‘গলুই’ আয় করেছে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা
গলুই’ প্রযোজকের দাবি তার ছবি সিনেমা হল থেকে তুলে নিয়েছে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। তবে বাজেট বিবেচনায় এখনো লগ্নি তুলে আনতে পারেনি সরকারি অনুদানের ছবিটি।
প্রযোজক পরিবেশক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, ৬ মাসে মুক্তি পেয়েছে ১৮টি চলচ্চিত্র। কোনোটিই প্রেক্ষাগৃহ থেকে বাজেটের পুরোটা তুলতে পারেনি। এর মধ্যে রয়েছে ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাওয়া শাকিব খানের দুই ছবিও।
‘গলুই’ প্রযোজকের দাবি তার ছবি সিনেমা হল থেকে তুলে নিয়েছে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা। তবে বাজেট বিবেচনায় এখনো লগ্নি তুলে আনতে পারেনি সরকারি অনুদানের ছবিটি।
প্রযোজক খোরশেদ আলম ছবির ব্যবসা নিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ছবির খরচ আড়াই কোটি, তার মধ্যে ৬০ লাখ টাকা অনুদান। এটুকু বলতে পারি, আমার খরচ উঠছে। কেবল তো দুই মাস চলছে। এরপর অনেক সময় পড়ে আছে। এখন যুক্তরাষ্ট্রে চলছে। প্রেক্ষাগৃহ থেকে ভালো অঙ্কের অর্থ পেয়েছি। বিদেশের প্রেক্ষাগৃহে ভালো চললে লভ্যাংশ শেয়ারিংও হবে। অস্ট্রেলিয়া থেকেও যোগাযোগ করেছে। বর্তমান বাজার থেকে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৯০ লাখ তুলতে পেরেছি, এটাই অনেক বড় ঘটনা। আমি খুবই আশাবাদী। ১০০–এর কম হল নিয়ে এতটা আসতে পেরেছি, এটাই অনেক বড় বিষয়। হল বাড়লে এই সংকট থাকবে না।’
‘গলুই’ পরিচালনা করেছেন এসএ হক অলিক। শাকিবের বিপরীতে অভিনয় করেছেন পূজা চেরি।
ঈদের মুক্তি পাওয়া শাকিবের অন্য ছবি ‘বিদ্রোহী’ শতাধিক হল পায়। কিন্তু প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার তরফে জানানো হয়, ছবিটি আড়াই কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে।
প্রথম আলোর প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, প্রযোজক ও পরিচালকদের কেউ মনে করছেন, প্রেক্ষাগৃহে দর্শকবিমুখতার অন্যতম কারণ করোনা। তবে প্রেক্ষাগৃহে ব্যবসায়িক সফলতা পুরোপুরি না পেলেও এসব ছবি ডিজিটাল, টিভি, অ্যাপস, এয়ারলাইনস স্বত্ব ও বিদেশি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির দরজা খুলে যাওয়ায় ব্যবসায়িক ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই মনে করছেন তারা। এই মুহূর্তে সফলতা না পেলেও কয়েক মাসের মধ্যে সব প্রযোজকই লভ্যাংশও ঘরে তুলবেন বলে আশা করছেন।
*ঢালিউডে চলচ্চিত্রের ব্যবসা জানার নিয়মিত ও নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্র বা বক্সঅফিস নেই। সেক্ষেত্রে বিষয়টি যাচাইযোগ্য নয়।