জাজের চার ছবি থেকে সায়মন বাদ
অসৌজন্যমূলক আচরণের জন্যই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার সব ছবি থেকে বাদ পড়েছেন উঠতি নায়ক সায়মন সাদিক। এমনকি ওস্তাদ জাকির হোসেন রাজুর পরিচালনা থেকেও বাদ পড়েছেন তিনি। তার আচরণে ক্ষুব্ধ হওয়ার ঘটনা অনেক দিনের। সর্বশেষ ‘দবির সাহেবের সংসার’ ছবির সেটে খারাপ আচরণ করলে তার বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়।
জানা যায়, মুক্তিপ্রাপ্ত ‘পোড়ামন’ ছবির শুটিংয়ে সায়মনের ব্যবহারে প্রথমবার রাগ করেন প্রযোজক আবদুল আজিজ। শিক্ষা দেয়ার জন্য তিনি তার ছবির নায়ক সায়মনকে প্রোডাকশন ও লাইটের লোকদের সঙ্গে পিকআপে লোকেশনে নিয়েছেন এবং খাইয়েছেন। পরে তিনি তার ব্যবহারের জন্য দুঃখ প্রকাশ করলে এবং ‘পোড়ামন’ ছবিটি ভাল চললে আজিজ তাকে পরপর চার ছবিতে চুক্তিবদ্ধ করেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সাইমনের ব্যবহার আবারও আপত্তিকর মনে হলে প্রযোজক আবদুল আজিজ ও পরিচালক জাকির হোসেন রাজু বারবার তাকে বোঝান। কিন্তু কোন কিছুতেই যেন তার বোধোদয় হয় না। চলতি সপ্তাহে হঠাৎ তিনি এমন কাণ্ড করে বসেন, যা চলচ্চিত্রসহ সবাইকে অবাক করেছে। এমনকি প্রযোজক আবদুল আজিজ ও পরিচালক জাকির হোসেন রাজুকে জড়িয়ে সারা জেরিনের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ করে। বিষয়টি আবদুল আজিজ ও জাকির হোসেন রাজু জেনে সায়মনকে ডাকেন এবং সেখানে তিনি তাদের কাছে ক্ষমা চান।
কিন্তু দু’দিন পরই তিনি ‘দবির সাহেবের সংসার’র সেটে গিয়ে আবারও বিভিন্নজনের সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু করেন। উপস্থিত ইউনিট সদস্যরা তাকে আজিজ সাহেবের কানে বিষয়টি গেলে খারাপ হবে- ‘এমন হুমকি দিলে সাইমন তাদের পাল্টা বলে ওঠেন, এর আগে তো তাগরেই কইছিলাম। কি করছে আমার। যাইয়া ক-গিয়া।’ মুহূর্তেই যেন খবর চলে যায় আবদুল আজিকের কাছে। জাকির হোসেন রাজুকে আজিজ ফোন দেন এবং তখনই শুটিং পেকাপ করে ঢাকায় ফিরতে বলেন। কোন কথাতেই আজিজ তার কথার নড়চড় করেন না। অতএব, ইউনিট ঢাকায় ফিরলে সবাইকে নিয়ে বসে সিদ্ধান্ত নেন সায়মনকে বাদ দিয়ে সব ছবি নির্মাণ করবেন তিনি।তিনি বলেন, শুটিং চলতি ‘দবির সাহেবের সংসার’র শুটিং বাবদ ৩০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। আমি লস করবো, তবু সাইমনকে নিয়ে আমি কোন ছবি নির্মাণ করবো না।
জাকির হোসেন রাজু বলেন, ছেলেটিকে নিজ হাতে বড় করেছি। আর সে-ই কিনা আমাকে কলঙ্ক করছে। সাইমনের কারণে হঠাৎ করে আজ আমার চারটি ছবি আটকে গেছে। আসলে বেশি উড়লে এমনই হয। অল্প পানির মাছ হঠাৎ বেশি পানি পেয়ে পাগল হয়ে গেছে। ওর তো বোঝা উচিত, মাত্র একটি ছবি হিট করেছে।
এদিকে আরো অভিযোগ রয়েছে সায়মন নায়িকা সারা জেরিনের গায়েও হাত তুলেছেন। তবে জানা যায়, আগামীকাল থেকে সায়মন ও সারা জেরিন একসঙ্গে শুটিং শুরু করছে ‘তোর লাগিয়া পরান কান্দে’ ছবির। এজে রানার পরিচালনায় ছবিটি ঈদের আগে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন দু’জন।
সুত্র: মানবজমিন
ব্যাপারটা দুঃখজনক। একজন উঠতি নায়কের প্রতিষ্ঠিত হবার জন্য ভালো পরিচালক এবং প্রযোজক প্রয়োজন। সাইমন দুটোই পেয়েছিল এবং হারিয়েছে। সোহানুর রহমান সোহানের সাক্ষাতকারে জনেছিলাম সালমান শাহ-ও দুর্ব্যবহার করেছলেন সোহানুর রহমান সোহানের সাথে – ফলে জীবদ্দশায় দুজনে আর কোন ছবিতে কাজ করেন নি। সালমান শাহ’র সৌভাগ্য ছিল সেসময় প্রচুর ভাল পরিচালক ছবি নির্মান করছিলেন – বর্তমানে সাইমন কি সেরকম সুযোগ পাবেন?
দ্বন্দ্বের সমাপ্তি হোক, সাইমনের বোধদয় হোক – ভালো করুক বাংলাদেশী চলচ্চিত্র।
দুঃখজনক এবং আসলেই দুঃখজনক, উঠতি সেলিব্রেটিদের এই সমস্যা কবে দূর হবে আমার জানা নাই, তবে শুধু সিনেমা নয় নাটকেও একি দৃশ্য দেখা যায়, সবাই ধারণা করে থাকে এরকম আচরণে তাদেরকে আরো নায়কোচিত বলে মনে হয় তবে ব্যপারটা যে একদমই মিথ্যা তা আর কি বলব, সাইমন আর কতোটা উঠতে পারবে সেটা আমার জানা নেই, একি অবস্থা ছিলো শুভর ক্ষেত্রে, সে কি কি কর্মকান্ড করে তা তার কোন নাটকের শ্যুটিং স্পট থেকেই জানা যাবে, এখন তো সিনেমা করছে, ওর আরো আগেই সিনেমায় সুযোগ ছিলো শুধু ওর নিজের কারনেই পারেনি….. শ্যুটিং লোকেশন থেকে কাউকে না জানিয়ে চলে যাওয়ার অভিযোগও আমি শুনেছি নির্ভরযোগ্য লোকের থেকে… কি আর করা, এরা একারনেই ডিরেক্টরদের চক্ষুশূলে পরিণত হয়
ব্যাপারটা দুঃখজনক এতে কোন সন্দেহজনক নেই ।কিন্তু আরও দুঃখজনক ব্যাপার হল- নতুন নায়ক দের অনেকেই সিনিয়র নায়ক দের সম্মান করে না ,তারা দুই একটা ছবি হিট হলেই নিজেদের বড় মনে করে, ভাবে সেই সেরা ।আবার অনেকে কয়েকটা ছবি মোটামুটি ভাল করলেও পরের ছবি গুলো বেছে বেছে করে না ।গতানুগতিক ধারায় চলে যায় ।এভাবে বাংলা ছবির উন্নতি ব্যাহত হবে ।