সরকারি নির্দেশে ঈদুল ফিতরে প্রথমবার বন্ধ থাকছে সিনেমা হল
ঈদে সিনেমা হল খোলার পক্ষে ছিলেন মালিকদের একাংশ। প্রযোজকদের অনেকেও এই অবস্থানের পক্ষে ছিলেন। এ নিয়ে এক সরকারি সিদ্ধান্তে এলো বিপরীতে নির্দেশ।
বাংলা ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ১৭ মে প্রদর্শক সমিতির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়োগপ্রাপ্ত প্রশাসক আব্দুল আউয়ালের সঙ্গে আলোচনাও হয়। সরকারের কাছে জানানো হয়, পুরনো ছবি হলেও সিনেমা হল চালু রাখতে চান তারা।
পরদিন সরকারের তরফ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ঈদেও বন্ধ থাকবে প্রেক্ষাগৃহ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রদর্শক সমিতির সাবেক নেতা ও মধুমিতা হলের কর্ণধার ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ।
মধুমিতার অফিসে ১৭ মে’র বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রশাসক আব্দুল আউয়াল, ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ, আতিকুর রহমান লিটন, সিরাজুল ইসলাম বাদল (বর্ষা), পাপ্পু (নন্দিতা হলের ভাড়া মালিক), আলীক আকবর (মনিহারের ভাড়া মালিক), কালাম (এশিয়ার ভাড়া মালিক), মুবিন (চিত্রমহলের ভাড়া হল মালিক), আলীম সরদার (বুকিং এজেন্ট), শহীদুল হক মাস্টার (বুকিং এজেন্ট) এবং অজিৎ নন্দী (ভাড়া হল মালিক)।
তাদের দাবি ছিল, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে হল চালু রাখার।
নওশাদ বলেন, ‘ঈদটাই হলো হল মালিকদের বেঁচে থাকার অবলম্বন। অনেক মালিকই এখন প্রায় নিঃস্ব। তাই আমরা চেয়েছিলাম, পুরনো ছবি হলেও হলটা যেন চালু থাকে। তবে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকারের তরফ থেকে বন্ধ রাখার নির্দেশ এসেছে। আমরা সে সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাই। তাই এবার বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঈদুল ফিতরে সব হল বন্ধ থাকছে।’
বাংলাদেশে প্রথম রোগী শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। শনাক্তের ১৮ দিনের মাথায় ২৬ মার্চ লকডাউন শুরু হয়। কার্যত তখন থেকেই সব হল বন্ধ আছে।