Select Page

দোয়েল কথা

দোয়েল কথা

দোয়েল বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের মানসম্মত একজন অভিনেত্রী। ন্যাচারাল অভিনয়দক্ষতা দিয়ে নিজের সাফল্য কুড়িয়েছিল।

জন্ম ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৬৬, বিক্রমপুর। মূলনাম ইফতে আরা ডালিয়া। অভিনেতা সুব্রত-র সাথে ১৯৮৮ সালে বিয়ে হয় তাঁর। তাঁদের মেয়ে দিঘি এখন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। দিঘি প্রথমদিকে শিশুশিল্পী ছিল এবং তার ক্যারিয়ার গঠনে মা দোয়েলের অবদান ছিল।

দোয়েলের চলচ্চিত্রে আসা আশির দশকে। ১৯৮৪ সালে নামকরা পরিচালক চাষী নজরুল ইসলামের ‘চন্দ্রনাথ’ ছবির মাধ্যমে দোয়েলের অভিষেক ঘটে। ছবিটি ছিল অমর কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস থেকে নির্মিত। দোয়েল সরযূ চরিত্রে অভিনয় করেছিল। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি এর দুই বছর পর লাক্সের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবেও দোয়েলকে দেখা যায়।

প্রথম ছবি ‘চন্দ্রনাথ’
উল্লেখযোগ্য ছবি :
চন্দ্রনাথ, হিসাব নিকাশ, দুঃখ নেই, লক্ষী বধূ, সৎভাই, তওবা, জিপসি সর্দার, প্রেমকাহিনী, ওগো বিদেশিনী, আজ তোমার কাল আমার, মার্শাল হিরো, মাস্টার সামুরাই, বিক্রম, ন্যায়যুদ্ধ, ভাইভাবী, খোঁজখবর, কাবুলিওয়ালা।

প্রথম ছবি ‘চন্দ্রনাথ’-এই দোয়েলের অভিনয়প্রতিভার প্রকাশ ঘটেছিল। চমৎকার ন্যাচারাল অভিনয়। নায়করাজ রাজ্জাকের বিপরীতে ছিল। শরৎচন্দ্রের গল্পে নায়িকা হওয়া প্রথম ছবিতেই চ্যালেঞ্জিং ছিল তাঁর জন্য এবং দোয়েল সে চ্যালেঞ্জটি ভালোভাবেই নিতে পেরেছিল। ছবিতে তাঁর অভিনয় দেখে কোনোভাবেই প্রথম ছবি মনে হবে না। ‘লক্ষীবধূ’ ছবিটি সোহেল চৌধুরীর সবচেয়ে জনপ্রিয় ছবি এবং এ ছবিতে নায়িকা ছিল দোয়েল। এ ছবিতেও তার লুক ও অভিনয় অসাধারণ। রাজ্জাক পরিচালিত ‘সৎভাই’ ছবিতে আলীরাজের বিপরীতে ছিল। ইলিয়াস কাঞ্চনের সাথে ‘প্রেমকাহিনী’ ছবিটিও ভিন্নরকম রোমান্টিক ছবি ছিল তাঁর। শেষ ছবি ‘কাবুলিওয়ালা’-তে দিঘির মায়ের চরিত্রেই দেখা গেছে। দোয়েল সব ছবিতেই তাঁর সহজাত অভিনয় দেখিয়েছিল।

ক্যান্সারে আক্রান্তের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১১ সালের ২৯ ডিসেম্বর ঢাকায় দোয়েলের মৃত্যু হয়। দিঘি খুব ছোটবেলাতেই মাতৃহারা হয়ে যায় তাঁর মৃত্যুতে।

দোয়েল মানসম্মত ছবিতে কাজ করে গেছে যতদিন কাজ করেছিল। এটাই তাঁকে স্মরণীয় করে রাখবে দর্শকের কাছে।


About The Author

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র গত শতকে যেভাবে সমৃদ্ধ ছিল সেই সমৃদ্ধির দিকে আবারও যেতে প্রতিদিনই স্বপ্ন দেখি। সেকালের সিনেমা থেকে গ্রহণ বর্জন করে আগামী দিনের চলচ্চিত্রের প্ল্যাটফর্ম গড়ে উঠুক। আমি প্রথমত একজন চলচ্চিত্র দর্শক তারপর সমালোচক হিশেবে প্রতিষ্ঠিত হবার স্বপ্ন দেখি। দেশের সিনেমার সোনালি দিনের উৎকর্ষ জানাতে গবেষণামূলক কাজ করে আগামী প্রজন্মকে দেশের সিনেমাপ্রেমী করার সাধনা করে যেতে চাই।

Leave a reply