জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্তদের প্রতিক্রিয়া
২০১৪ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশিত হয়েছে বৃহস্পতিবার। তথ্যসচিব মরতুজা আহমদের সই করা প্রজ্ঞাপন থেকে জানা গেছে, ২০১৪ সালে ২৬টি বিভাগে ২৯ জনকে এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। পুরস্কার ঘোষণার পর পুরস্কারপ্রাপ্তদের কাছ থেকে পাওয়া যায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এ নিয়ে প্রথম আলোতে প্রকাশ হয়েছে প্রতিবেদন। বিএমডিবি পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-‘জোনাকির আলো’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পাওয়া বিদ্যা সিনহা মিম বলেন, ‘খবরটা যখন শুনেছি, বিশ্বাসই হয়নি। চিৎকার দিয়েছিলাম।’
‘এক কাপ চা’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার পাওয়া ফেরদৌস বলেন, ‘এর আগে হঠাৎ বৃষ্টি, গঙ্গাযাত্রা আর কুসুম কুসুম প্রেম ছবিতে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছি। তবে এবারের অনুভূতি অন্য রকম। কারণ, এবার নিজের ছবির জন্য পুরস্কার পেয়েছি। ভেবেছিলাম, এই ছবিতে মৌসুমীও পুরস্কার পাবে।’
‘তারকাঁটা’ ছবির জন্য তৃতীয়বারের মতো জাতীয় পুরস্কার পাওয়া মৌসুমী বলেন, ‘খুব ভালো লাগছে।’
‘বৃহন্নলা’র জন্য তিনটি পুরস্কার পেয়েছেন মুরাদ পারভেজ; সেরা ছবি, কাহিনিকার ও সংলাপ রচয়িতার পুরস্কার। তিনি বলেন, ‘পুরস্কারগুলো তো একা আমিই পেয়েছি। বৃহন্নলা ছবির আরও কয়েকটি পুরস্কার পাওয়ার সুযোগ ছিল।’
তিনটি পুরস্কার পেয়েছে ‘মেঘমল্লার’। এই ছবির জন্য সেরা পরিচালক হয়েছেন জাহিদুর রহিম অঞ্জন। তিনি বলেন, ‘এটা আমার প্রথম কাহিনিচিত্র। আমি মনে করি, এই ছবির অভিনেতা, অভিনেত্রী, কাহিনি আর চিত্রনাট্যেরও পুরস্কার পাওয়া উচিত ছিল।’
এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে আট শ ছবিতে খলনায়ক চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিশা সওদাগর। ‘অল্প অল্প প্রেমের গল্প’র জন্য তিনি হয়েছেন সেরা কৌতুক অভিনেতা। এই পুরস্কারের কথা শুনে একটু অবাক হয়েছেন। বলেন, ‘জুরিবোর্ড যা ভালো মনে করেছেন, তা-ই করেছেন। এ ব্যাপারে আমি আর কিছু বলব না।’
নির্মলেন্দু গুণের কবিতা অবলম্বনে মাসুদ পথিক তৈরি করেছেন ‘নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ’ ছবিটি। গায়িকা, গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালকসহ পাঁচটি পুরস্কার পেয়েছে ছবিটি। মাসুদ পথিক বললেন, ‘এই ছবিতে কবি নির্মলেন্দু গুণ অভিনয় করেছেন। তিনিও পুরস্কার পেলে ভালো লাগত।’
এর আগে ‘ঘেটুপুত্র কমলা’র জন্য খলনায়কের পুরস্কার আশা করেছিলেন তারিক আনাম খান। তবে এবার ‘দেশা—দ্য লিডার’ তাকে পুরস্কার এনে দিয়েছে। একই সিনেমায় কণ্ঠ দেওয়া জন্য পুরস্কার পেলেন ব্যান্ড তারকা জেমস। বললেন, ‘খবরটা হঠাৎ করেই পেয়েছি। অবশ্যই ভালো লাগছে।’
শিগগিরই বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এক নজরে
আজীবন সম্মাননা
সৈয়দ হাসান ইমাম
রানী সরকার
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র
বৃহন্নলা
শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র
গাড়িওয়ালা
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক
জাহিদুর রহিম অঞ্জন (মেঘমল্লার)
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা
ফেরদৌস (এক কাপ চা)
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী
মৌসুমী (তারকাঁটা) ও মিম (জোনাকির আলো)
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পার্শ্ব চরিত্রে
এজাজুল ইসলাম (তারকাঁটা)
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পার্শ্ব চরিত্রে
চিত্রলেখা গুহ (৭১-এর মা জননী)
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা খল চরিত্রে
তারিক আনাম খান
(দেশা—দ্য লিডার)
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা কৌতুক চরিত্রে
মিশা সওদাগর
(অল্প অল্প প্রেমের গল্প)
শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী
অংকন (বৈষম্য)
শিশুশিল্পী (বিশেষ পুরস্কার)
মারজান হোসাইন (মেঘমল্লার)
শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক
সাইম রানা (নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ)
শ্রেষ্ঠ গায়ক
জেমস (পতাকাটা খামচাতে কখনো আসে যদি…, দেশা—দ্য লিডার)
শ্রেষ্ঠ গায়িকা
রুনা লায়লা (ও কালা অসময়ে বাজাও-প্রিয়া তুমি সুখী হও) ও মমতাজ (নিশিপক্ষী-নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ)
শ্রেষ্ঠ গীতিকার
মাসুদ পথিক
(নিশিপক্ষী-নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ)
শ্রেষ্ঠ সুরকার
বেলাল খান
(নিশিপক্ষী-নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ)
শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার
মুরাদ পারভেজ (বৃহন্নলা)
শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার
সৈকত নাসির (দেশা—দ্য লিডার)
শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা
মুরাদ পারভেজ (বৃহন্নলা)
শ্রেষ্ঠ সম্পাদক
তৌহিদ হোসেন চৌধুরী
(দেশা—দ্য লিডার)
শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক
মারুফ সামুরাই (তারকাঁটা)
শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক
মোহাম্মদ হোসেন জেমি (বৈষম্য)
শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক
রতন পাল (মেঘমল্লার)
শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা
কনকচাঁপা চাকমা (জোনাকির আলো)
শ্রেষ্ঠ মেক-আপম্যান
আবদুর রহমান
(নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ)