‘ঘুড্ডি’র সিক্যুয়েল ‘ক্রান্তিকাল’, ভিলেন আফজাল হোসেন
সম্প্রতি দুটি ওয়েব সিরিজে নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করে আলোচিত হয়েছে আফজাল হোসেন। এবার বড়পর্দায় ভিলেন হচ্ছেন তিনি। তাও আবার ‘ঘুড্ডি’র সিক্যুয়াল ‘ক্রান্তিকাল’-এ।
সৈয়দ সালাহউদ্দীন জাকী পরিচালিত ছবিটির ঘোষণা দেওয়া হয় ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি।
মূল ছবির চল্লিশ বছর পর নির্মিত হচ্ছে ‘ক্রান্তিকাল’। পরিচালক জাকী বলেন, আমার নতুন ছবিতে জুটিবদ্ধ হয়ে কাজ করেছেন শরীফ সিরাজ ও সামিরা খান মাহি। তারা কেমন করলো, সেটা দেখে দর্শকই বলতে পারবেন! এ সিনেমায় অন্যতম চমক বলা যায় আফজাল হোসেন, তাকে দর্শক নেতিবাচক চরিত্রে দেখতে পারবেন।
সম্প্রতি সম্পন্ন হয়েছে সিনেমার গান রেকর্ডিং। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, নন্দীতা ইয়াসমিনের কণ্ঠে রবীন্দ্র সংগীত ছাড়াও ‘ক্রান্তিকাল’ সিনেমায় থাকছে ‘ঘুড্ডি’ সিনেমার বিখ্যাত গান ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’। এছাড়াও ছবির গল্পের সাথে প্রাসঙ্গিক রেখে নিজেই দুটি গান লিখেছেন জাকি।
এ বিষয়ে সালাহউদ্দীন জাকি বলেন, ছবির প্রয়োজনে দুটি গানের কথাও আমি লিখেছি। ‘আমি কার কাছে রেখে যাবো আমার ঠিকানা/পদ্মা মেঘনা যমুনা।’- এমন কথার গানটি মূলত পুরো ছবির থিম সং। এটাতে কণ্ঠ দিয়েছেন কোনাল ও নেহাল। অন্য আরেকটি গান লিখেছি, যেটা পলিটিক্যাল ব্যঙ্গ। গানের কথা এরকম, ‘বেল পাকিলে কাউয়ার আশা কী!’ এই গানটিতেও কণ্ঠ দিয়েছেন কোনাল, সঙ্গে আছেন লীনু বিল্লাহ।
‘ঘুড্ডি’র শেষ থেকে ‘ক্রান্তিকাল’ শুরু হবে। ৮০ দশক থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত এর গল্প হবে। তবে আলাদা কোন সেট নির্মাণ করা হবে না এতে। ছবিটি প্রযোজনা করছেন জসীম আহমেদ।
ছবিটি কি পলিটিক্যাল? উত্তরে জাকি বলেন, ‘আমাদের আশেপাশের কোন বিষয়টা পলিটিক্যাল বিষয় না। একটু আধটু খোঁচা তো থাকবেই।
‘ঘুড্ডি’ মুক্তি পায় ১৯৮০ সালের ১৯ ডিসেম্বর। এতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন সূবর্ণা মোস্তফা। এটি তার প্রথম চলচ্চিত্র ছিল। এছাড়া আরও অভিনয় করেন অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাইসুল ইসলাম আসাদ, নাসির উদ্দীন ইউসুফ, তারিক আনাম খান, নায়লা আজাদ নূপুর, সৈয়দ হাসান ইমাম প্রমুখ। ছবিটি ওই সময় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে দুটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতে নেয়।