এক যুগে কোনো ফ্লপ ছিল না রুবেলের
১৯৯৮ সালের কথা, মাসুদ পারভেজের (সোহেল রানা) পরিচালনায় মুক্তি পেয়েছিল রুবেল, চম্পা, মুনমুন ও সোহেল রানা অভিনীত ‘শত্রু সাবধান’(০১/০৫/১৯৯৮) ছবিটি। বরাবরের মতো মনিং শোতে ছবি দেখার অভ্যাসে হাজির হয়েছিলাম ঢাকার কাওরান বাজারের ‘পূর্ণিমা’ সিনেমায়। নিয়ম করে ছবি দেখলেও এই ছবিটির ব্যাপারে আগ্রহটা ছিলো একটু বেশিই। কারণ এতে রুবেল বাংলা তথা উপমহাদেশে প্রথম ‘ড্রাংকেন কুংফু’ দেখাবেন, যা দেখতে আমার মতো আরো বহু দর্শক ভিড় জমিয়েছেন।
এখনও মনে আছে তিল ধরনের জায়গা ছিল না তখন, আর এত দর্শকদের মাঝে ছবিটি দেখতে আসা চার/পাঁচ-জন চীনা নাগরিক আমার চোখ এড়ালো না। বেশ কৌতুহল হলো, সাথে খুব ভালোও লাগলো। সেই কৌতুহল আর ভালো লাগা থেকে তাদের সঙ্গে আসা দেশীয় লোকটির সাথে কথা বলেছিলাম। ‘ভিনদেশি দর্শকরাও আমাদের ছবি দেখে তাহলে’, উত্তরে যা শুনেছিলাম তাতে মনটা ভরে গিয়েছিল সাথে বেশ গর্বও হচ্ছিলো। তাদের বক্তব্যটা এমন ছিল… তারা শুনেছিল এই ছবিটা সম্পূর্ণ মার্শাল আর্ট নির্ভর আর ছবির হিরো রুবেল নাকি দারুণ কুংফু ক্যারাটে জানে, সাথে ‘ড্রাংকেন কুংফু’ নামের নতুন কসরতটি দেখতে তারা এসেছে।
একবার ভাবুন, কেমন গর্ব হয় তখন? যখন মার্শাল আর্টের জনক (চীনা)-এর কোন নাগরিক আমাদের দেশীয় কোন নায়কের প্রশংসা করে। কথাগুলো এ জন্য বললাম একজন রুবেল তার অভিনয় ও অ্যাকশনের স্বকীয়তায় নিজের জনপ্রিয়তাকে কোথায় নিয়ে গিয়েছিলেন তার সামান্য একটি ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করলাম মাত্র।
মাসুম পারভেজ রুবেল, যিনি মাসুদ পারভেজ (সোহেল রানা)-র ছোট ভাই হিসেবেই পরিচিত ছিলেন, তবে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের আগে দর্শকদের কাছে তিনি ছিলেন অচেনা। ছোটবেলা থেকেই একজন অ্যাথলেট আর ফুটবল খেলায় দারুণ পারদর্শী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে পড়াকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় দলের হয়ে ফুটবলও খেলেছেন। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে তিনি মার্শাল আর্টের প্রতি উৎসাহিত হন এবং নিয়মিতভাবে চর্চা করতে থাকেন, ফলশ্রুতিতে মাত্র ২২-বছর বয়সে (১৯৮২ ও ১৯৮৩) সালে বাংলাদেশ ন্যাশনাল কারাতে পরপর দুইবার চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণপদক লাভ করেছিলেন, তবে তখনও তিনি চলচ্চিত্রে পা রাখেননি।
সোহেল রানা যখন শিষ্য শহীদুল ইসলাম খোকন সাহেবের হাতে ‘লড়াকু’ ছবিটি তুলে দেন, সাথে তুলে দেন ছবির নায়ক ছোট ভাই রুবেলকেও। ছোট ভাইয়ের জন্য ছবি নির্মাণের কথা ভাবছিলেন, তারই প্রেক্ষিতে রুবেলকে নায়ক রূপে পর্দায় তুলে ধরার জন্য দায়িত্ব দেন খোকনের হাতে, তিনিও ওস্তাদের দায়িত্বটা পেয়ে ঠিকই কাজে লাগালেন। ফলশ্রুতিতে ওস্তাদ/সাগরেদ মিলে বাংলা চলচ্চিত্রে উপহার দিলেন মার্শাল আর্ট সম্বলিত নতুন ধারার চলচ্চিত্র ‘লড়াকু the fighter’। মূলত এর মাধ্যমেই দর্শকরা দেখতে পায় বাংলাদেশে সম্পূর্ণ মার্শাল আর্ট নির্ভর চলচ্চিত্র, সাথে ইন্ডাস্ট্রি পায় নতুন অ্যাকশন হিরো রুবেলকে। কে জানতো এই তরুণই পরবর্তীতে অ্যাকশনে চলচ্চিত্রে রাজত্ব করবে, যার দীর্ঘ এক যুগেও একটি ফ্লপ ছবি থাকবে না। আর এটিই ছিল তখনকার সময়ের বাস্তব সত্য, যে ছবিটি সবচেয়ে কম আয় করতো তারও প্রযোজক পয়সা উসুল করে নিতেন।
একটু পেছন ফিরে যাওয়া যাক। মধ্য আশির দশকে বাংলা চলচ্চিত্রে মারামারিই বলতে বুঝি ঢিসুম ঢাসুম, সাথে বন্দুক তরবারির ঝনঝনানি। একঘেয়ে এসব মারামারি দেখতে দেখতে যখন আমার মতো বহু দর্শক বিরক্ত তখন দর্শকদের চাহিদায় তুঙ্গে মার্শাল আর্ট নির্ভর চাইনিজ চলচ্চিত্রে। ভিসিআরে দেখা ব্রুসলি, জ্যাকি চ্যানরাই হয়ে ওঠে আমাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। একটা সময় আফসোসও হতো… আমাদের কেউ যদি এমন সব মার্শাল আর্ট দেখাতে পারতো? সম্ভবত তখনই দর্শকদের মনের কথা বুঝতে পেরেছিলেন প্রযোজক অভিনেতা সোহেল রানা। বানালেন ‘লড়াকু’ নামের সেই ছবিটি, যার মাধ্যমে বাংলার দর্শকরা পেল পূর্ণ মার্শাল আর্টের স্বাদ। সমুদ্র উপকূলীয় জেলে সম্প্রদায়দের নিয়ে মৌলিক গল্পের সাথে কুংফু ক্যারাটের চমকে চমকিত করে দিলো ছবিটি। নতুন নায়ক রুবেলের কুংফু ক্যারাটে দর্শকরাও হলো মাতোয়ারা। ভিসিআরের ব্রুসলি, জ্যাকি চ্যানরা যেন নেমে এলো রুবেলের মাঝে। পুরো সিনেমা হল চিৎকার দিয়ে জানান দিলো, ‘এই তো আমাদেরও আছে ব্রুসলি, বাংলার ব্রুসলি রুবেল’। অবাক লাগলেও এটাই সত্যি এরপর থেকে বহুদিন রুবেলকে ‘বাংলার ব্রুসলি’ বলেই ডাকা হয়েছে। সেই শুরু যার পরেরটা শুধুই সাফল্যে গাঁথা, যেই সাফল্যে নামের পাশে যোগ হয়েছিল সুপারস্টারের মতো খেতাব।
মাসুম পারভেজ রুবেলের জন্ম ১৯৬০ সালের ৩ মে বরিশাল বাবুগঞ্জে। পাঁচ ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি চার নম্বর। বড় ভাই সোহেল রানা নায়ক প্রযোজক ও পরিচালক। কামাল পারভেজ ও জুয়েল পারভেজও ছিলেন প্রযোজক, ছোট ভাই নেহাল পারভেজ সপরিবারে আমেরিকা থাকেন। একমাত্র বোনের মেয়ে টিভি পর্দার জনপ্রিয় মুখ তানিয়া আহমেদ।
অনেকেই জানেন না রুবেলকে নায়ক করে প্রথম প্রস্তাব দিয়েছিলেন তখনকার জনপ্রিয় পরিচালক ও কাহিনীকার আল মাসুদ। কিন্তু সোহেল রানা চেয়েছিলেন তার ছবি দিয়েই রুবেল চলচ্চিত্রে আসুক। অনেকে এটাও জানেন না, রুবেল এক সময় সহপরিচালনার পাশাপাশি কিছু ছবিতে গানও গেয়েছেন। যার মধ্যে ‘জীবন নৌকা’ ছবির ‘মেঘ যদি সরে যায়’, ‘বীরপুরুষ’ ছবিতে রুনা লায়লার সাথে ‘হাবা গোবা ও বাবলারে’ ও সর্বশেষ ‘মহাতাণ্ডব’ ছবিতে ডলি সায়ন্তনীর সাথে ডুয়েট গান করেন।
অভিনয়ের পাশাপাশি গড়ে তুলেছিলেন ‘দ্য অ্যাকশন ওরিয়রস’ নামের ফাইটিং গ্রুপ। তার প্রায় সব ছবিতে তিনিই ফাইট ডিরেকশন দিতেন, সেই সাথে দেখাতেন কুংফু ক্যারাটের নিত্য নতুন সব কৌশল, যার মধ্যে মাসকিটো কুংফু (বিপ্লব), উইপিং কুংফু (বাঘের থাবা), ড্রাংকেন কুংফু (শত্রু শাবধান), ব্লাইনড কুংফু (চারিদিকে শত্রু) ও ড্যান্সিং কুংফু (ভন্ড) অন্যতম। এ ছাড়া এমন সব শট দিতেন যা তার কাজের একটি ধারা বহন করতো। বিশেষ করে ‘বিপ্লব’ ছবিতে জ্যান্ত ইদুর কামড়ে ধরা থেকে একই ছবিতে সম্পূর্ণ ন্যাড়া মাথায় হাজির হওয়া, জ্বলন্ত আগুনের ভেতর দিয়ে মোটরবাইক নিয়ে চলে যাওয়া, আবার বিশ ফুট উপর থেকে জাম্প করাসহ আরো অনেক রিস্কি সব শট দিয়ে চরিত্রগুলোকে বাস্তব রূপ দিতেন।
রুবেল কখনই নায়িকা জুটি প্রথায় নিজেকে আবদ্ধ রাখেননি, তারপরও প্রথমদিকে অভিনেত্রী কবিতার সাথে তার একটি জুটি গড়ে উঠলেও পরবর্তীতে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন। করেন প্রায় ৭০এর অধিক নায়িকার সাথে অভিনয়, যা একটি রেকর্ডও। রুবেলের অনান্য উল্লেখ্যযোগ্য নায়িকাদের মধ্যে ছিলেন সিনিয়র সুচরিতা থেকে চম্পা, দিতি, রানী, জিনাত, অরুনা বিশ্বাস, লিমা, মিশেলা, তামান্না, শাহনাজ, সাহারা, মুনমুন, একা, পূর্ণিমা, পপি ও মৌসুমী প্রমুখ।
রুবেলের কথা যখন বলছি তখন আরেকজনের নাম না বললে হয়তো লেখাটি অপূর্ণতা রয়ে যাবে, তিনি পরিচালক শহীদুল ইসলাম খোকন। রুবেলকে প্রতিষ্ঠা করার পেছনে যার অবদান কোনভাবেই অস্বীকার করা যাবে না, দারুন এক জুটি গড়ে উঠেছিলো তাদের। যার শুরুটা সেই ‘লড়াকু’ থেকে, এরপর একে একে করা হয়ে গেছে ২৭টি চলচ্চিত্র, এটিও ছিলো একটি রের্কড। আমার যদি ভুল না হয় তাহলে সম্ভবত পরিচালক ও নায়ক জুটির এতগুলো ছবির সংখ্যা বিশ্বের আর কোন ইন্ডাস্ট্রিতে নেই। তাদের ছবিগুলো হলো— লড়াকু, বীরপুরুষ, বজ্রমুষ্ঠি, উদ্ধার, বিষদাঁত, অকর্মা, বিপ্লব, উত্থান পতন, সন্ত্রাস, টপ রংবাজ, অপহরণ, শত্রু ভয়ংকর, সতর্ক শয়তান, ঘাতক, দুঃসাহস, বিশ্বপ্রেমিক, রাক্ষস, লম্পট, গৃহযুদ্ধ, চারদিকে শত্রু, নরপিশাচ, দিনমজুর, ভণ্ড, পাগলা ঘণ্টা, যোদ্ধা, মুখোশধারী ও চাই ক্ষমতা।
রুবেল খোকনের ছবিতে আরেকটি বৈশিষ্ট ছিলো অ্যাকশন। বিশেষ করে কুংফু ক্যারাটে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ড্যানি সিডাক ও ইলিয়াস কোবরার সাথে রুবেলের অ্যাকশন ছিলো তখনকার দর্শকদের মূল আর্কষণের বিষয়। ছবির শেষ অ্যাকশনে তাদের ফাইট দেখার জন্য মুখিয়ে থাকতো দর্শক। কে কতটা কুংফু দেখাতে পারে এটাই ছিল মূল আগ্রহের বিষয়, আসলেই খুব উপভোগ্য ছিল সেই মুহূর্তগুলো।
রুবেল অভিনয়ের পাশাপাশি চলচ্চিত্র প্রযোজনাতেও আসেন। নব্বই দশকের শেষ ভাগে বড় ভাই মাসুদ পারভেজকে দিয়ে নির্মাণ করেন ‘বাঘের থাবা’ (০৬/০৮/১৯৯৯)। ছবিটি বাম্পারহিট ব্যাবসা করে। পরবর্তীতে পরিচালনাতেও নাম লেখান। প্রথম পরিচালিত ছবি ‘মায়ের জন্য যুদ্ধ’(২৩/০৩/২০০১), ছবিটি ভালো ব্যাবসাও করে, এরপর একে একে নির্মাণ করেন প্রবেশ নিষেধ, বাঘে বাঘে লড়াই, বিচ্ছু বাহিনী, চারিদিকে শত্রু, অন্ধকারে চিতা, টর্নেডো কামালসহ আরো কিছু ছবি। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখ্যযোগ্য ‘বিচ্ছু বাহিনী’ (২৬/১০/২০১১)। নিজেকে সামনে রেখে কিছু ক্ষুদে ছেলে-মেয়েদেরকে দিয়ে কুংফু ক্যারাটের উপস্থাপনে দর্শকদের চমকে দেয়। সে বছর সেরা পাঁচ ব্যবসাসফল ছবিতে জায়গাও করে নেয় ‘বিচ্ছু বাহিনী’।
অনেকেই বলেন রুবেল শুধু মাত্রই অ্যাকশন ক্রেদ্রিক নায়ক, অভিনয়ে তেমন কিছু নেই তার, অ্যাকশন দিয়েই নাকি তিনি উৎরে যান, যা ছিল সম্পূর্ণ ভুল। শুধু অ্যাকশন দিয়ে কেউ তারকা হতে পারে না, অভিনয়টাই মূখ্য বিষয় থাকে। ছবির চলমান দৃশ্যগুলো সবসময়ই অভিনয়কে ফোকাস করে থাকে, সেখানে নায়ক-নায়িকা থেকে শুরু করে সামান্য কোন অভিনেতাও বাদ যান না। যখন অভিনয়ে খাপছাড়া থাকে তখন আপনা আপনিই সেসব ছবিসহ তারকারা মুখ থুবড়ে পড়েন। অভিনয়টা রুবেল ভালো পারেন বলেই আজও জনপ্রিয়, আশি-নব্বই দশকের দর্শকদের কাছে সুপারস্টার হিরো।
অভিনয়ের কথাই যখন আসলো তখন বিশেষভাবে বলতেই হয় কবীর আনোয়ার পরিচালিত ‘বেয়াদব’ (০২/০৯/১৯৯৪)-এর কথা। যেখানে অনেক তারকারা কবীর আনোয়ারদের মতো পরিচালকদের ছবিতে অভিনয় করতে মূখিয়ে থাকতেন সেখানে তিনি বেছে নিয়েছিলেন অ্যাকশনে তূঙ্গে থাকা রুবেলকে। আমি খুব অবাক হয়েছিলাম… কবীর সাহেব যে ধরনের ছবি বানান তাতে একজন রুবেল কি পারবেন মানিয়ে নিতে? কিন্তু ছবিটি দেখার পর সে ধারণা একেবারেই পাল্টে গেলো। গ্রাম ও শহরের প্রেক্ষাপটে প্রেম-বিরহ আর মন্দের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সাহসিকতার চরিত্রে রুবেল যে অভিনয় করেছিল তাতে সে সময় দর্শক মহলে রুবেলকে নিয়ে আলাদাভাবে আলোচনা তৈরি হয়েছিল। অসামান্য অভিনয়ে রুবেল সে সময় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ডিজার্ভ করতো।
মজার কথা হলো ওই একই তারিখে মুক্তি পেয়েছিল এ জে রানা পরিচালিত ‘ডন’। ‘মজার’ এজন্য বললাম, নিয়ম মাফিক অ্যাকশন উপভোগ করার জন্য যখন ‘ডন’-এর পর ’বেয়াদব’ দেখলাম তখন শুধু আফসোসই করলাম, এত চমৎকার একটি ছবি আগে কেন দেখলাম না। রুবেলের অভিনয় সমৃদ্ধ ছবির মধ্যে দুটি ছবির নাম উল্লেখ করতেই হয়,.মালেক আফসারীর ‘ঘৃণা’ (০৯/১২/১৯৯৪) ও আবদুল্লাহ্ আল মামুনের ‘দমকা’ (২৯/১২/১৯৯৫)। রুবেল অভিনয়ে কতটা পারদর্শী ছিলেন এই তিনটি ছবি দেখলেই ধারণাই পাল্টে যাবে।
অসংখ্য জনপ্রিয় চলচ্চিত্রে অভিনয় করা রুবেলকে কখনই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সন্মানিত করা হয়নি, যা আসলেই দুঃখজনক। তবে ২০০০ সালে ‘যোদ্ধা’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে বাচসাস পুরস্কার জেতেন। এটা ঠিক পুরস্কারের ফিতায় রুবেলের মতো তারকাকে কখনই মাপা যাবে না। এত বর্ণিল যার ক্যারিয়ার তার স্থান থাকবে দর্শকদের ভালোবাসায়, আশি ও নব্বই দশকের বাংলা চলচ্চিত্রকে সম্মৃদ্ধ করতে তার অবদান কিছুতেই অস্বীকার করা যাবে না।
রুবেল অভিনীত জনপ্রিয় কিছু গান: বুকে আছে মন (লড়াকু), মন যারে চায় তারে প্রেম শিখাবো (লড়াকু), তুমি যে আমার জীবন (আমিই শাহেনশাহ), আমি অথৈ ঢেউয়ের (বিপ্লব), প্রেমেরই রেলগাড়ী (লিনজা), তোমাকে ভালোবাসি (বীরপুরুষ), যেখানে আমার প্রাণ আছে (বজ্রপাত), প্রেমেরই কাগজে সই করে দাও (বীর বিক্রম), আজ খুশি খুশি (বীর বিক্রম), যদি ভালোবাসো গো (বীর যোদ্ধা) ও জীবনে একজন প্রিয়জন(বজ্রমুষ্ঠি)।