Select Page

চঞ্চলের সিনেমার ব্যর্থতার জন্য প্রচারের অভাবকে দুষছে ভক্তরা

চঞ্চলের সিনেমার ব্যর্থতার জন্য প্রচারের অভাবকে দুষছে ভক্তরা

টিভি পর্দায় তাকে প্রায় দিনই দেখা যায়। তারপরও অল্পকটি সিনেমা করে ঢালিউডের ইতিহাসে নাম লেখিয়ে নিয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী। কিছুদিন আগে পর্যন্ত তার ঝুলিতে ব্যর্থতা নেই বললেই চলে। কিন্তু নতুন ছবি নিয়ে ভক্তরা হতাশ।

গত ২০ মে মুক্তি পেয়েছে গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘পাপ পুণ্য’। এর চঞ্চলের সঙ্গে তিনি করেছিলেন ‘মনপুরা’। নতুন ছবিটিতে আরও আছেন সিয়াম আহমেদ ও আফসানা মিমির মতো হেভিওয়েট তারকা। রিভিউতে দর্শক সিনেমাটিকে ভালো বললেও চঞ্চলের আগের সিনেমাগুলোর মতো ভিড় নেই প্রেক্ষাগৃহে।

‘পাপ পুণ্য’র এমন অবস্থার জন্য ভক্তরা দুষছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ইমপ্রেস টেলিফিল্মকে। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক পোস্ট দেখা গেছে।

বিএমডিবিতে প্রকাশিত এমডি রমিজের রিভিউতেও একই বিষয় উঠে এসেছে সিনেমা হলের উদাহরণ থেকে—

“সিনেমা হলের সামনের লবিতে দুজন মেয়ে দর্শক কথা বলছিল ছবিটি সম্পর্কে। তারা ছবিটি দেখতে এসেছে। একজন বলল, ছবিতে চঞ্চল আছে। চঞ্চলের ছবি ভালোই হবে। সাথে আফসানা মিমি আছে্ন। অনেকদিন পর মিমিকে দেখতে পাওয়া আলাদা ভালো লাগার বিষয়। ফজলুর রহমান বাবু আছেন। অসাধারণ অভিনেতা তিনি।

একটু থেমে মেয়েটি পাশের মেয়েটিকে প্রশ্ন করলো, আচ্ছা। ছবিতে নায়ক-নায়িকা কে? তাই-ই তো জানি না।

পাশের মেয়েটি জানালো যে, সেও জানে না।

আমি পাশ থেকে বললাম,  সিয়াম আর নতুন নায়িকা সুমি।

তখন মেয়েটি বলল, সিয়ামও ভালো।

একটা ছবির প্রচারনা কতটা দুর্বল হলে সিনেমা দেখতে আসা একজন দর্শক সিনেমার নায়ক-নায়িকা সম্পর্কেই জানে না?

ইমপ্রেস টেলিফিল্মস্‌ এক্ষেত্রে তাদের আগের সুনামই ধরে রেখেছে।”

এটি গিয়াস উদ্দিন সেলিমের লাভ ট্রিলজির শেষ খণ্ড হিসেবে পরিচিত। কিন্তু ন্যুনতম প্রচার তো দূরের কথা আকর্ষণীয় টিজার, ট্রেলার বা গানও পাওয়া যায়নি। যতটুকু পাওয়া গেছে তাও দায়সারা গোছের।

এ দিকে সিনেমাটি বিদেশে শতাধিক পর্দা পেলেও দেশে প্রথম সপ্তাহে মাত্র ২০টির মতো হল পেয়েছে। এর মধ্যে নাম উল্লেখ না করে সিরাজগঞ্জের রুটস সিনেক্লাব জানায়, নতুন ছবিটির জন্য পরিবেশকের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তাদের ২২ সিটের মিনিপ্লেক্সের কথা শুনে তিন সপ্তাহের জন্য অগ্রিম এক লাখ দাবি করে। এ কারণে প্রেক্ষাগৃহটি সিনেমাটি নেয়নি। অন্যদিকে রাজধানীর মাল্টিপ্লেক্সে দু-একটি শো ভালো গেলেও তেমন একটা সুখবর নেই।

ইমপ্রেস টেলিফিল্ম বছরে উল্লেখযোগ্য সিনেমা প্রডিউস করলেও তাদের বিতরণ ও প্রচার নিয়ে অভিযোগ রয়েছে। নামমাত্র প্রচার ও হল দিয়ে তারা ছবি মুক্তি দেয়। বেশির ভাগ তাদের ছবি দর্শক টেলিভিশন বা ইউটিউবেই দেখে। হেভিওয়েট পরিচালক ও তারকা সত্ত্বেও ‘পাপ পুণ্য’ ব্যতিক্রম নয়।

অন্যদিকে মাস কয়েক আগে গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘গুণিন’ মুক্তি পায়। মূলত ওয়েব প্ল্যাটফর্মের জন্য নির্মিত হলেও সিনেমা হলে যাওয়ার আগে প্রচারের কমতি রাখেনি চরকি। যার ছিটেফোটাও পায়নি ‘পাপ পুণ্য’।

চঞ্চলের প্রথম ছবি ‘রূপকথার গল্প’ ছিল ইমপ্রেসের ব্যানারে, পরিচালক ছিলেন তৌকীর আহমেদ। সে ছবি বাণিজ্যসফল না হলেও প্রশংসিত। এরপর তাকে দেখা গেছে মনপুরা, টেলিভিশন, মনের মানুষ, আয়নাবাজি ও দেবীর মতো সফল ছবিতে।


মন্তব্য করুন