Select Page

এবার ‘জয় বাংলার ধ্বনি’ থেকে সরে দাঁড়ালেন আসাদুজ্জামান নূর

এবার ‘জয় বাংলার ধ্বনি’ থেকে সরে দাঁড়ালেন আসাদুজ্জামান নূর

সরকারি অনুদানে নির্মিতব্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘জয় বাংলার ধ্বনি’ থেকে সরে দাঁড়ালেন আসাদুজ্জামান নূর। প্রায় এক বছর আগে এ সিনেমা থেকে সরে যান সুনেরাহ বিনতে কামাল।

সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী এবং বর্তমানে সংসদ সদস্য শাজাহান খান এই সিনেমার কাহিনি লিখেছেন। এতে তিনিও অভিনয় করবেন। নায়ক হিসেবে আছেন নিরব হোসেন। পরিচালনা করছেন খ ম খুরশেদ।

আসাদুজ্জামান নূরের ছবিটি ছাড়ার বিষয় নিশ্চিত করেছেন পরিচালক। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, শিডিউল জটিলতার কারণে নূর ভাই ছবিটি করছেন না।

অন্যদিকে মহরতের এক বছর পরও শুটিং শুরু করতে না পারা প্রসঙ্গে খ ম খুরশেদ বলেন, অনেকদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছি আমি। কয়েক দিন আগে আমার লিভার অপারেশন হয়েছে। নানা জটিলতার কারণে ছবির শুটিং এখনো শুরু করতে পারিনি। কয়েক দিন আগে মন্ত্রণালয় থেকে সময় নিয়েছি। সুস্থ হওয়ার পর শুটিং শুরু করব।

তবে আসাদুজ্জামান নূর জানিয়েছেন, পাণ্ডুলিপি ভালো না লাগায় সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তার আগে অবশ্য নির্মাতাকে বারবার স্ক্রিপ্ট সংশোধন করতে বলেছিলেন, কিন্তু তা হয়নি। গুণী এই অভিনেতা বললেন, ‘কিছুতেই তাঁকে বোঝাতে পারছিলাম না। একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে জানিয়ে দিলাম, সিনেমাটি আমি করতে পারব না।’

তবে চরিত্রটিতে অভিনয়ের জন্য এখনো নতুন কাউকে নেননি পরিচালক।

গত বছরের ২০ অক্টোবর ‘জয় বাংলার ধ্বনি’র মহরত। সে অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন না সুনেরাহ। চুক্তিবদ্ধ হয়েও মহরতের পর চলচ্চিত্রটি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়ার কারণ হিসেবে তখন তিনি বলেন, ‘যে চিত্রনাট্য এসেছিল সেটা পছন্দ হয়নি। কিন্তু পরিচালক জানিয়েছিলেন আপাতত চুক্তিপত্র সাইন করে রাখা হোক দু-একদিনের মধ্যে চিত্রনাট্য কারেকশন করে দেয়া হবে। তারপর যেটি দেয়া হয় সেটাও আমার পছন্দ হয়নি। এ কারণে পরিচালককে গতকালই না করে দিয়েছি।’

২০২১-২২ অর্থবছরে ‘জয় বাংলার ধ্বনি’ ৬০ লাখ টাকা সরকারি অনুদান পেয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা ও ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে নির্মিত হবে এ সিনেমা। গুঞ্জন রয়েছে, পরিচালক খুরশীদও পরিবর্তন হতে পারে!

এদিকে বর্তমানে আসাদুজ্জামান নূরের হাতে আরো দুটি অনুদানের সিনেমা রয়েছে। জাহিদুর রহিম অঞ্জনের ‘চাঁদের আমবস্যা’ ও রফিকুল আনোয়ার রাসেলের ‘একাত্তর: করতলে ছিন্নমাথা’। সিনেমা দুটি যথাক্রমে সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ ও হাসান আজিজুল হকের লেখা থেকে নির্মিত। এছাড়া ‘গাংচিল’ নামের একটি সিনেমায় ক্যামিও দৃশ্যে দেখা যাবে।


মন্তব্য করুন