ইতি, তোমারই ঢাকা: গতানুগতিক বাংলা ছবি থেকে ভালো, তবে মধ্যমমানের
ইতি তোমারই ঢাকা আহামরী কিছু না। ১১টা শর্টফিল্ম একসাথে।
সবগুলো ঢাকা কেন্দ্রিক গল্প। পরিচিত অভিনয় শিল্পীরা আছেন। কয়েকটা গল্প মোটামুটি ভাল, কয়েকটা খুব একটা অর্থবহ্ হয়ে উঠেনি। সিনেমাপ্রেমীদের জন্য তেমন কিছু নেই দেখার মত। তবে যারা নাটক বা শর্টফিল্ম দেখতে ভালবাসেন (বাংলাদেশের অনেক দর্শকই নাটক, শর্টফিল্ম দেখেন বলে জানি, আমি দেখিনা, আমার তেমন ভাল লাগেনা) তারা একসঙ্গে অনেকগুলো শর্টফিল্ম দেখে হয়তো খুশি হবেন। আর যারা বড় পর্দায় বিগ ক্যানভাসের সিনেমা দেখতে চান কিংবা যারা সিনেমায় রিয়ালিজম বা দর্শন খোঁজেন তাদের এ ছবি খুব একটা অর্থবহ্ কিছু মনে হবে না।
সিনেমার বিষয়টা মাথা থেকে সরিয়ে শুধু শর্টফিল্মের সংকলন হিসেবে বিচার করলে ”ইতি তোমারি ঢাকা” মোটামুটি ভাল ছবি হয়েছে। আমাদের দেশের সিনেমার যে মান সে হিসেবে দেখলে এটা একেবারে নিম্নমানের কিছু হয়নি। প্রাপ্তি বলতে এইটুকুই।
আমার কাছে কয়েকটা গল্প ভালই লেগেছে। যেমন অর্চিতা স্পর্শিয়া এবং ইয়াশ রোহান (অতিথি চরিত্রে) অভিনীত ”চিয়ার্স”, ইরেশ জাকের অভিনীত ”এম ফর মানি/মার্ডার”, নুহাশ হূমায়ুনের ”ব্যাকগ্রাউন্ড আর্টিস্ট”, মনোজ কুমার (সম্ভবত) অভিনীত ”অবিশ্বাসের ঢাকা” ইত্যাদী। বাকি শর্টফিল্মগুলোও শর্টফিল্ম হিসেবে বিচার করলে মোটামুটি চলে।
অর্থাৎ, ইতি তোমারই ঢাকাকে আমি একটি মধ্যম মানের সিনেমা হিসেবে বিবেচনা করবো। এক টিকিটে ১১টা শর্টফিল্ম দেখতে চাইলে একবার এ ছবি দেখাই যায়।
আবার না দেখলেও তেমন আহামরী কিছু মিস হবে না। কারন ডিজিটাল মিডিয়ার এই যুগে দেশ বিদেশের হাজারো, লাখো ফিল্ম, শর্টফিল্ম ঘরে বসেই ফ্রী অফ কস্ট দেখা যায়। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের এই মধ্যম মানের সিনেমাগুলো আসলে সিনেমা হলে গিয়ে ৩০০-৪০০ টাকা খরচ করে দেখাটা কতটা যুক্তিসঙ্গত বলা মুশকিল।
যদি সময় এবং টাকা পর্যাপ্ত থাকে তাহলে সিনেমা হলে ঘুরতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ইতি তোমারই ঢাকার মত ছবি একবার দেখাই যায়। অন্তত গতানুগতিক বোরিং বাংলা ছবি থেকে ইতি তোমারই ঢাকা সব দিক থেকেই বেটার অপশন।
আমি ছবিটিকে দিবো ৩* বা ৬০% মার্কস্ (গ্রেড – A-)