দর্শকের অভাবে নেমে গেল ‘কমলা রকেট’
বেশ হাঁকডাকের মাধ্যমে রাজধানীর বাইরের একটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল নূর ইমরান মিঠুর ‘কমলা রকেট’। নির্মাতার ইচ্ছা ছিল ধীরে ধীরে সারাদেশে ছড়িয়ে দেবেন নিজের প্রথম সিনেমা।
রাজধানীতে মোটামুটি চললেও ময়মনসিংহের ওই হলে দুইদিনের বেশি টিকতে পারেনি ‘কমলা রকেট’। এ নিয়ে হতাশার কথা জানিয়েছেন এ দর্শক।
চলচ্চিত্র বিষয়ক কয়েকটি গ্রুপে তিনি সোমবার লেখেন, “আজ আমি যথেষ্ট হতাশ… ময়মনসিংহে সেনা অডিটোরিয়ামে ‘কমলা রকেট’ দেখতে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে আমার জন্য যে এমন সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছে জানা ছিল না। গিয়ে দেখি কতৃপক্ষ কমলা রকেটের জায়গায় ‘দুর্ধর্ষ ডাকাত’ নাকি কি জানি চালাইতেছে।”
আরো লেখেন, ‘উনাদের কথামতে কমলা আমাদের কলা খাওয়াইছে, একটা শোতেও মানুষ ছিল না। ভালো ছবি দেখবো শখ করে গেলাম কিন্তু… আশাহত।’
কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের ‘মৌলিক’ ও ‘সাইপ্রাস’ নামের দুটি গল্প থেকে নির্মিত হয়েছে ‘কমলা রকেট’। বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত এ লেখকের সঙ্গে মিলে চিত্রনাট্য করেছেন মিঠু নিজেই।
‘কমলা রকেট’ হলো ঢাকা থেকে মংলাগামী একটি স্টিমার। যার নিয়মিত যাত্রীদের সঙ্গে এবার উঠে পড়েছে এক ফার্স্ট ক্লাস যাত্রী আতিক। যিনি কি-না নিজের কারখানায় আগুন লাগিয়েছেন ইন্সুরেন্সে টাকা পাওয়ার আশায়।
আগুনের ঘটনা যখন সারাদেশে মূল খবর, তখন আতিক কমলা রকেটে চড়ে মংলায় বন্ধুর বাসায় আত্মগোপন করতে যাচ্ছেন। অন্যদিকে মৃত নারী কারখানা কর্মীর লাশ নিয়ে স্বামী মনসুরও একই স্টিমারের যাত্রী। কুয়াশায় চরে আটকে যায় স্টিমার। খাবার সংকট যখন তীব্র হতে থাকে ঠিক তেমনি সময়ে মনসুরের সাথে আতিকের দেখা হয়। এছাড়া গল্পে রয়েছে নানান ধরনের চরিত্র। যার সূত্র ধরে নির্মাতা বলছেন, ‘এ যেন ছোট এক বাংলাদেশ।’
‘কমলা রকেট’-এ আতিকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তৌকীর আহমেদ। দালাল হয়েছেন মোশাররফ করিম। আরো অভিনয় করেছেন জয়রাজ, শহীদুল্লাহ সবুজ, সুজাত শিমুল, সামিয়া সাঈদ, সেওতি, বাপ্পা শান্তনু, ডমিনিক গোমেজ ও আবু রায়হান রাসেল।