এবার থেকে অনুদান ১ কোটি, পাবে ১০টি চলচ্চিত্র
চলচ্চিত্রকর্মীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল অনুদানের পরিমাণ ১ কোটি টাকা করার। অবশেষে এ অর্থবছর থেকে তা বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। ২০১৭ ও ২০১৮ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে তথ্যসচিব এ তথ্য জানান।
রোববার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখান থেকে প্রসঙ্গটি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে সারাবাংলা ডটনেট।
এ প্রসঙ্গে অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ বলেন, ‘আশা করি এখন আমরা আরও ভালো ভালো ছবি পাবো। তবে এখন থেকে অনুদান প্রাপ্ত পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা বাধ্যতামূলক সিনেমা হলে মুক্তি দিতে হবে।’
মন্ত্রী আরও জানান, ৩৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বিএফডিসি ভবন নির্মিত হবে। একই সঙ্গে চলচ্চিত্র প্রযোজকরা যাতে স্বল্প সুদে ঋণ পান এর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। খুব শিগগিরই এর বাস্তবায়ন হবে।
এছাড়া শিল্পীদের যাতে আর দুস্থ না থাকতে হয় এরজন্য ‘শিল্পী কল্যাণ তহবিল’ গঠন প্রক্রিয়াধীন।
এর আগে চলতি বছরের মে মাসে অভিনেত্রী শমী কায়সারকে চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান দেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠলে অনুদান কমিটির চার সদস্য বরেণ্য অভিনেতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, খ্যাতিমান নির্মাতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম ও মতিন রহমান পদত্যাগের ঘোষণা দেন। চারজনের পদত্যাগ ঠেকাতে তথ্যমন্ত্রী তাদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছিলেন। সেই বৈঠকে তারা অনুদানের ছবির সংখ্যা এবং অনুদানের অর্থ বাড়ানোর প্রস্তাব করেন। তথ্যমন্ত্রী তাদের সেই প্রস্তাব রাখার আশ্বাস দেন।
তারই ধারাবাহিকতায় অনুদানের কলেবর বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। অনুদান কমিটির একটি সূত্র সারাবাংলাকে জানান, আগামী বছর থেকে পূর্ণদৈর্ঘ্য শাখায় আটটির জায়গায় ১০টি ছবিকে অনুদান দেওয়া হতে পারে। আর অনুদানের অর্থের পরিমাণ ৬০ লাখ থেক বাড়িয়ে ৭৫ লাখ হতে পারে। তবে অর্থের বিষয়টি নিশ্চিত হতে কিছুটা সময় লাগতে পারে কারণ এর সঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের বিষয় জড়িত।
তবে অনুদানের কলেবর বাড়ার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আটটি সিনেমার জায়গায় মোট ৯টি সিনেমাবে (সবশেষ যুক্ত হয়েছে শমী কায়সারের ছবি) অনুদান দেয় তথ্য মন্ত্রণালয়।