Select Page

কেন নতুনদের সিনেমা ভালো হয় না?

কেন নতুনদের সিনেমা ভালো হয় না?

‘নতুন ছেলেরা কাজটি গুরুত্ব দিয়ে শুরু করে। কিন্তু কেউ কেউ পারে, কেউ কেউ ব্যর্থ হয়। এর মূল কারণটা বের করেছি। অনেক সময় এরা ধৈর্য ধরে রাখতে পারে না। একটি নাটক হয়তো সে ঠিকঠাক নামিয়ে আনতে পারে। কিন্তু চলচ্চিত্র বিশাল ব্যাপার। এটাই তার আসল পরীক্ষার জায়গা। সত্যি বলতে, চলচ্চিত্রের পঞ্চাশ ভাগ কাজ হওয়ার পর থেকে পরিচালক ও প্রযোজকের ধৈর্য কমতে থাকে। এরপর সংশ্লিষ্টরা কোনোভাবে ছবিটা মুক্তি দিতে পারলেই যেন বাঁচেন! তারা আপস করতে থাকেন। এ কারণেই ছবি শেষ অবধি ভালো হয় না।’

বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোরকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক প্রশ্নে সম্প্রতি কথাগুলো বলেছেন প্রিয়দর্শিনী তারকা মৌসুমী। সাক্ষাৎকারটি নেন গীতিকার ও সাংবাদিকে সোমেশ্বর অলি

নির্মাণে আলোচনায় আসা দুই সিনেমা ‘লিডার’ ও ‘রাত্রির যাত্রী’ প্রসঙ্গে এ তারকা বলেন, “লিডার’-এর গল্পটাতে যথেষ্ট ব্যাপকতা আর কাজ করার সুযোগও ছিলো। পরিচালক হয়তো নানারকম সীমাবদ্ধতার কারণেই পারেননি। এ অবস্থায় তিনি হয়তো ছবিটাকে অন্যরকমভাবে শেষ করছেন। দর্শকের কাছে কতোটা ভালো লাগবে কে জানে! আর ‘রাত্রীর যাত্রী’র পরিচালক চেষ্টা করছেন কোনোভাবে ছবিটার কাজ শেষ হোক। পরে দেখা যাবে নতুন কিছু করতে হবে কি-না।“

চলচ্চিত্রের সার্বিক অবস্থা নিয়ে বলেন, ‘আমরা যারা সিনেমা হলে গিয়ে ছবি দেখছি না, তাদের ভাবা উচিত না কেনো ভালো ছবি হচ্ছে না। ছবি দেখলেই না বোঝা যাবে প্রকৃত অবস্থাটা কী। কিছু ছবি ব্যবসা করছে। ছবি চলছে না- এটা এক ধরনের কথা। আবার ব্যবসাসফল হওয়ার সুযোগ ছিলো কিন্তু ফ্লপ করলো সেটা অন্যকথা। এর নেপথ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকতে পারে, দুর্যোগও থাকতে পারে। ভালো ছবি ব্যর্থ হওয়ার আর তো কোনো কারণ দেখি না! তবে অখাদ্য জিনিস ব্যবসা করবে- এটা আশা করা ঠিকও না। এর মানে, আমাদের দেখা ও বিশ্লেষণের মধ্যে ভুল রয়ে যাচ্ছে। আমাদের এখানে অল্প টাকায় অনেক ভালো ছবি হচ্ছে, ব্যবসা করছে। আবার বড় বাজেটের ছবিও ব্যবসা করছে।’

এখন বড় বাজেটের ছবি মানেই কলকাতার সঙ্গে যৌথ প্রযোজনা। এখানে শিল্পী-কলাকুশলী ভাগাভাগি হচ্ছে। দর্শক হয়তো বাড়ছে, কিন্তু ছবি ব্যর্থও হচ্ছে। এ বিষয়টিকে কীভাবে দেখেন? এ প্রশ্নে মৌসুমী বলেন, ‘কিছু বিষয়ে গোলকধাঁধা থাকা উচিত। এগুলো বড় বড় ব্যাপার। এসব নিয়ে জনসমক্ষে আলোচনা না করাই ভালো। এখন আমার একটা কথার কারণে এসব প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। আমি চাই না একজন প্রযোজকের খারাপ হোক। যৌথ প্রযোজনা কারও কারও শখের ব্যাপার হতে পারে। হয় না? আমি লোকসান দিয়ে হলেও বানাবো (হাসি)। এখানে একটা হিসাব নিশ্চয়ই আছে। দুই দেশের শিল্পীর কারণে অন্তত দুটি মার্কেট তারা পাচ্ছেন। তবে কোনো প্রজেক্ট ব্যর্থ হবে না এমন কেউ বলতে পারে না।’

পুরো সাক্ষাৎকারটি পড়তে ক্লিক করুন।


মন্তব্য করুন