেও গত কয়েক বছরে এ সিনেমার কোনো আপডেট নেই। সব মিলিয়ে আরশাদ আদনানের সঙ্গে হিমেল আশরাফের ফিল্ম ক্যারিয়ার অনেকটাই অনিশ্চিত।