কী পেলেন সৈকত নাসির
২০১৪ সালে মুক্তি পাওয়া প্রথম চলচ্চিত্র ‘দেশা-দ্য লিডার’ নিয়ে দর্শক-সমালোচকদের নজর কেড়েছিলেন সৈকত নাসির। পলিটিক্যাল থ্রিলারধর্মী ওই সিনেমার পর কলকাতার সুজিত মন্ডলের সঙ্গে যৌথভাবে নির্মাণ করলেন ‘হিরো ৪২০’। যা তার প্রথম সিনেমা থেকে একদম আলাদা।
সম্প্রতি এ বিষয়ে সৈকত নাসিরের মুখোমুখি হয়েছিল অনলাইন পোর্টাল বাংলা মেইল। সেখানে উঠে আছে নানা কথা। সেখান থেকে তুলে আনা কিছু কথায় পাঠক বুঝে নিন ‘হিরো ৪২০’ নির্মাণ করে কী পেলেন তিনি।
দেওয়ান পারভেজের নেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে যৌথ প্রযোজনায় নির্মাণে নিজের প্রাপ্তি সম্পর্কে সৈকত বলেন, ‘এ ছবিতে কাজ করতে গিয়ে প্রথমবারের মতো রামুজিতে শুটিং করেছি। একটা ফিল্ম সিটিতে কী কী থাকা দরকার তা স্বচক্ষে দেখে এসেছি। তাছাড়া একটা টেকনিক্যাল শেয়ারিং তো ছিলোই। যা আগামীতে এককভাবে ছবি নির্মাণের সময় সহায়তা করবে।’
যৌথ প্রযোজনার ছবি নির্মাণ করা নিয়ে আপনার কোন অতৃপ্তি আছে?— এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, “দেখেন একজন পরিচালক দর্শকের কাছে দায়বদ্ধ। তাই কাউকে যদি আপনি বলেন ‘বই পড়’। সে তাতে কোন বিনোদন পাবে না। মানুষ বিনোদন চায়। আর আমাদের এখানে বিনোদনের বড়ই অভাব। যেটা মেটাতে পারে তা হলো নাটক সিনেমা। কিন্তু সেখানে যদি বারবার একই রকম সংলাপ ব্যবহার করা হয় তবে দর্শক বিরক্ত হয়ে যাবে।”
সিনেমাটিতে যৌথ প্রযোজনার নিয়ম মানা নিয়ে কিছু বিতর্ক উঠেছিল। সে সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘যেহেতু যৌথ প্রযোজনায় ছবিটি নির্মাণ করা হয়েছে। তাই জাজ মাল্টিমিডিয়া ও এসকে মুভিজের সিন্ধান্তই এখানে সব। পরিচালকের কিছু করার নেই। তবে এটা ঠিক যৌথ প্রযোজনার নীতিমালা মানা নিয়ে আমিই প্রথম প্রশ্ন তুলেছিলাম। তখন বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এ নিয়ে সংবাদও প্রকাশ হয়েছিল।’
‘হিরো ৪২০’ গল্পে আগেও সিনেমা নির্মাণ করেছিল জাজ। এটা নিয়ে সৈকতের জবাব, ‘এটা একটা রিমেক ছবি। বলতে পারেন অফিসিয়াল রিমেক। প্রচারণার সময়ও আমরা এটা বলেছি। তাই এ নিয়ে জল ঘোলা করার কোন কারণ নেই। তাছাড়া প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এই গল্প নির্বাচন করে আমাকে ছবিটি তৈরি করে দিতে বলেছে। আর আমি আমার কাজ করেছি।’
ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘দুই-তিনটা ছবি হাতে আছে। এগুলো নিয়েই আপাতত ব্যস্ত আছি। আর যৌথ প্রযোজনার ছবি থেকে যা শিখলাম তা এখানে প্রযোগ করতে চাই।’