দর্শক প্রতিক্রিয়ায় ‘শিকারি’ টিজার
শনিবার অনলাইনে প্রকাশ হয়েছে শাকিব খান অভিনীত ‘শিকারী’র টিজার। ফার্স্টলুক ও ‘হারাবো তোকে’ গানের পর নতুন এ ভিডিওটি শোরগোল তুলেছে যথারীতি।
টিজার প্রকাশের পরপরই ফেসবুকে শেয়ারের ধুম পড়ে। পাশাপাশি আসে নানা ধরনের বিশ্লেষণ। শুধু ‘শিকারী’ই নয়— বাংলা সিনেমার সংকট, দর্শক, যৌথ প্রযোজনা-সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে আসে ওইসব বিশ্লেষণে যা বাংলা সিনেমার বর্তমান অবস্থা বুঝতে খানিকটা হলেও সাহায্য করে। সে সব প্রতিক্রিয়ার কয়েকটি বাংলা মুভি ডেটাবেজ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল। প্রতিক্রিয়াগুলো নেওয়া হয়েছে ‘বাংলা চলচ্চিত্র’ গ্রুপ থেকে।
সৌরভ খানের লেখার অংশ বিশেষ এ রকম, “শিকারী’তে শাকিবকে নতুনভাবে প্রেজেন্ট করার মূল ক্রেডিট দিবো আমি জাজ মাল্টিমিডিয়াকে। যদি আমাদের গণমাধ্যম শাকিবকে নিয়ে মাতামাতি করলেও তার কৃতিত্ব কতটুকু তাদের কাছে আমার প্রশ্ন? আর এ ছবিটির আগ্রহ আছে সবার কারণ শাকিব এতদিন ডি গ্রেডের ছবি আর ক্ষ্যাত স্টাইলে দর্শক ঠকিয়ে ইন্ডাট্রির ক্ষতি করেছে। শাকিব ভালোভাবে ব্যাক করেছে এটা আমারো ভালো লাগছে। তবে অনেক দেরিতে শাকিব বুঝল যখন পিঠ দেয়ালে ঠেকল।” আরো লেখেন, ‘যা হোক আমি সিনেমার কেউ না শাকিবকে সাধুবাদ ক্যামবাক করার জন্য। তবে সেটা যেন টিকে থাকে।’
গ্রুপটির অন্যতম অ্যাডমিন তানভীর খালেদের লেখায় উঠে এসেছে টিজারপ্রীতির নমুনা। তার মতে, যে পরিমাণ দর্শক নতুন সিনেমার টিজারে উচ্ছ্বসিত হন— তারা হলেও যায় না। নইলে বাংলা সিনেমার এ অবস্থা হতো না। তার পুরো মন্তব্যটাই পড়ুন, “আমাদের একটা প্রজন্ম আছে, ফেসবুক-ইউটিউবসর্বস্ব প্রজন্ম। এই প্রজন্মের কয়দিন পরপর বাংলা সিনেমার জন্য দরদ উথলে পরে। একটা ভাল ট্রেলার রিলিজ হলে দেখবেন তাদের এক একজন পোস্ট দিচ্ছে, ‘বাহ! এই বাংলা সিনেমার ট্রেলারটা অসাধারণ! বাংলা ছবির এত ভালো ট্রেলার আমি জীবনে ও দেখিনি, পুরা হলিউড, সিনেমাটা অবশ্যই হলে গিয়ে দেখব।’ এই ট্রেন্ডটা শুরু হয়েছে ‘চোরাবালি’ সিনেমার ট্রেলার থেকে। চোরাবালি, অগ্নি, মোস্ট ওয়েলকাম, সত্তা, ছুঁয়ে দিলে মন, কিস্তিমাত, মুসাফির, মেন্টাল, জিরো ডিগ্রি, অস্তিত্ব, শিকারী, দেশা, আয়নাবাজি, রাজত্ব, আদি, সম্রাট-সহ অনেকগুলো চলচ্চিত্রের রিলিজের পর তাদের দেখা গিয়েছে। অদূর ভবিষ্যতেও ঢাকা অ্যাটাক, নো ম্যানস ল্যান্ড সিনেমার ট্রেলার রিলিজের পর তাদের দেখা পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়। যারা আমাদের গ্রুপটাকে নিয়মিত ফলো করেন কিংবা নিয়মিত প্রেক্ষাগৃহে যাওয়া আসা রয়েছে তারা একটি বিষয়ে একমত হবেন আশা করি, বিগত কয়েক বছরে বছরে গড়ে ১০টি করে মোটামুটি ভালোমানের চলচ্চিত্র নির্মিত হচ্ছে দেশে। কিন্তু যখন নতুন কোন ট্রেলার রিলিজের পর হোমপেজে এই টাইপ স্ট্যাটাস দেখি সত্যি আমার রাগে গা জ্বলে। এই রকম ট্রেলার জীবনে দেখি নাই, জীবনে ফার্স্ট এই মুভিটা হলে গিয়ে দেখব (যদিও বাস্তবে ডাউনলোড লিঙ্কের বসে থাকে) কথাগুলো বাংলা সিনেমাকে রীতিমতো অপমান করা। এখন আর দেশের চলচ্চিত্র এতোটাই বাজে অবস্থায় নেই। প্রতিনিয়ত ভালো সিনেমা নির্মিত হচ্ছে। কাল ‘শিকারী’র ট্রেলার রিলিজের পর ফেসবুকে অনেক আবেগীয় লেখা দেখলাম! শিকারীর গান একদিনে দশ লাখবার ভিউ হয়েছে। ট্রেলার বোধহয় কয়েক ঘন্টায় লাখবারের মতো হয়েছে, একে নিয়ে পোস্ট হয়েছে আরো অনেকগুলো। অথচ এই দশ লাখ লোক যদি হলে গিয়ে সিনেমাটা দেখত! দশ লক্ষ লোক থেকে যদি ১৫ টাকা করেও পাওয়া যায় দেড় কোটি টাকা! বাংলা সিনেমার বাজেট কত থাকে? কলকাতার বেলাশেষে, হেমলক সোসাইটির মতো মুভি কয়েক কোটি টাকা ব্যবসা করে, চাঁদের পাহাড় লগ্নি তুলে ফেলে অথচ আমাদের ছুঁয়ে দিলে মনের মতো সিনেমার বাজেট তোলার জন্য পরিচালকের দেশে দেশে ঘুরতে হয়, বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করতে হয়, টিভি স্বত্ত্ব বিক্রির জন্য অপেক্ষা করতে হয়, রানআউট মুক্তি দিয়ে পরিচালক আর সিনেমা না বানানোর সিদ্ধান্ত নেয়, কৃষ্ণপক্ষ মুক্তি পায় ১৪ হলে, আইসক্রিম সিনেমার হিট সিনেমা বলতে তর্ক করা লাগে, মুসাফির সিনেমা এক সপ্তাহ পর পাইরেসি হয়, অস্তিত্ব সিনেমার গলাকাটা পোস্টার বের করতে হয় নিম্নশ্রেণীর দর্শকদের কথা চিন্তা করে, মেন্টাল সিনেমার নাম চেঞ্জ করতে হয় সাধারণ দর্শকের কথা ভেবে! আফসোস আর হতাশা। অপেক্ষায় বসে আছি, গতকাল ফ্রেন্ড লিস্টের যে ৭৬ জন এলিট শ্রেণী শিকারীর ট্রেইলার শেয়ার দিলো, যে স্ট্যাটাস সেলিব্রেটি আবেগীয় স্ট্যাটাস দিয়ে হাজার হাজার লাইক কুড়ালেন তাদের শিকারী দেখে চেক ইন দেয়, কয়জন রিভিউ লিখে! আমি মন থেকে চাই এবার ঈদে শিকারী, মেন্টাল, সম্রাট ব্লকবাস্টার হিট হোক। ইন্ডাস্ট্রির জন্য এই লাখ লাখ সিজনাল ভিউয়ারের চেয়ে প্রেক্ষাগৃহের ছাড়পোকার কামড় খাওয়া দর্শকদের প্রয়োজন অনেক অনেক বেশি।”
শাকিব প্রসঙ্গ দিয়ে হাসনাউল রেজা ফিরোজ বলেন, “গত কয়েকদিনে বুঝতে পারলাম যে, এই ব্যক্তির আসলে কোন হেটার নাই। সবাই যতই ট্রল করুক, মন থেকে চাইত ভাই যেন আউল-ফাউল বস্তাপচা মুভিতে কাজ করা বাদ দিয়ে দেয়। ‘শিকারী’ কেমন হবে এর গ্যারান্টি নাই। টালিউডে এসকে মুভিজ আর শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস সাউথ ইন্ডিয়ান বি গ্রেড মুভিগুলোর নির্বিচারে রিমেক বানায়। তবে মুভি যেমনই হোক, এই ম্যানলি লুকটা যেন সবসময় থাকে সেই প্রত্যাশাই থাকবে।”
‘শিকারী’ টিজার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাদিক সাজ্জাদ। তিনি লেখেন, “ভারতের শ্রাবন্তী, রাহুল দেব, সুপ্রিয় দত্ত, সব্যসাচী চক্রবর্তীকে আমি আমার সাধারণ মাল্টিমিডিয়া ফোনেই শনাক্ত করতে পেরেছি! এখন দেশপ্রেমিক ভাইদের নিকট আমার প্রশ্ন, ‘শিকারী’র টিজারে শাকিব ছাড়া বাংলাদেশের আর কতজনকে দেখা গিয়েছে?’
বরাবরের মতো দীর্ঘ স্ট্যাটাসে টিজারটি বিশ্লেষণ করেছেন রহমান মতি। তার মতে, “তা মশাই, আসুন দেখুন খেল খতমের টিজার। যারা নেই কাজ তো খই ভাজার মতো বারংবার গো+এষণা’তে ব্যস্ত ‘শাকিব এই পারে না ঐ পারে না, শাকিবের ভঙ্গি মেয়েলি, শাকিব ঠিকঠাক দাঁড়াতে পারে না’ তাদের বলছি দেখে নিন তো ঝটপট ঈদের সিনেমা ‘শিকারী’-র টিজার। দেখবেন ভালো করে আপনাদের মুখরোচক নিন্দাগুলোর আবার বারোটা যেন না বাজে।
শাকিব ‘সব খেল খতম’ বলেই যে এক্সপ্রেশনটা দিল ওটা দামি জিনিস। ক্লোজ শটে দু’চোখের এক্মপ্রেশনটি অপূর্ব। সাথে পুলিশের সাথে অলিগলি জুড়ে দৌড়ঝাঁপ, ফাইটদৃশ্য পাল্টে যাওয়া শাকিবের ঝলক। কলকাতা দেখুক আমাদের একজন শাকিব আছে।
যখন স্ক্রিনে ভেসে উঠছিল.. a new face. a deadly game. with shakib khan. বেশ টান টান উত্তেজনা হচ্ছিল।তারপর মাত্র ৫৯ সেকেণ্ডের টিজারে শাকিবের এন্ট্রি থেকে ‘সব খেল খতম’ সংলাপ পর্যন্ত পুরোটাই ড্যাশিং প্রেজেন্টেশন। এই তো চাই।
এর মধ্যে মেজাজ খারাপ ব্যাপারও ঘটে গেল.. শাকিবের ডাবিং দেখে.. এন্ট্রি সিনে ট্যাটু দেখে শাহরুখের ‘ডন ২’ এর তুলনা.. ডাবিং করার মোটেও দরকার ছিল না।শাকিবের ভয়েস ম্যানলি না যারা বলে ‘ফুল অ্যান্ড ফাইনাল’-এ ইলিয়াস কোবরার সাথে মার্শাল ফাইট এবং তানভীর খানের সাথে অপারেশনের সময় গাড়িতে বসে বলা সংলাপ দুটো দেখে নেবেন সময় করে। ম্যানলি ছিল আগে থেকেই ঠিকঠাক কাজটা বের করে আনলেই হতো। শাহরুখের ‘ডন ২’-এর ট্যাটু কেমন ছিল তা জানি। ‘সুলতান’ আর ‘ডন’ ট্যাটু এক হল কি করে! সব জায়গায় এর ‘মতো’ ওর ‘মতো’ বলে মাথা খারাপ করা ছাড়ুন। ঐ চর্চাটা বেজায় বিরক্তিকর পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। আরো যারা বলছেন আমাদের দেশের পরিচালকদের এ টিজার দেখে শিক্ষা হওয়া উচিত তারাও বিরক্তি ধরাচ্ছেন।তারা কি ‘মুসাফির’, ‘ছুঁয়ে দিলে মন’ দেখেনি! এই মুহূর্তে শাকিবকে অ্যাপ্রিশিয়েট করা সবচেয়ে বড় কাজ আপনার/আমার। ওসব ‘মতো’বিদ্যা রাখুন। হ্যাঁ, এই মুহূর্তে নিজের ইন্ডাস্ট্রির শাকিব খানকে নিয়ে আমি গর্বিত।’
জিতের ‘বাদশা’র সঙ্গে তুলনা করেন হৃদয় আহমেদ লেখেন, “গতকাল সকালে ডাউনলোড দিয়েছিলাম ‘বাদশা দ্য ডন’র টিজার কিন্তু এই টিজারটা মাত্র তিনবারের মত দেখেছি। অন্যদিকে ‘শিকারী’র টিজার গতকাল রাত ৮টায় ডাউনলোড দিয়েছিলাম কিন্তু এই টিজারটা ৮টা থেকে রাত্র ১০টা পর্যন্ত একনাগারে দেখেছি। ব্যাটারির চার্জ ৬০ থেকে ২০ এ এনে ফেলেছিলাম। আমার বিশ্বাসই হচ্ছিল এটা আমাদের শাকিব খান। জিৎ আমার একজন প্রিয় হিরো হলেও শিকারীর টিজার দেখে আমারতো কলকাতার জিৎ, দেব এদের কথা মনেই নেই। আসলে আমাদের পরিচালকরা শাকিবকে ঠিকমত ইউজ করতে পারেনা। তবে একটা কথা বলতে হচ্ছে যে, এই টিজার এর মাধ্যমে শাকিব খান তার সব হেটারের মন শিকার করে ফেলেছে।”
সৈয়দ নাজমুস সাকিব লেখেন, “ক্লাস নাইনে পড়া আর শাকিব খানকে কখনই সহ্য করতে না পারা আমার দূরসম্পর্কের কাজিন গতকাল স্মার্ট ফোন নিয়ে নাপিতের দোকানে গিয়ে ইউটিউব থেকে ‘হারাব তোকে’ গানটি প্লে করে বলেছে— মামা, এইখানে শাকিব যেভাবে চুলের কাট দিসে, সেভাবে আমারে চুল কেটে দেন।
বুঝতেসি না এগুলা কীসের আলামত! ১৯৯৯ সাল থেকে কাজ করা একটা মানুষকে নিয়ে এতদিন যেই পরিমাণ আলোচনা হইসে, সেই একই মানুষটাকে নিয়ে মনে হয় তার চেয়ে বেশি আলোচনা হইসে গত তিনদিনে।
সত্যি বলছি, অনেক ভাল্লাগে এসব জিনিস। তবে প্রার্থনা একটাই থাকবে- শুধু যাতে লুক, মেকাপ বা গেটাপ চেঞ্জ না হয়, গল্প থেকে শুরু করে এক্সপ্রেশন ; এমনকি লিপস্টিকের পরিমাণেও যাতে পরিবর্তনটা আসে। শুভকামনা। হলে গিয়েই সব সিনেমা দেখব এবার।”
সিনেমাটির বাংলাদেশি পরিচালক বিতর্ক উস্কে দিলেন নুহান তাহেরি। তিনি লেখেন, ‘ব্যাপারটি পছন্দ হল না। অথচ কেউ এটা নিয়ে কিছু বলছে না। জাজ শুরু করসে কি? সীমান্তর নাম ম্যাগনিফাইং গ্লাস দিয়া খুজা লাগবে। এসকে মুভিজ যেখানে আমাদের নাম দেয় না সেখানে আমরা কেন তাদের হাইলাইট করব? আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। জাজের কাছে অনুরোধ, আপনারা প্লিজ ভারতীয়দের নাম প্রকাশ করবেন না।’
একই বিষয়ের অবতারণা করে মুমতাহিন হাবিব লেখেন, “ভারতের সীমান্ত উপকূলে ধেয়ে আসছে সুলতান। এই সীমান্ত উপকূলেই ডুবে গেছে আরেক সীমান্ত। জয়দীপ মুখার্জীর এই ছবিতে বাংলাদেশি ডিরেক্টর হিসেবে জাকির হোসেন সীমান্তর নাম বলা হচ্ছিল যেটা ভারতের এসকে মুভিজের পেইজে একবারও পাওয়া যায়নি। এমনকি ভারতের পত্রিকায়ও না। এই দেখে যারা মুন্ডুপাত করছিলেন তারা প্লিজ জাজের ট্রেলারটা দেখবেন যেখানে সীমান্তর নাম জয়দীপের নিচে হাতড়ে খুঁজতে হবে। যেই কারণে ‘রোমিও ভার্সেস জুলিয়েট’, ‘আশিকী’, ‘বাদশা’র ডিরেক্টর আব্দুল আজিজ সেই একই কারণে ‘শিকারী’র ডিরেক্টর সীমান্ত। তার উপর পুরো টিজারে শ্রাবন্তী, সব্যসাচী, রাহুল দেব, সুপ্রিয় দত্ত, কলকাতা পুলিশ পাওয়া গেলেও এক ঝলকের জন্যও শাকিব ছাড়া বাংলাদেশি কোন আর্টিস্ট বা লোকেশন দেখা যায়নি। তাও হলে গিয়ে আপনাকে এই সুষম যৌথ প্রযোজনার ছবি দেখতে হবে সার্টিফাইড দেশপ্রেমিক হবার জন্য।”
অনেকগুলো প্রশ্ন নিয়ে মো. আল-আমিন মোল্লা লেখেন, “হঠাৎ করে এদেশের শিক্ষিত শ্রেণী শাকিবের প্রশংসা করছে। আমি যদি বলি এটা শাকিব প্রীতি না বিদেশ প্রীতি তাহলে কি ভুল হবে?
‘শিকারী’র শাকিবে তারা কি এমন দেখলো যে তারা শাকিবের গুনগান করছে। ‘শিকারী’ আর দশটা ভারতীয় বাংলা ছবির মতো তামিল ছবির নকল। আর যদি অভিনয়ের কথা বলি তাহলে শাকিবের অভিনয় নিয়ে এখন আর প্রশ্ন করার অবকাশ নেই। তাহলে কি তারা সবাই শিকারীতে শাকিবের ভিন্ন লুক এর জন্য তাকে পছন্দ করেছে। সঠিক উত্তর সেটাও না। কারণ মেন্টাল আর সম্রাট এর শাকিবও গুড লুকিং। সেটা নিয়ে তো কেউ বলছে না।
তাহলে হঠাৎ তাদের শাকিব কে কেন ভালো লাগছে? উত্তর আমাদের বিদেশ প্রীতি। আরো স্পষ্ট করে বললে ভারত প্রীতি।
ব্রড-এন্ডারসন টেস্টে যত ভালো বল করুক আইপিএলে তারা দল পাই নাই তাই তারা লুথা।
শাকিবও এতোদিন বাংলাদেশে কম বাজেটে তামিল ছবির নকল করেছে তাই তাদের ভালো লাগে নাই। এখন একটু বেশি বাজেটে তামিলের নকল করবে এই যা। শুধু নায়কের ভালো লুকের জন্য নিশ্চয় কেউ একটা মুভি দেখবে না। এরা আসলে সিজনাল ফ্যান আরো ভালো করে বললে মোবাইল ফ্যান। তাই এদের কথার দাম আমার কাছে নাই। হলেও বসে মুভি দেখে দুইটা গালি দিলেও ভালো। কিন্তু মোবাইলে দেখে প্রশংসার বন্যা করলেও লাভ নাই।”
https://www.youtube.com/watch?v=bQ_GbsyiLkI&feature=youtu.be