Select Page

দরদ: শাকিবের একা টেনে নেয়া দুর্বল চিত্রনাট্যের সিনেমা

দরদ: শাকিবের একা টেনে নেয়া দুর্বল চিত্রনাট্যের সিনেমা

[নো স্পয়লার]

অনেক আফসোস রেখে হল থেকে বের হলাম। যদি এটা প্যান ইন্ডিয়ান নামধারী ফাতরামি না হতো, যদি পুরোটাই বাংলা এক্সেন্টে সবার ডায়লগ শুনতে পারতাম, যদি সোনাল চৌহানের জায়গায় দেশি এক্ট্রেস থাকতো, যদি রাহুল দেবের জায়গায় কম এজের হ্যান্ডসাম হিরো থাকতো কিংবা সিনেমার ফার্স্ট হাফ যদি আরেকটু যত্ন নিয়ে লেখা হতো – তাহলে হয়তো অনন্য মামুনকে নির্দ্বিধায় বছরের সেরা সিনেমার নির্মাতা বলে ফেলা যেত।

ধরেন, একটা হিরোকে ছোটবেলা থেকে দেখে কেউ বড় হইছে, তার ডাই হার্ড ফ্যান – তাহলে সে হিরোর বয়স কেমন হবে! আর হিরোর এজ এডজাস্ট করা না গেলে সমসাময়িক ক্রেইজ কাউকে দিলেই হতো। রাহুল দেব যথেষ্ট ভাল, স্পেশালি এন্টি রোলে৷ কিন্তু তাকে সেই লেভেলের হিরো দেখানোটা একদমই মানায় নাই।

গল্পটা ফার্স্ট হাফে ঝুলে গেছে। তাই সেকেন্ড হাফে অনেক বেশি ফোর্সফিড করে ঘটনার পর ঘটনা খাওয়ানো হলো। একেবারে শেষে হাইপ রাখার জন্য একটা কনফিউজড সিন দেয়া হলো হুদাই।

গল্প দুলু নামের এক সিএনজি ড্রাইভারকে নিয়ে। সে মারাত্মকভাবে বউ পাগল। বউ ফাতিমার মুখের হাসির জন্য সে সব করতে পারে। ফাতিমা আবার পাগল সিনেমার হিরো সরফরাজের জন্য। স্বামী থেকেও যেন হিরোকে বেশি ভালবাসে সে। দুলু বউকে খুশি করতে সরফরাজের শুটিং সেটে নিয়ে যায় দেখা করাতে। ফাতিমা নিজ হাতে রসগোল্লা বানিয়ে নেয়। দুলু দেখা করে সরফরাজকে সেটা খাওয়ায়। ফিরে এসে জানতে পারে সরফরাজ খুন হয়েছে। পুলিশ নামে এই খুনের রহস্য উন্মোচনে।

পুরো শুট মোটামুটি বেনারসে। ভালভাবে গঙ্গা, বেনারসকে দেখানো হইছে। এক্টররা মোটামুটি সবাই অতি অভিনয়ের ছড়াছড়ি করেছেন। পায়েল মোটামুটি, তাকে প্রেগন্যান্ট দিলেও খুব কিছু এড হয় নাই। বেশিরভাগ এক্টরের ভয়েস ডাবড বলে কানে লেগেছে। এলিনা শাম্মী অভিনয় ভাল করলেও পুলিশ ক্যারেক্টারে মানানসই লাগে নাই। সাফা মারওয়া নতুন মেয়েটা কিভাবে চান্স পেল জানি না, বিরক্তিকর। এন্ড দ্যা ম্যান, শাকিব পুরোটা ঢেলে অভিনয় করলো। দুর্বলতা আগের মতই আছে তবে চেষ্টার কমতি ছিল না। গান একটাও ভাল লাগে নাই, স্যরি।

রেটিং : ৬.৫/১০


লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত

Graduated from Mawlana Bhashani Science & Technology University. Film maker and writer.

মন্তব্য করুন