কাজী মারুফের জানা অজানা তথ্য
কাউকে নিয়ে বিশদ আকারে লিখতে গেলে অনেক বেশী পরিমাণে জানতে হয়। বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে “কাজী মারুফ” নামটি একটি ইতিহাসই বটে। যার প্রথম ছবিগুলোই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কারে ভূষিত। স্বনামধন্য চিত্রপরিচালক “কাজী হায়াৎ” এর নিজ হাতে গড়া বর্তমান সময়ের চিত্রনায়ক ‘কাজী মারুফ’কে নিয়ে জানাবো আজকে এই ফিচার। তবে তার আগে ‘কাজী হায়াৎ’ সম্পর্কে একটু আলোকপাত করি—
এই বাংলাদেশের বাংলা-ভাষাভাষী চলচ্চিত্রে তিনি এমন একজন চিত্রপরিচালক যিনি কিনা, সমাজের বাস্তবতা গুলো, নোংরা রাজনীতির রোষানলের প্রভাব, সামাজিক প্রেম-ভালবাসা ইত্যাদী গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো খুব সুন্দরভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে পারেন। মহানায়ক মান্নাকে তিনি বাস্তব রুপ দিয়েছিলেন, নতুন নতুন ছক তৈরী করে সঠিক মাপকাঠিতে ব্যবহার করতে পেরেছিলেন আর এ কারণেই তিনি সফল এবং সার্থক চিত্রপরিচালক হিসেবে বেশ সুনাম ও সুখ্যাতী রয়েছে। এ কথা বলাবাহুল্য যে, ‘মহানায়ক মান্না’কে আর ১০ টা বছরের জন্যও পাওয়া গেলে এক বিপ্লব ঘটে যেত অনায়াসেই। চলচ্চিত্রের দূর্দশা এই কথাটি আর একনায়কতন্রের প্রভাবের কথা কেও ভাবারও সুযোগ পেতো না। ডিজিটাল চলচ্চিত্রের রঙ্গীন অববাহিকায় টাঙ্গাইলের গৌরব এই ‘মহানায়ক মান্না’কে নিয়েই আজকের চিত্র-পরিচালক, চিত্র-প্রযোজকেরা নতুন নতুন খেলায় মাততেন। এককথায় ফিল্ম ইন্ড্রাষ্ট্রীকে কেও ‘দূর্বল’ নামক এই শব্দটি ভাবারও সময় পেতো নাহ। মহানায়ক মান্না’র ক্ষরা কাটিয়ে উঠতেই হিমশিম খাচ্ছে যেন গোটা বাংলা চলচ্চিত্র।
‘কাজী মারুফ’ অন্যরকম একটি নাম, অন্যরকম তার দৃষ্টিভঙ্গি, অন্যরকম তার পরিচয়। চিত্রপরিচালক কাজী হায়াৎ এর সুযোগ্য ছেলে। যিনি কিনা বাংলা চলচ্চিত্রকে আগলে রেখেছেন তার অন্যরকম একটি ছোয়ায়। প্রথম ছবি ইতিহাসেই উজ্জ্বল দীপ্ত ছড়িয়ে নিজের ভেতরের তেজের আগুন জালিয়েছেন দাও দাও করে। আর চলচ্চিত্রকে ভালবেসেই আজও সমানভাবে তার সেই দীপ্তের আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন।
সৌজন্যে- কারুনিউজ২৪.কম ।