কাহিনি লিখে ২৫ হাজার টাকা পান অনন্য মামুন, পর্দায় নাম ওঠে ডিপজলের!
অনন্য মামুনের দাবি অনুসারে, সিনেমায় কাজ করার জন্য শূন্যহাতে বগুড়া থেকে ঢাকায় এসেছেন। তিন মাস ঘুমিয়েছিলেন ঢাকা পলিটেকনিক্যাল এলাকার যাত্রী ছাউনিতে। দুই দশকের ব্যবধানে তিনি এখন ভারতে সিনেমা বানাচ্ছেন।
ঢালিউডে কাজ পেলেও কাহিনিকার হিসেবে শুরুতে তার নাম পর্দায় যেতো না। অনন্য মামুন জানান, শাকিব খান, রিয়াজ ও পূর্ণিমা অভিনীত ‘বাধা’ সিনেমার কাহিনি লিখে ২৫ হাজার টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন। তবে পর্দায় উঠেনি অনন্য মামুনের নাম। দর্শক দেখেছে- কাহিনি মনোয়ার হোসেন ডিপজল। যিনি আর এ সিনেমার প্রযোজক। খলনায়কের চরিত্রেও অভিনয় করেন।
অনন্য মামুন জানান, ওই ২৫ হাজার টাকা পেয়ে তিনি খুশি হয়েছিলেন খুবই। কারণ কপর্দকশূন্য অবস্থায় এসেছে এত টাকা পাওয়া ছিল অনেক কিছু। ‘বাধা’ সংশ্লিষ্ট সবারই জানা আছে, এ সিনেমার কাহিনি কে লিখেছিলেন।
সাম্প্রতিক বাংলা সিনেমা নিয়ে এক সময়ের হিট খলনায়ক ও পরবর্তী সময়ের নায়ক ডিপজলের অভিযোগের অন্ত নেই। গত কয়েক বছরে হিট হওয়া কোনো সিনেমাই তার মনে ধরেনি। ভারতীয় সিনেমা বিরোধীদের কাতারেও আছেন তিনি। ইধিকা পাল বা দিঘিকে নিয়েও মন্তব্য করে বিতর্কিত তিনি। এমনকি শাকিবের আকাশছোঁয়া পারিশ্রমিক নিয়ে তার অবজ্ঞা রয়েছে। তেমন পরিস্থিতিতে শাকিব খান ও সোনাল চৌনালকে নিয়ে অনন্য মামুনের ‘দরদ’-এর লগ্নি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
এ প্রসঙ্গে এক ইনস্টাগ্রাম ভিডিওতে কথা বলেন ‘নবাব এলএলবি’ সিনেমার পরিচালক। অনন্য মামুন জানান, এখন একক প্রযোজকের সেই সময় নেই। লগ্নিকারের অভাবও নেই। ‘দরদ’-এর বাজেট ১০ কোটি রুপির বেশি। বাংলাদেশের কিবরিয়া ফিল্মস, অ্যাকশনকাট এন্টারটেইনমেন্টের সঙ্গে যুক্ত আছে ভারতের এসকে মুভিজ ও ওয়ান ওয়ার্ল্ড ফিল্মস।
এ নির্মাতা বলেন, এখন সিনেমা বানাতে টাকা লাগে না, লাগে বুদ্ধি। কয়েকটি ভাষায় নির্মিত ‘দরদ’-এর বাজেট ১০ কোটি রুপির বেশি। আর সেই টাকা দিচ্ছে বাংলাদেশ, কলকাতা ও মুম্বাইয়ের চারটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া সিনেমায় এখন প্রযোজনার বাইরেও নানা ধরনের ফাইন্যান্সারের বিষয়গুলো যুক্ত হয়েছে, যা ডিপজল ভাই, আপনাদের সময় ছিল না। দরদ সিনেমায়ও এমন কিছু ফাইন্যান্স কোম্পানি রয়েছে। এবং আমরা ‘দরদ’-এর হিন্দি ভার্সনের ওটিটি স্বত্ব এরই মধ্যে বিক্রি করে দিয়েছি। এগুলো আপনার জানা নেই, ডিপজল ভাই। এভাবেই ইন্টারন্যাশনাল ফিল্মগুলো হচ্ছে।’
হালে ডিপজলের একাধিক সিনেমা মুক্তি পেলেও কোনোটিই ব্যবসায়িকভাবে সফল নয়। কোনো মাল্টিপ্লেক্স নেয়নি ও দর্শক হাসাহাসি করেছেন নির্মাণ নিয়ে। প্রসঙ্গটি তুলে নিজের দিকে তাকাতে বলেন অনন্য মামুন।
অনন্য মামুন বলেন, ‘আপনার শেষ ৬-৭টি ছবির কথাই ধরুন, একটিও কোনো সিনেপ্লেক্স চালায়নি। বিষয়টি কি আপনার আত্মসম্মানে একটু লাগে না? আপনার মনে কি আসে না, যে আপনার সিনেমার মান কেন এত নিচে নেমে গেল। যেটা কেউ দেখছে না, হাসাহাসি করছে। আপনার কোনো সিনেমা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মুক্তি পায় না।’
এ সময় ডিপজল ও অনন্ত জলিলের প্রশংসা করে বলেন, তাদের মন বড়। কোনো কেউ তাদের কাছে গিয়ে খালি হাতে পেরেননি।
ডিপজলকে সারা দুনিয়ার সিনেমার দিকে তাকাতে বলেন। যেভাবে নিজেকে পাল্টাতে বলেন। জানান, ডিপজলকে নিয়ে কমল হাসানের ‘বিক্রম’-এর মতো সিনেমা বানাতে চান। যারা ৫ কোটি বাজেটের সিনেমা দিয়ে শুরু করে এখন ২০০ কোটি বাজেটে সিনেমা বানাচ্ছেন। এছাড়া ‘আম্মাজান’ সিনেমার খলনায়ককে সিনেপ্লেক্সে বিনিয়োগের পরামর্শ দেন।