Select Page

দেশে শুটিং করছে না জাজ, দোষ চলচ্চিত্র পরিবারের!

দেশে শুটিং করছে না জাজ, দোষ চলচ্চিত্র পরিবারের!

পুরোপুরি ভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিবারকে দোষ দিল জাজ মাল্টিমিডিয়া। সংগঠনটি মূলত যৌথ প্রযোজনার অনিয়ম নিয়ে আন্দোলন তুলেছিল, অন্যদিকে যথাযথ নিয়ম না মানায় জাজ প্রযোজিত ‘বেপরোয়া’ সিনেমাটির বিদেশি কলাকুশলীরা দেশ ত্যাগে বাধ্য হয়। এক ফেসবুক পোস্টে জাজ সে দায় দিল চলচ্চিত্র পরিবারকে। দেখুন কী লিখেছে—

‘রামুজি ফিল্ম সিটি, হাদ্রাবাদ।

বেপরোয়ার শুটিং চলছে। এই শুটিংটা বাংলাদেশে হওয়ার কথা ছিল। বেকার খান ও বেকার সাহেবদের নানান বাঁধার কারণে, এখন রামুজি ফিল্ম সিটিতে শুটিং করছি।

জাজ কি বেকার খানদের সাথে পাল্লা দিয়ে শুটিং করতে পারতো না? অবশ্যই পারতো। কিন্তু আমরা চাই, যাদের ক্ষতি হয়েছে, তারা কথা বলুক, তারা সোচ্চার হোক, তারা প্রতিবাদ করুক। ক্ষতি হয়েছে, প্রোডাকশন বয়, লাইট বয়, ট্রলি, মেকাপ, ইলেকট্রেসিয়ান তথা এফডিসির যারা নিয়মিত কাজ করে, তাদের ক্ষতি হয়েছে। আর ক্ষতি হয়েছে এফডিসির, জাজ যদি রামুজি ফিল্ম সিটিতে শুটিং না করে, এফডিসির করতো তাহলে এফডিসি ৩০ লক্ষ টাকার মোট বিল পেত। এখন এই টাকা পাবে রামুজি ফিল্ম সিটি।

আর জাজের কি কোন আর্থিক ক্ষতি হয়েছে? না, বরং কিছুটা ভালো হয়েছে। বাংলাদেশ শুটিং করলে, সিনেমাটা বানাতে লাগত ৪০দিন, আর রামুজি ফিল্ম সিটিতে শুটিং করার জন্য লাগবে ৩০ দিন, যেহেতু লোকেশন, আর্টিস্ট, টেকনিশিয়ান সব এক জায়গায়।

আর ১০দিন শুটিং কম হওয়ার কারণে জাজের ৪০ লক্ষ টাকা কম লাগবে, তাছাড়া রামুজি ফিল্ম সিটিতে সেট বানানো থাকে বলে, আমার সেট বানানোর খরচ বেছে যাবে ২০ লক্ষ টাকা।

আর এই অতিরিক্ত ৬০ লক্ষ টাকা দিয়ে, সবার প্লেন ভাড়া, হোটেল ভাড়া, কিছু অতিরিক্ত খরচ করেও কিছু টাকা বেছে যাবে।

অর্থাৎ বেকার খান জাজের ক্ষতি করতে গিয়ে, জাজের লাভ করেছে, আর এফডিসির খেঁটে খাওয়া মানুষের ক্ষতি করেছে।

এখন যা করার এফডিসির লোকজনই বলুক, এটার প্রতিবাদ এখন তাদেরই করতে হবে। জাজ কিছু করবে না বা বলবে না এই ব্যাপারে।’

উল্লেখ্য, ভারতীয় নির্মাতা রাজা চন্দ পরিচালিত ‘বেপরোয়া’ সিনেমায় অভিনয় করছেন রোশান ও ববি।


Leave a reply