ছবির বাজেটের অর্ধেক নিজের পকেটে, মাত্র তিন দিনেও শেষ করেছেন শুটিং!
এক সময় অভিনেতা হিসেবে মোটামুটি পরিচিতি পেয়েছিলেন শাহরিয়ার নাজিম জয়। করেছেন সিনেমাও। তবে উল্লেক করার মতো কাজ নেই তার। গত কয়েক বছরে তাকে শুধু সঞ্চালক হিসেবে দেখা গেছে। সমালোচনাও কম জুটেনি।
এর মাঝে তিন-চারটি সিনেমা নির্মাণের সঙ্গে তাকে যুক্ত হতে দেখা গেছে। কয়েকটি মুক্তি পেয়েছে, আবার মাঝপথে আটকে গেছে কোনোটি। এ প্রসঙ্গেও অকপট তিনি। প্রথম আলোর সাক্ষাৎকারে জানালেন, ২০ লাখ টাকা বাজেটের অর্ধেকই গেছে তার পকেটে। আবার তিনদিনেও শেষ হয়েছে সিনেমার শুটিং।
আপনি কয়েকটি সিনেমা নির্মাণ করেছেন। কতটা সন্তুষ্ট? এ প্রশ্নের উত্তরে জয় বলেন, সন্তুষ্টি নিয়ে আমি সিনেমা নির্মাণ করতে পারছি না। সিনেমা যতগুলো বানিয়েছি, এগুলোকে প্রজেক্ট বা অ্যাসাইনমেন্ট হিসেবে দেখছি। অ্যাসাইনড সিনেমা। আমাকে হয়তো একটা বাজেট দিল, সেই বাজেটের অর্ধেক প্রথম দিকে খরচ করিনি। আমাকে তো সারভাইব করতে হতো। তখন ২০ লাখ টাকা দিলে আমি ১০ লাখ টাকায় সিনেমা বানাতাম, ১০ লাখ টাকা পকেটে ভরতাম। আসলে ওই সব বাজেটে কারও পক্ষেই সিনেমা বানানো সম্ভব নয়। আসলে নির্মাতা ও অভিনেতা হিসেবে আমাকে অনেক কম্প্রোমাইজ করতে হয়েছে। উপস্থাপনায় আমি কম্প্রোমাইজ করি না। আমার ধারার বাইরে আমাকে উপস্থাপনা কেউ করাতে পারেনি।
এ সব সিনেমার মান নিয়ে বলেন, আসলে সে অর্থে এখন পর্যন্ত কোনো চলচ্চিত্রই বানাইনি। আমি অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল হলে তখনই সিনেমা বানাব। অল্প বাজেটে চলচ্চিত্রে স্বাধীনতা থাকে না। তবে কত বাজেট হলে সিনেমা বানাতে পারব সেটা আমি জানি না।
নির্মাতা হিসেবে এটা আপনার ইমেজ ক্ষতি করছে না? এমন প্রশ্নে তার জবাব. নির্মাতা ও অভিনেতা হিসেবে আমাকে অনেক কম্প্রোমাইজ করতে হয়ছে। উপস্থাপনায় আমি কম্প্রোমাইজ ছাড়া চলি। আমার ধারার বাইরে আমাকে উপস্থাপনা কেউ করাতে পারেনি। আমি স্বল্প বাজেটে যেসব সিনেমা বানিয়েছি, আমি মনে করি অনেকে সর্বোচ্চ মেধা এবং বাজেটে এই ছবি বানাতে পারবে না। আমি তিন দিনে সিনেমা বানিয়েছি। সাত দিনে যে সিনেমা বানিয়েছি দুটি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে। তিন দিনে বানানো সিনেমাও পুরস্কার পাবে বলে বিশ্বাস করি।
শাহরিয়ার নাজিম জয় পরিচালিত প্রিয় কমলা, অর্পিতা ও প্রার্থনা নামের ছবি মুক্তি পেয়েছে। তিনটিই ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ব্যানারে নির্মিত। এ ছাড়া মাঝপথে আটকে যায় ‘পাপ কাহিনি’।