Select Page

কাল থেকে সকল বহিষ্কার তুলে নেন : নায়করাজের স্মরণসভায় বাপ্পা

কাল থেকে সকল বহিষ্কার তুলে নেন : নায়করাজের স্মরণসভায় বাপ্পা

শনিবার বিএফডিসিতে নায়করাজ রাজ্জাকের স্মরণে শোকসভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিবার। সকাল ১১টায় সদ্য প্রয়াত নায়করাজ রাজ্জাককে নিয়ে শোকসভার আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন নায়করাজের বড় ছেলে চিত্রনায়ক বাপ্পারাজ

এ সময় তিনি বলেন, ‘আর এফডিসিতে আসবো না যদি আপনারা সকল নিষেধাজ্ঞা, মামলা তুলে না নেন। হয়তো এটাই হবে আপনাদের সঙ্গে শেষ দেখা। আমিও হয় তো ভুল করে অনেক কথা বলেছি। আমাকে ক্ষমা করে দেবেন। ’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি আজ একটা দাবি নিয়ে এসেছি- আমাদের ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা খুব খারাপ। আমি বাবাকে দাফন করে পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখি শাকিব ও জায়েদ দাঁড়িয়ে আছে। আমার প্রথম কথা ছিল তোমরা দুজন গলাগালি ধরো কোনোরকম বিবাদ করো না। আমাদের ইন্ডাস্ট্রি বাইরের লোকজনের হাতে চলে গিয়েছে। তারা যুদ্ধ লাগিয়ে তালি বাজাচ্ছে। সবার কাছে হাত জোড় করে বলি, আমার বাবা চলে গিয়েছেন। তার সম্মানে এই ব্যান খেলাটা বন্ধ করুন।  আমরা আমাদের পরিবারের সদস্যদের বুকে তুলে নেয়ার অভ্যাসটা গড়ে তুলি। যুদ্ধ করতে হলে পরিবারের বাইরের লোকজনের সঙ্গে করবো।’

‘অনেকেই বলেন শাকিব খানকে ডাকলে আসে না- বেয়াদব ইত্যাদি। সুচন্দা ম্যাডাম যদি শাকিবকে বলেন, তুমি পরিচালক সমিতিতে আসো। শাকিবের বাপের ক্ষমতা নেই না এসে পারবে। এটার জন্য মামলা করার দরকার নেই। উকিল নেটিশ পাঠানোর দরকার হয় না। পুলিশ পাঠানোর দরকার হয় না। যারা বেঁচে আছেন তাদের সম্মান দেবেন। রাজ্জাক সাহেব কখনো বিরোধ করেননি। বহিষ্কার করেননি। তার সম্মানে ক্ষমা করে দেন। আমিও ভুল করেছি। আমাকেও মাফ করে দেন। কাল থেকে সকল বহিষ্কার তুলে নেন। পরিবার কখনো কাউকে বহিষ্কার করে না। শাসন করে।’

শোকসভায় চলচ্চিত্রাঙ্গনের গুণী ব্যক্তিবর্গসহ চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। শোকসভা ছাড়াও দিনব্যাপী নায়করাজকে নিয়ে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

শোকসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সুচন্দা, সুজাতা, রোজিনা, আলমগীর, ফেরদৌস, নূতন, ওমর সানী, মিশা সওদাগর, সম্রাট, আমজাদ হোসেন, এফডিসির এমডি তপন কুমার, শাহনূর, চম্পা, জায়েদ খান, বাপ্পী, প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখার আহমেদ নওশাদ, প্রযোজক খসরু প্রমুখ। তবে আসেননি শাকিব খান।

গত সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ১৩ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন বাংলা চলচ্চিত্রের এ কিংবদন্তি অভিনেতা।

দুই দফা জানাজা শেষে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

নায়করাজ রাজ্জাকের জন্ম ১৯৪২ সালে কলকাতায়। ১৯৬৪ সালে ঢাকায় আসেন তিনি। এরপর জড়িয়ে পড়েন চলচ্চিত্রের সঙ্গে। প্রথমে দু’একটা সিনেমায় ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয় করার পর ৬৭ সালে মুক্তি পায় নায়ক হিসেবে তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘বেহুলা’। সেই থেকে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তার জনপ্রিয়তায় এতটুকুও ভাটা পড়েনি কখনো।

সূত্র : রাইজিং বিডি


Leave a reply