চতুর্থবারেও ভারতীয় শিল্পী, এবার পাওলি দাম
ফাখরুল আরেফীন খানের প্রথম ছবি ‘ভুবন মাঝি’তে প্রধান ভূমিকায় ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। এরপর তিনি নির্মাণ করেন পশ্চিমবঙ্গের আরেক বরেণ্য অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তীকে নিয়ে ‘গণ্ডি’ এবং ‘জেকে ১৯৭১’ নামের দুটি সিনেমা। শেষ ছবিটির মূল ভূমিকায় ছিলেন আরেক ভারতীয় অভিনেতা শুভ্র সৌরভ দাস। এবার চতুর্থ সিনেমা ‘নীল জোছনা’য় বেছে নিলেন পাওলি দামকে।
মোশতাক আহমেদের প্যারাসাইকোলজি-ধাঁচের উপন্যাস ‘নীল জোছনার জীবন’ অবলম্বনেসরকারি অনুদানে একই নামের সিনেমাটি নির্মিত হচ্ছে । এতে পাওলি দামকে দেখা যাবে প্রধান নারী চরিত্র লায়লার ভূমিকায়।
এরই মধ্যে কলকাতার ডিকালগ ম্যানেজমেন্ট সেন্টারে পাওলির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করেন নির্মাতা ফাখরুল আরেফীন খান। সিনেমায় পাওলির বিপরীতে কে থাকছেন, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে নির্মাতা জানিয়েছেন, পাওলির বিপরীতে দেশের একজন অভিনয়শিল্পীকে তিনি নির্বাচিত করবেন। খুব শিগগির তা চূড়ান্ত করে জানাবেন তিনি।
এর আগে বাংলাদেশের ‘সত্তা’, যৌথ প্রযোজনার ‘মনের মানুষ’ ও ‘হলুদবনি’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন পাওলি দাম। আবারও বাংলাদেশের সিনেমায় অভিনয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গত বছর নির্মাতা ফাখরুল আরেফিন খান আমার সঙ্গে এই সিনেমা নিয়ে যোগাযোগ করেন। প্রথমে তার কাছে থেকে গল্পটি শুনেছি, যেহেতু তখনো মোশতাক আহমেদের সেই বই আমার পড়া ছিল না, এরপর যখন বইটি পড়লাম, তখন দারুণ লাগল। বলা যায়, এই সিনেমার সঙ্গে সেদিন থেকেই জড়িয়ে আছি, যার আনুষ্ঠানিকতা গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) হয়েছে।’
এই অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘সত্যি বলতে, প্যারালাল ইউনিভার্স নিয়ে বাংলায় কাজ হয়নি বললেই চলে। হলিউডে কিছু কাজ হয়েছে, যেগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্রিস্টোফার নোলানের ইন্টারেস্টলার, ইনসেফশনের উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে।’
নির্মাতা ফাখরুল আরেফীন খান বলেন, ‘‘নীল জোছনা’’ সিনেমার কাজ শুরু করেছিলাম প্রায় ছয় বছর আগে। সেই ২০১৮ সালের শেষের দিকে। প্যারাসাইকোলজি নিয়ে আমার ধারণা এর আগে বাংলাদেশে কোনো কাজ হয়নি। আর সে কারণেই যখন আমি মোশতাক আহমেদের উপন্যাসটি পড়ি, তখনই চিন্তা করি সিনেমা বানানোর। এরপর ২০১৯ সালে করোনা এবং আমার ‘‘জেকে ১৯৭১’ সিনেমার কারণে কাজটি বন্ধ ছিল। এরপর আবারও গত বছরের শুরু থেকে কাজটি শুরু করি।’
নতুন এই সিনেমায় পাওলি দাম প্রসঙ্গে এই নির্মাতা বলেন, ‘আমাদের গল্পের অন্যতম নারী চরিত্র লায়লা, যা পাওলি দামের সঙ্গে অনেক বেশি যায়, যার কারণে আমরা তাঁকে এই চরিত্রের জন্য প্রথমে নির্বাচিত করি। এরপর পাওলির সঙ্গে যোগাযোগ হয়, তাকে চিত্রনাট্য পাঠানো হলে তিনিও আমাদের সিনেমায় অভিনয়ের জন্য রাজি হন। আশা করছি, আমরা পাওলিকে নিয়ে কাজটি খুব ভালোভাবে শেষ করতে পারব।’
নির্মাতা জানান, ‘নীল জোছনা’ সিনেমার দৃশ্য ধারণ শুরু হবে আগামী মাসের শেষ দিকে, একটানা জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত চলবে। খবর আজকের পত্রিকা।