Select Page

‘চার রাত শুটিং করেছি দড়ির ওপর’

‘চার রাত শুটিং করেছি দড়ির ওপর’

দশদিনের টানা শুটিং শেষে সম্প্রতি ঢাকায় ফিরে এসেছে মাহমুদ দিদারের ‘বিউটি সার্কাস’ ইউনিট। এ সিনেমার মাধ্যমে প্রথমবার সার্কাস দলের মালিকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান। যার জন্য অংশ নিয়েছেন অনেক ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্যে, ব্যবহার করেননি ডামি। সে সব জানিয়েছেন প্রথম আলোকে। আর বাংলা ট্রিবিউনের ছবিতে পাওয়া গেলে ভিন্নধর্মী এ জয়াকে। তারই নির্বাচিত অংশ—

বিউটি সার্কাস’–এর চরিত্রটা কেমন?

এ ধরনের চরিত্র আমি এর আগে করিনি। আগে যাত্রার একটি মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। কিন্তু সার্কাসের একজন মেয়ের চরিত্র এটাই প্রথম। যেখানে শুটিং করতে গিয়েছিলাম, সেটা খুব বেশি শুটিংবান্ধব নয়।

সার্কাসের অংশটুকুর শুটিং কেমন হলো?

এটা সম্পূর্ণ অন্য রকম অভিজ্ঞতা। যখন মেকআপ নিয়ে ও সাজপোশাক পরে সেটে দাঁড়িয়েছি, তখন অসুস্থতার কথা ভুলে গিয়েছি। সেটটা ফেলা হয়েছিল বিশাল জায়গাজুড়ে। চার রাত শুটিং করেছি শুধু দড়ির ওপর দাঁড়িয়ে। তা ছাড়া সার্কাসের অনেক খেলা দেখাতে হয়েছে। সব কটিই খুব ঝুঁকিপূর্ণ।

এ ধরনের চরিত্রে অভিনয় করার জন্য প্রস্তুতি কেমন ছিল?

আমি সাধারণত যেকোনো চরিত্রে অভিনয়ের আগে অনেক প্রস্তুতি নিয়ে থাকি। কিন্তু এবার সে সুযোগ পাইনি। খুব দ্রুত আমাকে চরিত্রের মধ্যে ঢুকতে হয়েছে। পরিচালক ও অন্য সবার সহযোগিতা পেয়েছি। শুটিংয়ের আগের দিন প্র্যাকটিস করেছি। সার্কাসের সবাই সহযোগিতা করেছে আর একজন ফাইট ডিরেক্টর ছিলেন, তিনিও সহযোগিতা করেছেন।

এ ক্ষেত্রে কি কোনো ডামি বা স্টান্টম্যান ব্যবহার করা হয়েছে?

একদমই না। আসলে বেশ ভয়ংকর কিছু দৃশ্যে শট দিতে হয়েছে। অনেকটা অনিরাপদও ছিল তা। তবু ঠিকঠাক চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে এই ঝুঁকি আমি নিয়েছি। ঘোড়া ও হাতিতে চড়ার অভিজ্ঞতাও হয়েছে। মাঝ দিয়ে সার্কাসের সবার সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক হয়ে গেছে। আসলে তাদের সঙ্গে আমাদের খুব বেশি পার্থক্য নেই। তারাও আর্টিস্ট, আমরাও তা-ই। ওরা আমাকে খুব আপন করে নিয়েছিল। চলে আসার সময় ওদের কান্না দেখে প্রচণ্ড খারাপ লেগেছে।


Leave a reply