গণ-অর্থায়নের প্রথম ছবি নির্মিত
‘একজন কবির মৃত্যু’ বাংলাদেশে প্রথম গণ-অর্থায়নে নির্মিত চলচ্চিত্র। ক্রাউডফান্ডিং ফিল্ম ইনিসিয়েটিভ বাংলাদেশের উদ্যোগে ছবিটি পরিচালনা করেছেন চলচ্চিত্র পরিচালক আবু সাইয়ীদ। নিরীক্ষাধর্মী এই চলচ্চিত্রটির চিত্রগ্রহণের কাজ ঢাকা ও এর আশেপাশে, ঢাকা থেকে সিরাজগঞ্জ হয়ে বগুড়া জেলার ভাণ্ডারবাড়ি যাওয়ার রাস্তার বিভিন্ন অংশে ও ভাণ্ডারবাড়ি গ্রামে করা হয়। এতে অভিনয় করেছেন জয়ন্ত চটোপাধ্যায় এবং আইরিন সুলতানা। শিগগিরই ছবিটি সেন্সরের জন্য জমা দেওয়া হবে।
আবু সাইয়ীদ আরো জানান, ১০০ টাকা থেকে ৩০ হাজার ১ টাকা পর্যন্ত প্রদানের মধ্য দিয়ে চার হাজারের বেশি ব্যক্তি এই গণ-অর্থায়ন প্রক্রিয়ায় যুক্ত আছেন। ক্রমাগত এই প্রক্রিয়ার প্রসার লাভ ঘটছে।
২০১৫ সালের ৭ অক্টোবর পাবলিক লাইব্রেরি সেমিনার হলে এক সংবাদ সম্মেলন ও সেমিনারের মধ্য দিয়ে গণ-অর্থায়নে চলচ্চিত্র নির্মাণের যাত্রা শুরু হয়। ওইদিন আবু সাইয়ীদ গণ-অর্থায়নে চলচ্চিত্র নির্মাণের বিস্তারিত তুলে ধরেন এবং মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন গবেষক-প্রাবন্ধিক আহমদ মাযহার ও সভাপতিত্ব করেন প্রাবন্ধিক মফিদুল হক।
এরপর প্রথম গণ-অর্থায়নে চলচ্চিত্র নির্মাণের উদ্যোগ হিসেবে ‘সংযোগ’-এর চিত্রগ্রহণ শুরু হয়। ছবিটির ২৫ ভাগ চিত্রগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এর আগেই শেষ হলো ‘একজন কবির মৃত্যু’।
ছবির গল্পে দেখা যাবে, ঢাকা শহরের আকাশে রাতে কোনো তারা দেখা যায় না। তারার সাথে যোগাযোগের বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এক ধূসর আবরণ, যার মূল কারণ প্রাকৃতিক দূষণ। প্রকৃতিপ্রেমী কবি আবিদ হায়দার এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মর্মাহত। দূষণমুক্ত প্রকৃতি তার কাম্য। তিনি প্রাণ ভরে রাতের আকাশের তারা উপভোগ করতে চান। তিনি মনে করেন এটি তার এবং তার প্রজন্মের অধিকার। তাই মৃত্যুর পরেও এই দাবি থেকে সরে আসতে চান না তিনি।