Select Page

কেন সবাই মালয়েশিয়ায় ছুটছেন!

কেন সবাই মালয়েশিয়ায় ছুটছেন!

62628_e3বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে দেশের বাইরের লোকেশানে কাজ করার রেকর্ড পুরোনো হলেও খুব বেশি নয়। তবে ইদানিং, হরহামেশা পরিচালকরা ইউনিট নিয়ে বিদেশে ছুটছেন। বছরখানেক আগেও চাহিদা ছিলো থাইল্যান্ডের। কিন্তু হঠাৎ করে যেন সবাই মালয়েশিয়ামুখী হয়ে গেলেন। কেন?

সবার আগে মালয়েশিয়ায় শুটিং করেন সুচন্দা তার প্রযোজিত ও পরিচালিত ‘সবুজ কোট কালো চশমা’ ছবির। তার অনেক পর নার্গিস আক্তার, অনন্ত জলিলসাফি উদ্দিন সাফি এখানে শুটিং করেন। এ মুহূর্তে দুটি ছবির শুটিং ইউনিট রয়েছে মালয়েশিয়ায়- সাফিউদ্দিন সাফি পরিচালিত ‘ফাঁদ’ এবং মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘আগুনের চোখে প্রেম’।

দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্র শিল্পের কাছে বিদেশে শুটিং মানেই ছিল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক ও সমুদ্র শহর পাতায়া। হঠাৎ করেই নির্মাতারা মালয়েশিয়ায় ছুটছেন কেন এমন প্রশ্ন চলচ্চিত্রে ঘুরপাক খাচ্ছে।

একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, কতিপয় শিল্পীর বিরুদ্ধে পাতায়ার বেশ কিছু হোটেলের রয়েছে  বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিসহ বিস্তর অভিযোগ। অনেক হোটেল তাদেরকে নিষিদ্ধও করেছে। এসব নিয়ে সেখানকার বাঙালি কমিউনিটি জুড়ে রয়েছে চাপা ক্ষোভ। যেসব প্রবাসী বাঙালি এদেশের শুটিং ইউনিটকে সহযোগিতা করে থাকেন তারা এখন প্রথমেই জানতে চান ছবির শিল্পী কারা? অভিযুক্ত কেউ হলে তারা সাহায্য করেন না।

তবে লোকেশান বৈচিত্র্যের কারণে অভিযুক্ত নয় এমন অনেকেই মালয়েশিয়ায় যাচ্ছেন শুটিং নিয়ে। যেমন- শান্তি চৌধুরী পরিচালিত ‘মায়ানগর’, যাদু আজাদ পরিচালিত ‘অপরাধী বাদশা’।

সুত্র: মানবজমিন


৫ Comments

  1. ষাইফ ঋাষেল

    একটি ওপেন সিক্রেট

    যতোজন প্রডাকশনের লোক সিনেমার শ্যুটিং এ যাচ্ছে ফিরে আসছে কতোজন 😉 শুধু সিনেমা নয় নাটকেও সেইম কথা 😀 বুদ্ধিমানদের জন্য ইশারাই যথেষ্ট 😉

    • সওদাগর

      আপনার সন্দেহ সত্য প্রমাণিত হলে তো আরেকটা বড় ধাক্কা অপেক্ষা করছে দেশী সিনেমার জন্য। খুব শিঘ্রি এসব দেশ ভ্যালিড শুটিং ও করতে দিবে না 🙁

    • ষাইফ ঋাষেল

      ইয়ে এইটা সন্দেহ না, এইটা অতীব বাস্তব সত্য :/ একশত পার্সেন্ট নিশ্চয়তা দিতে পারি, চাইলে প্রমাণও, তবে মজার বিষয় এই পদ্ধতিটা অনেক বেশি কমন আমাদের দেশে অন্তত আরো দশ বছর ধরেই, অনেকেই এটা সম্পর্কে জানেন তবে মুখ খুলেন না…..

      উদাহরণ দেই, একটা নাটক দেশে শ্যুট করতে গড়পরতায় ২ লাখ টাকা লাগে দুইদিন শ্যুটিং এ (জটিল হিসাব বাদ দিয়ে বললাম) এবার সেই নাটক চ্যানেলে জমা দেয়া হলে চ্যানেল সাধারণত ২ লাখ ৫০ এর উপরে দিবে না (আবারো বলছি গড় হিসাব, নতুন ডিরেক্টরদের ২ লাখ দেয় কিনা সন্দেহ) এবার আপনি বিদেশের পটভূমিতে নাটক বানিয়ে চ্যানেলে যদি জমা দেন, সেই চ্যানেল সর্বোচ্চো সাড়ে ৩ লাখ থেকে ৪ লাখ হয়তো দিবে, এখন বলেন নাটকটা বিদেশে গিয়ে শ্যুট করে আসতে কতো খরচ হয় ??

  2. দারাশিকো

    ষাইফ ঋাষেলের মন্তব্যটা মোটেই ভুল নয়। সিনেমা নির্মানের ক্ষেত্রে কিছু ফাকঁফোকর আছে যার কারণে সিনেমা নির্মানে বিনিয়োগ হয়। একএকটা ছবি নির্মানে যে পরিমান খরচ হয়, তার পুরোটা শুধু হলে চালিয়ে তুলে আনা কষ্টকর। কিন্তু তারপরও বিনিয়োগ বন্ধ নেই – সমস্যা হল এই ফাঁকফোকরগুলো সম্পর্কে খুব বেশী জানা নেই।

    • ষাইফ ঋাষেল

      সেদিন এক প্রডিউসারের সাথে ক্তহা হলো, যিনি অতি সম্প্রতি বিদেশে একসাথে ৩ টি নাটক বানিয়ে আনতে যাচ্ছেন, তো তখন আমি ব্যপারটা আরো হাতে নাতে আবিষ্কার করি :/

      ডিরেক্টরের কিছু না এটা বা প্রডিউসারেরও, এখানে অনেক থার্ড পার্টী থাকে 🙁

Leave a reply