তিন সন্ধ্যায় ‘সাঁঝবেলার বিলাপ’
২০১৬ সালের অক্টোবরে নয়াদিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামায় অনুষ্ঠিত ৯ম এশিয়ান প্যাসিফিক এপিবি নাট্যোৎসবে জ্যঁ রাসিনের ফরাসি ধ্রুপদী নাটক ‘ফেইড্রা’র অসিত কুমারের বাংলা অনুবাদ অবলম্বনে ‘সাঁঝবেলার বিলাপ’ প্রদর্শিত হয়েছিল। এশিয়ার ২০টিরও বেশি দেশের নাটকের মাঝে বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের এ নাটকটি। আজ থেকে ১৮ মে পর্যন্ত তিন দিন ঢাকায় প্রথমবারের মতো ‘সাঁঝবেলার বিলাপ’ মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে। বিভাগের নাট-মণ্ডল মিলনায়তনে প্রতি সন্ধ্যা ৭টায় নাটকটির প্রদর্শনী হবে। নির্দেশনা দিচ্ছেন বিভাগের অধ্যাপক ড. ইসরাফিল শাহীন।
নাটকে দেখা যাবে, এথেন্সের রানী ফেইড্রা তার সৎপুত্র যুবরাজ হিপোলিটাসের প্রেমে আসক্ত। দেবী ভেনাসের অভিশাপে ফেইড্রা তার মায়ের মতন নিজেও সামাজিক আইনের দৃষ্টিতে ‘অবৈধ’ এ প্রেমে নিমজ্জিত হয়। কিন্তু যুবরাজ হিপোলিটাস শত্রুপক্ষীয় উত্তরাধিকারী ও কারারুদ্ধ এরিসিয়াকে ভালোবাসে।
এদিকে ফেইড্রার স্বামী এথেন্সের রাজা থিসিয়াসের অন্তর্ধানের ছয়মাস যেতেই রাজনীতির চক্রান্তে অস্থির হয়ে উঠে রাজ্য। কে হবেন থিসিয়াসের উত্তরাধিকারী? রাজ্যময় গুজব ছড়িয়ে পড়ে থিসিয়াস মৃত। হিপোলিটাস ফেইড্রার আপন গর্ভজাত পুত্র নয়। তবে তার স্বামী থিসিয়াসের ঔরসজাত পুত্র হিপোলিটাস কি তাই ফেইড্রারও পুত্র নয়! পুত্রের প্রতি জননীর এই বিরল প্রেমাসক্তি অন্তরকে করেছে তরঙ্গ-বিক্ষুব্ধ। এভাবে কাহিনী এগিয়ে যায়।
‘সাঁঝবেলার বিলাপ’-এর ড্রামাতুর্গ, নাট্যকথন ও গীতরচনায় শাহমান মৈশান। মঞ্চ, আলোক ও দ্রব্য পরিকল্পনা করেছেন আশিক রহমান লিয়ন। পোশাক পরিকল্পনা করেছেন ওয়াহীদা মল্লিক জলি, কাজী তামান্না হক সিগমা ও আশিক রহমান লিয়ন। সঙ্গীত পরিকল্পনা ও প্রয়োগ সাইদুর রহমান লিপন ও কাজী তামান্না হক সিগমা। দেহবিন্যাস করেছেন অমিত চৌধুরী। রূপসজ্জা পরিকল্পনা করেছেন রহমত আলী।
বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন আফরিন হুদা তোড়া, ধীমান চন্দ্র বর্মণ, ইশতিয়াক খান পাঠান, ইলিয়াস বাসেত, গোলাম নাসির রানা, সাওগাতুল ইসলাম হিমেল ও সাফওয়ান মাহমুদ।