নকল ‘পাসওয়ার্ড’ নিয়ে সেন্সর বোর্ডে অভিযোগ
শাকিব খান অভিনীত ও মালেক আফসারী পরিচালিত ঈদের সিনেমা ‘পাসওয়ার্ড’-এর বিরুদ্ধে উঠেছে নকলের অভিযোগ। কোরিয়ান ছবি ‘দ্য টার্গেট’ থেকে নকল করা হয়েছে ছবিটি। এবার প্রযোজক শাকিব খান ও মো. ইকবাল এবং পরিচালক মালেক আফসারীর বিরুদ্ধে সেন্সর বোর্ডের নীতিমালা অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য লিখিত আবেদন করেছেন চলচ্চিত্র কর্মী আনন্দ কুটুম।
সারাবাংলা ডটনেট জানায়, সোমবার ‘দ্যা টার্গেট’ ছবিটি এবং একটি চিঠি তিনি দিয়েছেন সেন্সর বোর্ডে। সেখানে ৮টি পয়েন্ট উল্লেখ করে তিনি ছবিটি এবং পরিচালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেছেন।
চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন- পাসওয়ার্ড ছবির কোথাও উল্লেখ নেই যে এটি ‘দ্য টার্গেট’ ছবির কপিরাইট নিয়ে নির্মিত হয়েছে। ছবির কোথাও উল্লেখ নেই যে এটি বিদেশি সিনেমার ছায়া অবলম্বনে নির্মিত। পুনঃসেন্সরের মাধ্যমে পরিস্কার হওয়া যাবে যে ‘পাসওয়ার্ড’ ছবিটি নকল। লোকেশন ভিন্ন হলেও দুটো সিনেমার দৃশ্যধারণ করা হয়েছে একইভাবে। গল্প, দৃশ্য, শট, অ্যাকশন, নকলের পাশাপাশি প্রপসের ক্ষেত্রেও নকল করার প্রবনতা ছিল।
যখন একজন পরিচালক বিদেশি সিনেমা নকল করেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে বলে যে এটা নকল নয়-গবেষণা, তখন পরবর্তী প্রজন্মের নির্মাতারা আশাহত হন। অন্যের গল্প এবং দৃশ্যধারণ নিজের নামে চালিয়ে দেওয়া কি নিয়ম বহিঃর্ভূত নয়?
কোরিয়ান সিনেমা দ্য টার্গেটের দৈর্ঘ্য ১ ঘণ্টা ৩৭ মিনিট, পাসওয়ার্ড ছবির দৈর্ঘ্য ২ ঘণ্টা ১৭ মিনিট। এ কারণে পাসওয়ার্ড ছবিটি নকল নয়-এমনটা দাবি করেন পরিচালক মালেক আফসারি। উল্লেখ্য- গান ও কয়েকটি দৃশ্য বাদে পাসওয়ার্ড ছবিটি পুরোটাই নকল।
চিঠিটি সেন্সর বোর্ড গ্রহণ করেছে। এ প্রসঙ্গে অভিযোগকারি আনন্দ কুটুম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘মালেক আফসারীর মত পরিচালকদের এই বার্তাটুকুই আমরা পৌঁছে দিতে চাই যে, দেশ এতোটা অথর্ব হয়ে পরেনি যে এখানে যা ইচ্ছা তাই বলে দেওয়া যায়। যা ইচ্ছা তাই চুরি করে হজম করে ফেলা যায়।’
এমন অবস্থায় সেন্সর বোর্ডের পদক্ষেপ কেমন হতে পারে? যদি সব প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে ছবি ও পরিচালকের বিরুদ্ধে কতটুকুই বা করতে পারবে সেন্সর বোর্ড?
এ প্রসঙ্গে সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান নিজুমূল কবীর বলেন, ‘আমাদের পরবর্তী সভার এজেন্ডায় এই বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হলে আমরা অবশ্যই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। অনেক ধরণের পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। তবে সবচেয়ে প্রচলিত নিয়ম হলো যেসব জায়গায় বা দৃশ্যে সমস্যা বা নকলের অভিযোগ রয়েছে সেসব দৃশ্য কেটে আবার সেন্সরে জমা দেওয়া।’
এর আগে মুরাদ পারভেজের সরকারি অনুদানের ছবি ‘বৃহন্নলা’র বিরুদ্ধে গল্প চুরির অভিযোগ আনেন আনন্দ কুটুম। পরে তা প্রমাণিত হয়।