কড়াকড়িতে শেষ হচ্ছে ‘চন্দ্রাবতী কথা’
২০১৪-১৫ অর্থবছরে সরকারি অনুদান পায় ‘চন্দ্রাবতী কথা’। গত বছরের নভেম্বরেই ছবিটির কাজ শুরু করেন নির্মাতা এন রাশেদ চৌধুরী। প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। সম্পাদনা ও সাউন্ডের কিছু কাজও এগিয়ে রেখেছেন নির্মাতা। এ বর্ষায় শেষ হতে যাচ্ছে বাকি দৃশ্যায়ন।
এ প্রসঙ্গে পরিচালক-প্রযোজক রাশেদ প্রথম আলোকে জানান, ‘চন্দ্রাবতী কথা’র জন্য দুই কিস্তিতে মোট ২০ লাখ টাকা অনুদান পেয়েছেন। সম্প্রতি অনুদান নিয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়। অনুদান পাওয়ার বেশ কয়েক বছর পার হয়ে যাওয়ার পরও যারা ছবির কাজ শেষ করেননি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার।
তিনি আরো বলেন, ‘এটি অবশ্যই সরকারের একটি ভালো উদ্যোগ। তবে আমি মনে করি, এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সরকারকে আরও বেশি বিচার ও পর্যালোচনা করা উচিত। অনুদান দেওয়ার পর সেই ছবির অগ্রগতি সম্পর্কে নিয়মিত যথেষ্ট খোঁজখবর রাখা উচিত। সরকারের পক্ষ থেকে অনুদানপ্রাপ্ত ছবির অগ্রগতি জানানোর জন্য একটি তত্ত্বাবধায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা চন্দ্রাবতী কথা ছবির অগ্রগতির বিষয়ে নিয়মিত এই কমিটিকে জানিয়ে এসেছি।’
রাশেদ জানান, সিনেমাটির কয়েকটি দৃশ্য ধারণ এখনো বাকি। ওই দৃশ্যে হাওরাঞ্চলে বর্ষাকালের আবহ প্রয়োজন বলেই এই সময়টার অপেক্ষায় ছিল পুরো ইউনিট।
বেঙ্গল ক্রিয়েশন ‘চন্দ্রাবতী কথা’র সহ–প্রযোজক। এখানে অভিনয় করেছেন গাজী রাকায়েত, দিলরুবা হোসেন দোয়েল, নওশাবা ও বর্ষণ।