জাহাজের রাঁধুনী ও আশ্রয়হীন শিশুর মানবিক গল্প ‘মাস্তুল’
একটি তেলবাহী জাহাজে রান্নার কাজ করে মকবুল। জাহাজের সবার মঙ্গল কামনা করে সে। কিন্তু খালাসিরা তাকে মনে করে মালিকের গুপ্তচর, তাই অবজ্ঞা ছাড়া প্রতিদান সে আর কিছুই পায় না। এক বন্দরে জাহাজ ভীড়লে তার সাথে পরিচয় হয় আশ্রয়হীন শিশু নূরার। দুজনের মধ্যে গড়ে ওঠে সখ্য।
মকবুল নূরাকে তার সহকারী হিশেবে জাহাজে তোলে। কিন্তু নূরাকে কেন্দ্র করে অন্য খালাসিদের সাথে তৈরি হতে থাকে জটিলতা। এক পর্যায়ে মকবুল বাধ্য হয় নূরাকে অনিশ্চিত এক বন্দরে নামিয়ে দিতে, সাথে দিয়ে দেয় তার জীবনের সমস্ত সঞ্চয়।
এই গল্প ‘মাস্তুল‘ সিনেমার। গল্প, চিত্রনাট্য ও নির্মাণ মোহাম্মদ নূরুজ্জামানের। মকবুল ও নূরা চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু ও শিশুশিল্পী আরিফ। আরও অভিনয় করেছেন দীপক সুমন, আমিনুর রহমান মুকুল , জুলফিকার চঞ্চল ও শিকদার মুকিত।
জাহাজীদের গল্প নিয়ে নির্মাণাধীন সিনেমাটির শ্যুটিং ৭ মার্চ নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকায় শুরু হয়। সিংহভাগ শুটিং হয়েছে চলন্ত জাহাজে, শীতলক্ষ্যা টু মেঘনা রুটে। বিভিন্নরকম জটিল ও মজার অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে এ মাসেরই ২০ তারিখ সিনেমাটির দ্বিতীয় লটের শুটিং শেষ হয়েছে। শেষ লট এপ্রিলের শুরুর দিকে লোকেশন যাবে। আর সবকিছু ঠিক থাকলে ডিসেম্বরে মুক্তি পাবে মাস্তুল।
‘আমাদের যা আছে তাই দিয়েই আমরা সিনেমা নির্মাণ করবো’- এমন চিন্তা মাথায় রেখেই মোহাম্মদ নূরুজ্জামান ২০১০ সালে সিনেমাকার নাম দিয়ে একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। নিজের গড়ে তোলা এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকেই তিনি দুটি স্বল্পদৈর্ঘ্য, একটি প্রামাণ্যচিত্র এবং ইতোমধ্যে ‘আম কাঁঠালের ছুটি’ নামে প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের কাজ শেষ করে সেন্সরে জমা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
‘মাস্তুল’-এর চিত্রগ্রহণ করেছেন মোহাম্মদ আরিফুজ্জামান। কো-ডিরেক্টর নির্মাণাধীন ‘আদিম’ সিনেমার পরিচালক যুবরাজ শামীম।