একুশে পদকজয়ী অভিনেতা-নির্মাতা মাসুম আজিজ মারা গেছেন
একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনয়শিল্পী, নাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মাসুম আজিজ মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আজ সোমবার দুপুরে পৌনে ৩টার দিকে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ৭০তম জন্মবার্ষিকী পালনের ৫ দিন আগে মারা গেলেন গুণী এ অভিনেতা।
মাসুম আজিজ ক্যানসারের পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে হার্টের সমস্যায়ও ভুগছিলেন। ২০১৭ সালে তাঁর হার্টে চারটি ব্লক ধরা পড়লে অস্ত্রোপচার করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ‘লাইফ সাপোর্টে’ নেওয়া হয়।
মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অভিনেতা মাসুম আজিজের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে রাষ্ট্রীয় ও সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা শেষে পাবনায় গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হবে।
মাসুম আজিজের জন্ম ১৯৫৩ সালের ২২ অক্টোবর হবিগঞ্জ বানিয়াচংয়ে। তাঁর বাবা আখতারুজ্জামান এবং মা সৈয়দা আজিজা সুলতানা। তাদের আদি নিবাস পাবনা।
অভিনয়শিল্পী পরিচয় ছাড়াও মাসুম আজিজ চিত্রনাট্যকার ও নাট্যনির্মাতা হিসেবে পরিচিত। মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে অভিনয়ের খ্যাতি রয়েছে তাঁর। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন তিনি থিয়েটারে কাজের মাধ্যমে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর ১৯৮৫ সালে তিনি প্রথম টিভি নাটকে অভিনয় করেন। হুমায়ূন আহমেদের ‘উড়ে যায় বকপক্ষী’, সালাহউদ্দিন লাভলুর ‘তিন গ্যাদা’সহ অসংখ্য টিভি নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি।
‘ঘানি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ২০০৬ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে রাইসুল ইসলাম আসাদের সঙ্গে যুগ্মভাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন মাসুম আজিজ। ‘গহীনে শব্দ’, ‘এই তো প্রেম’, ‘গাড়িওয়ালা’সহ বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। সরকারি অনুদানে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘সনাতন গল্প’ পরিচালনা করেছেন। ছবিটি ২০১৮ সালে মুক্তি পায়।
২০২২ সালে একুশে পদক পেয়েছেন মাসুম আজিজ।
মৃত্যুকালে মাসুম আজিজ স্ত্রী ও দুই সন্তান রেখে গেছেন।