একটি সিনেমার গল্প, ভালো থেকো কি শুভর ভুল বাছাই ছিল?
# ঢাকা অ্যাটাকের সাফল্যের পর ভালো থেকো ও একটি সিনেমার জন্য সমালোচিত হন শুভ। এ দুটি ছবি বাছাই নিয়ে জবাব দিলেন নায়ক
# জানালেন, অভিনয় আসার আগে যাদের (ঋতুপর্ণা, পূর্ণিমা) সিনেমা হলে দেখেছেন তার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা
# জয়াও ছিলেন শুভর সিনিয়র
‘ঢাকা অ্যাটাক’-এর ক্যারিয়ার পাকাপোক্ত করার জন্য আরিফিন শুভর দরকার ছিল কমপক্ষে আরেকটি প্রেক্ষাগৃহ কাঁপানো সিনেমা। তার বদলে ‘ভালো থেকো’ ও ‘একটি সিনেমার গল্প’ ব্যাক টু ব্যাক দর্শকদের হতাশ করেছে। তবে কি নায়ক ছবি বাছাইয়ে ভুল করেছেন?
অনেকের মন্তব্য ‘একটি সিনেমার গল্প’, ‘ভালো থেকো’ আপনার করা উচিত হয়নি। কী মনে হয়, ছবি বাছাইয়ে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন? এমন প্রশ্নে প্রথম আলোকে শুভ বলেন, প্রথম বিষয়টা সবাইকে বুঝতে হবে, শুভ কী দেখে ছবির কাজ হাতে নেয়। আমি বলতে চাই, পরিচালকের সামর্থ্য দেখেই ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হই। আমি বিশ্বাস করি, চলচ্চিত্র হচ্ছে পরিচালকের মাধ্যম। শিল্পী হচ্ছেন কলাগাছ, শিল্পী হচ্ছেন পুতুল। একজন পরিচালকের সামর্থ্য থাকলে তিনি কলাগাছ দিয়ে সুপার–ডুপারহিট, বাম্পারহিট ছবি উপহার দিতে পারেন। শিল্পী খুব বেশি কিছু হলে সামান্য কিছু যোগ করতে পারেন। ম্যাজিক সৃষ্টি করতে পারেন। তবে মূল ম্যাজিক পরিচালককেই দেখাতে হয়।
তিনি আরো বলেন, দুজন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালকের সঙ্গে আমার কথা হয়। তাদের গল্প শুনে ভালো লাগে। তাদের সিনেমায় অভিনয় করি। বিগত জীবনে তারা কি অসাধারণ সব হিট ছবি দেননি? অবশ্যই দিয়েছেন। আমি বিশ্বাস করেছিলাম, ভালো কিছু হবে, তাই করেছি। এর বেশি তো কিছু বলতে পারব না।
‘আহা রে’ সিনেমায় জুটি বেঁধেছেন যার (ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত) সঙ্গে, তাঁর সিনেমা তো নিশ্চয় স্কুলজীবনে দেখেছেন। ব্যাপারটি কেমন উপভোগ করছেন? শুভর উত্তর, খুবই অদ্ভুত এক অনুভূতি। এটা যে শুধু ঋতুদির ক্ষেত্রে হয়েছে তা কিন্তু নয়। আমার আরেকজন সহশিল্পী, তার ছবি ছোটবেলায় দেখেছি তা নয়। অবশ্য তিনি সিনেমায় এসেছিলেন ছোটবেলায়, আমিও তখন ছোট ছিলাম—তার নাম হচ্ছে পূর্ণিমা। প্রেক্ষাগৃহে এই নায়িকার ‘মনের মাঝে তুমি’ দেখেছি। তিনিও এখন আমার নায়িকা। গতকাল রাতে তো আমরা প্রিমিয়ার শেষে পার্টিতে যাচ্ছিলাম, গাড়িতে ঋতুদি বারবার ঘুরেফিরে আমার অভিনয় নিয়ে কথা বলছিলেন। এমনটা হবে আমি তো কখনো ভাবিনি। জীবনকে দেখার চোখটা থাকতে হয়, মনে আশা রাখতে হয়—কে ভেবেছিল ছোটবেলার সেই ঋতুপর্ণাই আমার প্রশংসা করবেন।
সাধারণত কম বয়সী নায়িকার সঙ্গে নায়কেরা অভিনয় করেন। আপনার ক্ষেত্রে উল্টো। ‘একটি সিনেমার গল্প’, ‘আহা রে’ পরপর দুটি সিনেমায় নায়িকা স্কুলজীবনেরই সেই…। এ নিয়ে শুভ বলেন,
একটা মজার ফ্যাক্ট ধরিয়ে দিতে চাই। পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনি নামের বাণিজ্যিক ঘরাণার যেই ছবিতে আমার যাত্রা শুরু হয়েছিল, সেটিতেও আমার হিরোইন ছিলেন সিনিয়র। জয়া আহসানকে সমসাময়িক দেখানো হলেও তিনি কিন্তু আমার যথেষ্ট সিনিয়র। ওই সিনেমায় নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। পশ্চিমবঙ্গেও তা–ই ঘটল দেখছি। তবে বিষয়গুলো কাকতালীয়। এটা ঠিক যে প্রথাগতভাবে আমার শুরুটা হয় নাই।