ডিপজল ফিরছেন কবে
ডিপজল বলছেন তিনি চলচ্চিত্রে আবার ফিরছেন। কিন্তু কখন কিভাবে ফিরছেন কেউ জানে না। এমনকি নির্মাণাধীন একটি ও সেন্সর বোর্ডে আটকে থাকা একটি ছবিও নিয়ে তার কোন উদ্যোগ নাই।
সম্প্রতি তাকে নিয়মিত দেখা যাচ্ছে মাই টিভি-র ‘প্রেক্ষাগৃহ পূর্ণ’ অনুষ্ঠানে। নিজস্ব স্টাইলে উপস্থাপনা করে অনুষ্ঠানটিকে বেশ আলোচিত করে তুলেছেন। ডিপজলের ডাকে সাড়া দিয়ে নামি দামী চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বরা ‘প্রেক্ষাগৃহ পূর্ণ’ অনুষ্ঠানে আসছেন। চলচ্চিত্রের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলছেন।
সবাই জানতে চান তিনি কেন চলচ্চিত্র থেকে দূরে সরে আছেন। উত্তরে সবাইকে একই কথা বলেন, ফিরে আসছি।
তার প্রযোজিত ও অভিনীত এবং এফ আই মানিক পরিচালিত ‘সৌভাগ্য’ ছবিটি শেষ হচ্ছে না অজানা কারণে। সামান্য কিছু কাজের জন্য এক বছর ধরে আটকে আছে। আরেক ছবি এফ আই মানিক পরিচালিত ‘এ দেশ তোমার আমার’ দীর্ঘদিন ধরে আটকে আছে সেন্সর বোর্ডে। ছবিটিকে মুক্ত করার কোন উদ্যোগ নেই।
চলচ্চিত্রে ডিপজলের আগমন ঘটেছিল প্রথমে প্রদর্শক, তারপর নায়ক হিসেবে। মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘টাকার পাহাড়’ তার অভিনীত প্রথম ছবি। এরপর অভিনয় করেন আবিদ হাসান বাদল পরিচালিত ‘হাবিলদার’ ছবিতে। তারপর অনেক দিন নিরবতা।
নব্বই দশকের শেষের দিকে পরিচালক কাজী হায়াৎ ‘তেজী’ ছবিতে তাকে ভিলেন চরিত্রে উপস্থাপন করেন। ভিলেন হিসেবে ডিপজল অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যান। অনেক দিন নীরব থাকার পর ২০০৪ সালে নিজেকে নায়ক বানিয়ে নতুনরূপে আত্মপ্রকাশ করেন এফ আই মানিক পরিচালিত ‘কোটি টাকার কাবিন’ দিয়ে। পরবর্তীতে ‘চাচ্চু’, ‘দাদি মা’, ‘পিতার আসন’, ‘কাজের মানুষ’, ‘মায়ের চোখ’, ‘আমার স্বপ্ন আমার সংসার’, ‘রিকশাওয়ালার ছেলে’ ইত্যাদি ছবির মাধ্যমে জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে ছাড়িয়ে যান সবাইকে।
দর্শক, প্রদর্শক, প্রযোজক, পরিচালকসহ পুরো চলচ্চিত্র শিল্পের মানুষের ভালবাসায় সিক্ত ডিপজল হঠাৎ করেই সিনেমার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। আটকে যায় তার ছবির কাজ। সবার সঙ্গে বন্ধ হয়ে যায় যোগাযোগ।
সুত্র: মানবজমিন