কলকাতায় ‘সাহসী’ ঢাকার নায়িকারা!
অঞ্জু ঘোষ, রোজিনাদের রমরমা দিন শেষ হয়েছে বেশ আগেই। এরপর অনেক কলকাতায় দেখা যায়নি ঢাকার নায়িকাদের। সাম্প্রতিক সময়ে তা আবারো দেখা যাচ্ছে। তবে তারা যে দেশিয় মূলধারার সিনেমায় খুব যে অভিনয় করেছেন তাও নয়। টিভি মিডিয়ার সুশীল ওই সব নায়িকাদের কলকাতায় দেখা যাচ্ছে বেশ ‘সাহসী’ ইমেজে।
বাংলাদেশের প্রশংসিত নায়িকা জয়া আহসান বছরের অনেকটা সময় কাটান কলকাতায়। ২০১৫ সালের দুর্গাপূজায় মুক্তি পায় সৃজিত মুখার্জীর পরিচালনায় জয়া অভিনীত ‘রাজকাহিনী’। সিনেমাটি অন্য অভিনেত্রীদের অনেক খোলামেলা দৃশ্য থাকলেও জয়ার এমন দৃশ্য তুলনামূলকভাবে ছিলই না। তবে একটি দৃশ্যে ও কিছু সংলাপে খানিকটা সাহসী মনে হয়েছে। আর তা নিয়ে তো বাংলাদেশে দারুণ তোলপাড়। কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা তো ছাপিয়ে দিল মৌলবাদীরা দেশছাড়া হুমকি দিয়েছে। তবে পরে বিষয়টি অস্বীকার করেন জয়া। বর্তমানে জয়া অভিনয় করছেন ‘ঈগলের চোখ’ নামের সিনেমা। আর শবর সিরিজ যে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যাপার প্রথম সিনেমার পর সবার জানা হয়ে গেছে।
ঢালিউডের দুই সিনেমার নায়িকা দিলরুবা ইয়াসমিন রুহীকেও দেখা গেছে ‘গ্ল্যামার’ নামের সিনেমায়। ওই সিনেমায় তিনি মডেলের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তবে রুহী অল্প পরিচিত হওয়ায় তাকে নিয়ে তেমন হৈ চৈ হয়নি।
সাম্প্রতিক সময়ে তোলপাড়ের বিষয় হয়ে উঠেছেন সোহনা সাবা। ছোট পর্দার এ অভিনেত্রীকে ৫টি সিনেমায় দেখা গেছে আগে। একধরনের সরল ইমেজ তৈরি করেছিলেন ওই সব সিনেমার মাধ্যমে। কিন্তু কলকাতার ‘ষড়রিপু’তে দেখা গেল তার উল্টো। তা নিয়ে বেশ হৈ চৈ চলছে। কলকাতায় গিয়ে দেশি নায়িকাদের খোলামেলা হওয়া গা সওয়া হয়ে যাচ্ছে— তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
এ ছাড়া ‘পরিচয়’ সিনেমায় নিপুন ও ‘সমাধি’তে অভিনয় করেছেন সিমলা। তবে ওই সব সিনেমায় তাদের ভূমিকা কী জানা যায়নি।
এ দিকে যৌথ প্রযোজনার কিছু সিনেমায় মাহি, নুসরাত ফারিয়া অভিনয় করেছেন। ‘বাণিজ্যিক’ তকমা লাগানো নায়িকাদের নিয়ে দর্শকদের তেমন প্রতিক্রিয়া নেই। অবশ্য তারা জয়া, রুহী বা সাবার মতো সাহসী হওয়া সুযোগও পাচ্ছেন না!