আশীর্বাদ মুক্তির আগেই লাভ ৭৫ লাখ টাকা?
সরকারি অনুদানের সিনেমা ব্যবসাসফল নয়, এই দাবির পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। ‘দেবী’র মতো দু-একটি ছবি এখানে নিতান্ত ব্যতিক্রম। সম্প্রতি কলাকুশলীদের সঙ্গে প্রযোজকের বিরোধ নিয়ে আলোচনায় থাকা ‘আশীর্বাদ’ নাকি মুক্তির আগেই ৭৫ লাখ টাকা আয় করেছে।
সম্প্রতি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যম আজকালের খবর জানায়, ৬০ লাখ টাকা অনুদানের মাত্র ২০ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। বাকি ৪০ টাকার পাশাপাশি নানা রাইটস থেকে প্রযোজকের পকেটে যোগ হয়েছে আরো ৩৫ লাখ টাকা!
স্বভাবই এ তথ্যের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক। তবে সংবাদ মাধ্যমটি বলছে, ৬০ লাখ টাকার অনুদানের সিনেমায় একমাত্র মাহি-রোশান ছাড়া তেমন কেউ পারিশ্রমিক পাননি। ছবিতে মাহি পারিশ্রমিক পাঁচ লাখ (পোশাক এক লাখ), রোশান এক লাখ, পরিচালকসহ অন্যান্য টেকনিশিয়ানস দুই লাখ।
মোট ১৪ দিন শুটিং করা হয়েছে। এরমধ্যে ঢাকায় ছয়দিন (দুই লাখ), আটদিন আউট ডোর (৫০ হাজার হিসেবে চার লাখ), আবহ সংগীত, কালার, ভিএফএক্স, ডাবিং এবং গানে খরচ হয়েছে দুই লাখ টাকা। এরমধ্যে দুটি গানে একটিতে পারিশ্রমিক ৩০ হাজার দিলেও ইমন সাহাকে পারিম্রমিক দেননি।
অভিযোগ উঠেছে অটিস্টিক স্কুল দেখাতে মোহাম্মদপুর বসিলায় অবস্থিত শিশু পুর্ণবাসন কেন্দ্র ব্যবহার করা হলেও সেখানে কোনো প্রকারে সম্মানি দেওয়া হয়নি।
আরে বলা হয়,সিনেমাটি ঈগল, বসুন্ধরা এবং নবযাত্রা থেকে ৩৫ লাখ টাকা আয় করেছে। তাতে দেখা গেছে ৭৫ লাখ টাকার ওপর সিনেমাটি মুনাফা করেছে যা এককভাবে সিনেমাটির প্রযোজক জেনিফার ফেরদৌসের পকেটে।
তবে এত সব তথ্য দিলেও এ বিষয়ে প্রযোজকের কোবো মন্তব্য দেয়নি আজকালের খবর।
এ নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, সরকার চাইলে যে কোনো সময় অডিট করা সাপেক্ষে হিসাব চাইতে পারে। শুধু ‘আর্শীবাদ’ নয় ‘জয় বাংলা’ সিনেমার ব্যাপারেও আমাদের কাছে অভিযোগ আছে। সময় মতো তাদের তলব করা হবে।
‘আশীর্বাদ’ সিনেমাটি আগামী ২৬ আগস্ট মুক্তির কথা রয়েছে।