Select Page

কাজী মারুফের জানা অজানা তথ্য

কাজী মারুফের জানা অজানা তথ্য

Karunewsw24.comকাউকে নিয়ে বিশদ আকারে লিখতে গেলে অনেক বেশী পরিমাণে জানতে হয়। বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে “কাজী মারুফ” নামটি একটি ইতিহাসই বটে। যার প্রথম ছবিগুলোই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কারে ভূষিত। স্বনামধন্য চিত্রপরিচালক “কাজী হায়াৎ” এর নিজ হাতে গড়া বর্তমান সময়ের চিত্রনায়ক ‘কাজী মারুফ’কে নিয়ে জানাবো আজকে এই ফিচার। তবে তার আগে ‘কাজী হায়াৎ’ সম্পর্কে একটু আলোকপাত করি—

এই বাংলাদেশের বাংলা-ভাষাভাষী চলচ্চিত্রে তিনি এমন একজন চিত্রপরিচালক যিনি কিনা, সমাজের বাস্তবতা গুলো, নোংরা রাজনীতির রোষানলের প্রভাব, সামাজিক প্রেম-ভালবাসা ইত্যাদী গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো খুব সুন্দরভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে পারেন। মহানায়ক মান্নাকে তিনি বাস্তব রুপ দিয়েছিলেন, নতুন নতুন ছক তৈরী করে সঠিক মাপকাঠিতে ব্যবহার করতে পেরেছিলেন আর এ কারণেই তিনি সফল এবং সার্থক  চিত্রপরিচালক হিসেবে বেশ সুনাম ও সুখ্যাতী রয়েছে। এ কথা বলাবাহুল্য যে, ‘মহানায়ক মান্না’কে আর ১০ টা বছরের জন্যও পাওয়া গেলে এক বিপ্লব ঘটে যেত অনায়াসেই। চলচ্চিত্রের দূর্দশা এই কথাটি আর একনায়কতন্রের প্রভাবের কথা কেও ভাবারও সুযোগ পেতো না। ডিজিটাল চলচ্চিত্রের রঙ্গীন অববাহিকায় টাঙ্গাইলের গৌরব এই ‘মহানায়ক মান্না’কে নিয়েই আজকের চিত্র-পরিচালক, চিত্র-প্রযোজকেরা নতুন নতুন খেলায় মাততেন। এককথায় ফিল্ম ইন্ড্রাষ্ট্রীকে কেও ‘দূর্বল’ নামক এই শব্দটি ভাবারও সময় পেতো নাহ। মহানায়ক মান্না’র ক্ষরা কাটিয়ে উঠতেই হিমশিম খাচ্ছে যেন গোটা বাংলা চলচ্চিত্র।

চিত্রনায়ক- কাজী মারুফ

‘কাজী মারুফ’ অন্যরকম একটি নাম, অন্যরকম তার দৃষ্টিভঙ্গি, অন্যরকম তার পরিচয়। চিত্রপরিচালক কাজী হায়াৎ এর সুযোগ্য ছেলে। যিনি কিনা বাংলা চলচ্চিত্রকে আগলে রেখেছেন তার অন্যরকম একটি ছোয়ায়। প্রথম ছবি ইতিহাসেই উজ্জ্বল দীপ্ত ছড়িয়ে নিজের ভেতরের তেজের আগুন জালিয়েছেন দাও দাও করে। আর চলচ্চিত্রকে ভালবেসেই আজও সমানভাবে তার সেই দীপ্তের আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন।

এটা প্রতক্ষ্য যে, তার বাবার হাতে  যে ছবিগুলোর কাজ তিনি করেছেন তাতে পুরো বাংলা’র মানুষের খোড়াক/পিপাসা মিটে গেছে অনায়াসেই। তাকে পাওয়া গেছে “অন্যমানুষ” ছবিটিতে অন্যরকম রুপে। কিন্তু অন্যান্য পরিচালক, প্রযোজক, কিংবা ভিন্ন কোন প্রডাকশনের চলচ্চিত্রের কাজে তিনি তার তেজটা সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলতে পারেন নি, যেমনটা তার বাবা’র ছবিগুলোতে পাওয়া গেছে। “ভিটা নাইরে মাটি নাইরে ভাঙ্গনের ভাইং্যা গেছে ঘর” এই গানটির প্রভাব এখনো সমানভাবেই বিদ্যমান। তিনি “ক্যাপ্টেন মারুফ” রুপে এসে রাফ টাফ গাড়ি ড্রাইফ করেও তেজ টা দেখিয়েছিলেন। ডিজিটালের হাওয়াতে ইফটিজিং, সর্বনাশা ইয়াবা, পিতা পুত্রের গল্প ইত্যাদী ছবিতে বাস্তব বিষয়গুলিই ফুটে উঠেছে। তবে নোংরা ছবির, নোংরা চিত্রনাট্যের রোষানলে তিনিও কিন্তু কম জর্জরিত হন নি।

শূটিং চলাকালীন ষ্টিল পিক

শূটিং চলাকালীন সময়ের ষ্টিল পিক

যাইহোক এই তো সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত ‘মাস্তানি’ ছবিটিও ঠিক তাই। মাঝে মাঝে প্রশ্ন জাগে এই সমস্ত ছবিগুলোর জন্য দায়ভারটা আসলে কার? না চিত্রপরিচালকের? চিত্রনাট্যের পান্ডুলিপি লেখকের? না চিত্রনায়ক বা নায়িকার? দায়ভারটা আসলে পুরো ছবিটির টিমের সবার।

সৌজন্যে-  কারুনিউজ২৪.কম ।


Leave a reply