ঈদের দিন মাছরাঙায় টেলিফিল্ম ‘মেঘের কোলে রোদ’ [ভিডিও]
কুমারিকা ন্যাচারাল বিউটি নিবেদিত ঈদের বিশেষ টেলিফিল্ম ‘মেঘের কোলে রোদ’ ঈদের দিন রাত সাড়ে দশটায় মাছরাঙ্গা টেলিভিশনে প্রচারিত হতে যাচ্ছে। বান্দরবানের মনোরোম লোকেশনে নির্মিত টেলিফিল্মটি যৌথভাবে পরিচালনা করেছেন অঞ্জন সরকার জিমি, ফারহাদ হাসান জিকো ও সুলতান মাহমুদ তানজু ।
মেঘের কোলে রোদ-র গল্প আবর্তিত হয়েছে ইফতি, নাতাশা ও মিথিলার ত্রিভুজ প্রেমের আবর্তনে। নাতাশার সঙ্গে ইফতির পরিচয় ইন্টারনেটের মাধ্যমে। ইফতির প্রেমে পাগল হয়ে বিদেশ ছেড়ে বাংলাদেশে আসে নাতাশা। বাংলাদেশে এসে নাতাশা জানতে পারে ইফতি এখন বান্দরবানে অবস্থান করছে। তখন নাতাশাও বান্দরবানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। অন্যদিকে ছোটবেলা থেকেই ইফতিকে প্রচ-রকমের ভালবাসে মিথিলা। বান্দরবানে ঘটনাক্রমে একসঙ্গে মিলিত হয় ইফতি, মিথিলা ও নাতাশা। শুরু হয় ইফতিকে ঘিরে নাতাশা ও মিথিলার দ্বন্দ্ব। বিভিন্ন নাটকীয় ঘটনার মধ্য দিয়ে একসময় ইফতি ও নাতাশা বুঝতে পারে যে মিথিলা ইফতিকে সবচেয়ে বেশি ভালবাসে। প্রকৃতির মাঝে নাতাশার মানবিক প্রবৃত্তি জেগে ওঠে। মিথিলা ও ইফতির সুখের জন্য সে নিজের ভালবাসাকে বিসর্জন দেয়।
টেলিফিল্মের গল্প অঞ্জন সরকার জিমি-র। বিশ্ববরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের ‘কাঞ্চনজংঘা’ চলচ্চিত্র দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে টেলিফিল্মের গল্প রচনা করতে উৎসাহিত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জিমি। নাটকের অন্যতম পরিচালক সুলতান মাহমুদ মেঘের কোলে রোদ সম্পর্কে বলেন, আমরা যারা শহরে বাস করি ক্রমান্বয়ে তারা যান্ত্রিক জীবনে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছি। আমাদের জীবনে নেমে আসছে হতাশা ও নানা ধরণের মানবিক বৈকল্য। আমাদের এ থেকে মুক্তি দিতে পারে সবুজ প্রকৃতি। তাই আমরা গল্প ও লোকেশন হিসেবে বেছে নিয়েছি প্রকৃতিকে। প্রকৃতির সান্নিধ্যে আমাদের গল্পের মূল চরিত্রগুলো একে অপরকে বুঝতে পারে ভালভাবে।
নাটকটিতে দৃশ্যধারণ করতে গিয়ে ব্যবহার করা হয়েছে তিনটি ক্যামেরা। নাইনটিন ফিল্ম এর কর্ণধার ফরহাদ হাসান জিকো নাটকটিতে পরিচালক ও ডিরেক্টর অব ফটোগ্রাফির দায়িত্ব পালন করেছেন। জিকো বলেন, নাটকটির দৃশ্যধারণ করতে আমরা গিয়েছিলাম বান্দরবানের প্রত্যন্ত পাহাড়ী অঞ্চলে। সেখানকার সবচেয়ে বড় ঝর্ণার কোলে আমরা শ্যুটিং করেছি। প্রকৃতির সৌন্দর্য দর্শকদের মুগ্ধ করবে।
নাটকটির আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো সব চরিত্রগুলোই নতুন। মেয়ে চরিত্রগুলোকে বাছাই করা হয়েছে অনলাইন ভিত্তিক সুন্দরী প্রতিযোগিতা ‘কুমারিকা মিস ন্যাচারাল ২০১৩’ এর মাধ্যমে। আর ছেলে চরিত্র নির্বাচন করা হয়েছে বিশেষ অডিশনের মাধ্যমে। নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছে সুমন, শ্রাবস্তি, রিক্তা, পুতুল, নিধি ও জাসদানী।
ট্রেলার
গানটা দেখে ভালো লাগছিল। তবে ভয়ও পাচ্ছি। ভয়ের কারণ হল – টেলিফিল্মটা দর্শকের ভালো লেগে গেলে যে লোকেশনগুলায় শ্যুট করা হয়েছে সেগুলার বারোটা বেজে যাবে। এমনিতেই হঠাৎ করে পর্যটকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বান্দরবানে আবর্জনার স্তুপ বাড়ছে – নাটক টেলিফিল্মের শ্যুটিং শুরু হলে কি হবে আল্লাহ ভাল জানেন। তাই, আল্লাহ ভরসা। টেলিফিল্মও ভালো হোক, বান্দরবানও ভালো থাকুক।
দেখার অপেক্ষায় রইলাম 🙂
ট্রেলার দেখে বান্দরবান যাবার ইচ্ছে জেগে উঠল। টেলিফিল্মটা দেখার আশা রাখি 🙂
ভালো লেগেছে। 😀