Select Page

‘কাগজের বউ’ প্রসঙ্গে ইমন/ এমন ঘটনা ঘটলে তো বিদেশি ছবি আসবেই

‘কাগজের বউ’ প্রসঙ্গে ইমন/ এমন ঘটনা ঘটলে তো বিদেশি ছবি আসবেই

শুরুতে ওয়েব ফিল্ম হিসেবে ঘোষণা দিলেও গত মাসে সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে চয়নিকা চৌধুরী পরিচালিত ‘কাগজের বউ’। ঘোষণায় মামনুন ইমনকে প্রধান নায়ক ভাবা হলেও মুক্তির সময় তাকে কোথাও দেখা যায়নি। এ বিষয়ে বলতে গিয়ে ওয়েব ফিল্মকে সিনেমা হিসেবে প্রচার করাকে ‘প্রতারণা’ বললেন এ অভিনেতা।

প্রচারে না থাকা প্রসঙ্গে বললেন, “‘কাগজের বউ’ কীভাবে চলচ্চিত্র হিসেবে মুক্তি পেয়েছে, এটাই বুঝিনি। শুটিং শুরুর আগে পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী একদিন আমাকে ফোন করে বললেন, ‘ইমন আমি একটা ওয়েব ফিল্ম বানাব, গল্পটা হচ্ছে এ রকম।’ বললাম, ‘অন্য আর্টিস্ট কে কে থাকবেন?’ তখন তিনি বললেন, ‘পরীমনি।’ ডি এ তায়েবের কথাও বলেছিলেন। তারপর গল্পটা শুনে রাজি হয়েছি। শুটিং করলাম। কী কারণে যেন আমার কিছু অংশের তো শুটিংই হয়নি। একটা সময় শুনি, এটার প্রযোজক ডি এ তায়েব ভাই। পরে অবশ্য এত কিছু আর ভাবিনি। যেহেতু পরীমনির সঙ্গে কাজই হয়নি, গল্পটাও ভালো। ভাবলাম, ওয়েব ফিল্ম হিসেবে একটা কাজ হোক। পরিচালক থেকে শুরু করে আমরা শিল্পীরা সবাই জানি, এটা ওয়েব ফিল্ম। কিন্তু পরে শুনি, ফুটেজ দেখার পর প্রযোজকের মনে হয়েছে, এটা ফিল্ম হয়ে যেতে পারে।”

এখানে মাহিয়া মাহি প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেলেও সংবাদমাধ্যমে পুরোনো খবর অনুযায়ী, শুরুতে এ ছবির নায়িকা ছিলেন মাহি। পরে এমপি মুরাদের ফোনালাপকাণ্ডে ইমনের সম্পৃক্ততা থাকায় ‘অগ্নি’ তারকা এ অভিনেতার সঙ্গে কাজ না করার ঘোষণা দেন।

‘কাগজের বউ’ প্রসঙ্গে ইমন বলেন,’আমি যখন ডাবিং করেছি, তখনো জানি এটা ওয়েব ফিল্ম। শুটিংও করেছি মাত্র তিন দিন। যেখানে একটা ছবির শুটিং করি ২০ থেকে ২৫ দিন। অনেকে বলেন, দেশে বিদেশি ছবি আসবে কেন? কিন্তু এ ধরনের ঘটনা ঘটলে তো বিদেশি ছবি আসবেই।’

শুটিংয়ের সময় আপনি বললেন, এটা ওয়েব ফিল্ম। ভক্তরাও তা-ই জানলেন। অথচ মুক্তির সময় প্রযোজক বলছেন, চলচ্চিত্র। এটা আপনার ভক্তরা কীভাবে নিয়েছেন? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ওয়েব ফিল্মকে সিনেমা বলে চালিয়ে দেওয়া—এটা দর্শকের সঙ্গে স্রেফ প্রতারণা। এভাবে চললে তো ভবিষ্যতে আমি কাজও করব না। কেউ বলবেন এটা ওয়েব ফিল্ম, অথচ পরে শুনব যে সিনেমা! এগুলো খুবই খারাপ উদাহরণ। কারণ, ওয়েব এক জিনিস, চলচ্চিত্র আরেক জিনিস। সব মিলিয়ে বিষয়টা মোটেও ভালো হলো না।’

ইমন জানান, শাকিব খানের সঙ্গে ‘পাসওয়ার্ড’ করার পর সিনেমা নিয়ে তার লক্ষ্য পাল্টেছে। এখন তিনি গল্পনির্ভর কাজ করতে চান। সম্প্রতি একটি প্রসাধনী সংস্থার নির্বাহী হিসেবে যোগ দিয়েছেন তিনি, যেখানে তার ঊর্ধ্বতন হিসেবে আছেন শাকিব খান। এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি যে প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক, সেই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক শাকিব খান। তার সঙ্গে আমার সম্পর্কটা বড় ভাই-ছোট ভাইয়ের মতো। আগে দেখা হলেই চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে কথা বলতাম, এখন দেশ-বিদেশের ব্যবসা নিয়ে আলাপ করি, যখনই দেখা হয়। এই যে গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে গেলাম; লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে শাকিব ভাইয়ের নিউইয়র্কের বাসায় ছুটে গিয়েছিলাম। কয়েক দিন একসঙ্গে থেকেছি, আড্ডা দিয়েছি, ঘুরে বেড়িয়েছি। তাঁর সঙ্গে থেকে কাজ করছি—এটা সত্যিই অন্য রকম অনুভূতি। আমার বিশ্বাস, শাকিব খান ব্যবসাতে সেরা হবেন।’ খবর প্রথম আলো


Leave a reply