জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯০-১৯৯২)
১৯৯০ : এই বছর সেরা চলচ্চিত্র,পরিচালকসহ মোট ১৮ টি শাখায় পুরস্কার প্রদান করা হয়—
১. সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র- ধূসরযাত্রা
২. সেরা চলচ্চিত্র- গরীবের বউ
৩. সেরা পরিচালক- কামাল আহমেদ (গরীবের বউ)
৪. সেরা চিত্রনাট্যকার- শিবলী সাদিক (দোলনা)
৫. সেরা সংলাপ রচয়িতা- ছটকু আহমেদ (গরীবের বউ)
৬. সেরা সংগীত পরিচালক- আলাউদ্দিন আলী (লাখে একটা)
৭. সেরা অভিনেতা- আলমগীর (মরণের পরে)
৮. সেরা অভিনেত্রী- শাবানা (মরণের পরে)
৯. সেরা সহ অভিনেতা- গোলাম মুস্তফা (ছুটির ফাঁদে)
১০. সেরা সহ অভিনেত্রী- আনোয়ারা (মরণের পরে)
১১. সেরা শিশু শিল্পী- দোদুল (লাখে একটা)
১২. বিশেষ শাখায় সেরা শিশু শিল্পী- জয়া (দোলনা)
১৩. সেরা গীতিকার (যৌথভাবে)- মনিরুজ্জামান মনির (দোলনা) ও শহিদুল হক খান (ছুটির ফাঁদে)
১৪. সেরা গায়ক- সৈয়দ আব্দুল হাদী(গরীবের বউ)
১৫. সেরা গায়িকা- শাহনাজ রহমতউল্লাহ (ছুটির ফাঁদে)
১৬. সেরা চিত্রগ্রাহক- রেজা লতিফ (গরীবের বউ)
১৭. সেরা সম্পাদক (যৌথভাবে)- আমিনুল ইসলাম মিন্টু ও জিন্নাত হোসেন (গরীবের বউ)
১৮. সেরা শব্দগ্রাহক- মফিজুল হক (দোলনা)
বিউটিকুইন খ্যাত জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবানা প্রযোজিত ‘গরীবের বউ’ সর্বোচ্চ ৬ টি শাখায় পুরস্কার লাভ করে। বিশিষ্ট গীতিকার মনিরুজ্জামান মনির ও শব্দগ্রাহক মফিজুল হক পরপর তিনবার পুরস্কার পেয়ে হ্যাটট্টিক করেন। কিংবদন্তী গায়িকা শাহনাজ রহমতউল্লাহ প্রথমবারের মতো জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন। তবে দক্ষ অভিনেতা গোলাম মুস্তফা নিজেকে প্রধান অভিনেতা দাবি করে সহ-অভিনেতার পুরস্কারটি প্রত্যাখান করেন।
১৯৯১ : এই বছর ২০টি শাখায় পুরস্কার প্রদান করা হয়—
১. বিশেষ সম্মাননা (মরণোত্তর)- জাফর ইকবাল
২. সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র- গোঁধুলী
৩. সেরা চলচ্চিত্র- পদ্মা মেঘনা যমুনা
৪. সেরা পরিচালক- এ জে মিন্টু (পিতা মাতা সন্তান)
৫. সেরা কাহিনীকার- মো. মহিউদ্দিন (পদ্মা মেঘনা যমুনা)
৬. সেরা চিত্রনাট্যকার- কাজী মোরশেদ (সান্তনা) ও শিবলী সাদিক (অচেনা)
৭. সেরা সংলাপ রচয়িতা- বরুণ শংকর (সান্তনা)
৮. সেরা সংগীত পরিচালক- খন্দকার নুরুল আলম (পদ্মা মেঘনা যমুনা)
৯. সেরা অভিনেতা- আলমগীর (পিতা মাতা সন্তান)
১০. সেরা অভিনেত্রী- শাবানা (অচেনা)
১১. সেরা সহ অভিনেতা- রাজিব (দাঙ্গা)
১২. সেরা সহ অভিনেত্রী- নূতন (স্ত্রীর পাওনা)
১৩. সেরা শিশু শিল্পী- জয়সন (সান্তনা)
১৪. সেরা গীতিকার- নজরুল ইসলাম বাবু (পদ্মা মেঘনা যমুনা)
১৫. সেরা গায়ক- এন্ড্রু কিশোর (পদ্মা মেঘনা যমুনা)
১৬. সেরা গায়িকা- সাবিনা ইয়াসমিন (দাঙ্গা)
১৭. সেরা চিত্রগ্রাহক- আবু হেনা বাবলু (পিতা মাতা সন্তান)
১৮. সেরা সম্পাদক- মুজিবুর রহমান দুলু (পিতা মাতা সন্তান)
১৯. সেরা শিল্প নির্দেশক- মহিউদ্দিন ফারুক (পিতা মাতা সন্তান)
২০. সেরা শব্দগ্রাহক- মো. জাহাঙ্গীর (পদ্মা মেঘনা যমুনা)
বাংলা চলচ্চিত্রের চির সবুজ নায়ক জাফর ইকবালকে মরণোত্তর সম্মাননা প্রদান করা হয় এ বছর।স্বনামধন্য পরিচালক চাষী নজরুল ইসলামের চলচ্চিত্র ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা’ সর্বোচ্চ ৬টি শাখায় পুরস্কার লাভ করে। জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আলমগীর ও চিত্রনায়িকা শাবানা দুইজনই পরপর তিনবার জাতীয় পুরস্কার পেয়ে হ্যাটট্টিক করেন। এটি ছিল শাবানার ২য় তম হ্যাটট্টিক ও সর্বশেষ জাতীয় পুরস্কার।
১৯৯২ : এই বছর ২৩ টি শাখায় পুরস্কার প্রদান করা হয়—
১. বিশেষ সম্মাননা (মরণোত্তর)- নাজির আহমেদ
২. সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র- ধূসরযাত্রা
৩. সেরা চলচ্চিত্র- শঙ্খনীল কারাগার
৪. সেরা পরিচালক- মতিন রহমান (অন্ধ বিশ্বাস)
৫. সেরা কাহিনীকার- হুমায়ূন আহমেদ (শঙ্খনীল কারাগার)
৬. সেরা চিত্রনাট্যকার- কাজী হায়াত (ত্রাস)
৭. সেরা সংলাপ রচয়িতা- কাজী হায়াত (ত্রাস)
৮. সেরা সংগীত পরিচালক- আলম খান (দিনকাল)
৯. সেরা নৃত্য পরিচালক- আমির হোসেন বাবু (বেপরোয়া)
১০. সেরা অভিনেতা- আলমগীর (অন্ধ বিশ্বাস)
১১. সেরা অভিনেত্রী- ডলিজহুর (শঙ্খনীল কারাগার)
১২. সেরা সহ অভিনেতা- মিজু আহমেদ (ত্রাস)
১৩. সেরা সহ অভিনেত্রী- আনোয়ারা (রাধাকৃষ্ণ)
১৪. সেরা শিশু শিল্পী- সিমি (উচিত শিক্ষা)
১৫. বিশেষ শাখায় সেরা শিশু শিল্পী- তানিয়া (উচিত শিক্ষা)
১৬. সেরা গীতিকার- গাজী মাজহারুল আনোয়ার (উচিত শিক্ষা)
১৭. সেরা গায়ক- সৈয়দ আব্দুল হাদী (ক্ষমা)
১৮. সেরা গায়িকা- সাবিনা ইয়াসমিন (রাধাকৃষ্ণ)
১৯. সেরা চিত্রগ্রাহক- আনোয়ারুল ইসলাম বেবী (দিনকাল)
২০. সেরা সম্পাদক- সাইফুল ইসলাম (ত্রাস)
২১. সেরা শিল্প নির্দেশক- বিজয় সেন (অন্ধ বিশ্বাস)
২২. সেরা শব্দগ্রাহক- এম এ মজিদ (শঙ্খনীল কারাগার)
২৩. সেরা রুপসজ্জাকর- দীপক কুমার সুর (মাটির কসম)
বাংলাদেশ টেলিভিশন প্রযোজিত ও মুস্তাফিজুর রহমানের ‘শঙ্খনীল কারাগার’ সর্বোচ্চ ৪টি শাখায় পুরস্কার লাভ করে। নন্দিত কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদ প্রথমবারের মতো জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন। সেরা অভিনেতা হিসেবে আলমগীর পরপর চারবার জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন, এই রেকর্ডের অধিকারী কেবল তিনিই। এই বছর নতুন করে দুটি শাখায় পুরস্কার প্রদান চালু হয়। সেরা নৃত্য পরিচালক ও রুপসজ্জাকর শাখায় প্রথমবারের মত পুরস্কার প্রদান করা হয়। তবে শঙ্খনীল কারাগারের জন্য মমতাজউদ্দিন আহমেদ ও নাজমা আনোয়ার পুরস্কৃত না হওয়ায় সমালোচিত হয়।