উৎসবের বিচারকও হয়ে ভারতের ভিসা মেলেনি ‘খুফিয়া’ অভিনেত্রীর?
‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিচিতি পেয়েছিলেন আজমেরী হক বাঁধন। সিনেমাটি নিয়ে একের পর এক দেশ ভ্রমণ করেছেন। এরপর ‘খুফিয়া’র মাধ্যমে ভারতে মিলেছে কদর। কিন্তু প্রতিবেশী দেশটিই ভিসা দিচ্ছে না তাকে।
ভারতের সরকারি প্রতিষ্ঠান কর্ণাটক চলচ্চিত্র একাডেমি আয়োজিত ১৫তম বেঙ্গালুরু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের অফিসিয়াল জুরি হওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন অভিনেত্রী ও মডেল আজমেরী হক বাঁধন।
জানা গেছে, বেঙ্গালুরু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের এশিয়া সিনেমা কম্পিটিশন বিভাগের পাঁচ জুরির একজন ছিলেন বাঁধন। ওই বিভাগের চেয়ারপারসন রুশ শিক্ষাবিদ নিনা কোচলেইভা। অন্য জুরিরা হলেন ভারতীয় সাংবাদিক, লেখক ও চলচ্চিত্র পরিচালক এন এস শংকর, স্পেনের চলচ্চিত্র সমালোচক রোশানা জি আলোনসো এবং যুক্তরাজ্যের নির্মাতা ক্যারি রাজন্দর সাহনি।
কিন্তু গত ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে উৎসব শুরু হলেও ভিসা জটিলতার কারণে নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত হতে পারেননি এই অভিনেত্রী। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমের দেয়া খবর অনুযায়ী ৩ মার্চ পর্যন্ত ভিসা পাননি তিনি। ওই সময় বাঁধন বলেন, ‘এ উৎসবে জুরি হিসেবে আমন্ত্রণ পাওয়া অত্যন্ত সম্মানের। ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ভিসার জন্য চেষ্টা করছি। কিন্তু মিলছে না। আমার সঙ্গে আয়োজকরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। সেই সঙ্গে দূতাবাসেও কথা বলছেন তারা। আশা করেছিলাম, গতকাল দুপুরের মধ্যেই ভিসা হাতে পাব। কিন্তু পেলাম না। এখন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেলাম। উৎসব চলবে ৭ মার্চ পর্যন্ত। দেখা যাক কী হয়।’
এর পর ৫ মার্চ পর্যন্ত বাঁধনের পেজে নতুন কোনো তথ্য নেই। সেখানে ভিসা না পাওয়ার পুরোনো খবরের লিংকগুলোই দেখা যাচ্ছে। এছাড়া উৎসবের ফেসবুক পেজ বা ওয়েবসাইটেও এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই।
বিশাল ভরদ্বাজের ‘খুফিয়া’ সিনেমাটি গত বছরের শেষ দিকে মুক্তি পায়। ওই সিনেমায় ভারতের পক্ষে কাজ করা এক বাংলাদেশি স্পাইয়ের চরিত্রে দেখা যায় বাঁধনকে। সিনেমাতে তার অভিনয় অনেকেই পছন্দ করেছেন। ভারতীয় গণমাধ্যমেও সেই তথ্য উঠে এসেছে। তবে বাংলাদেশের অনেকের অভিযোগ, ‘খুফিয়া’য় বাংলাদেশকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। সমকামিতা ও নারীবাদের আড়ালে বাংলাদেশবিরোধী গল্প উঠে এসেছে। খবর অনুযায়ী, চরিত্রটিতে প্রস্তাব পেয়েও ফিরিয়ে দেন বিদ্যা সিনহা মিম ও মেহজাবীন চৌধুরী।
তবে বাঁধন কেন ভিসা পাচ্ছেন না, এ নিয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি। এমনও খবর আছে, ‘খুফিয়া’য় অভিনয়ের পর দুবার আবেদন করেও ভারতের ভিসা পাননি বাঁধন। সেক্ষেত্রে ভারতীয় কোনো প্রজেক্ট এ অভিনেত্রীর হাতছাড়া হয়ে যাওয়াও অসম্ভব নয়।