Select Page

নির্ভরশীল নায়িকা মাহিয়া মাহি!!

নির্ভরশীল নায়িকা মাহিয়া মাহি!!

মাহি কি সত্যিই নির্ভরশীল নায়িকা? ছিল নাকি আছে? তাহলে বা কার উপরই? এ বিষয়টি ভাবতে গেলেই কিছু পয়েন্ট মাথার মধ্যে চলে আসে—

১. জাজ নির্ভর
২. নায়ক নির্ভর
৩. পরিচালক নির্ভর
৪. অভিন্ন ধারার গল্পে নির্ভর

জাজ নির্ভর : এটা নিয়ে বিগত কয়েক বছরে অনেক লিখেছি, তবে নতুন করে আবারো মনে করিয়ে দেই..

যেহেতু অভিষেক জাজ/মাহির একই সাথে, সেহেতু কেউ কারো উপর নির্ভরশীল হতে পারে না। জনপ্রিয়তা অভিন্ন। তবে মাহি জাজে থাকাকালীন,  জাজের জনপ্রিয়তা মাহিতে সীমাবদ্ধ থাকলেও,  মাহির ছিল না। একইসাথে ;জাজের বাইরে কাজ করে পেয়েছে সফলতা।

নায়ক নির্ভর : আঠারোটি সিনেমায় এগারোজন নায়ক। যাদের অধিকাংশই নতুন মুখ, উঠতি নায়ক ছিল। আপকামিং সতেরোটি সিনেমাতেও থাকবে প্রায় ১৪/১৫ জন নায়ক। যাদের অধিকাংশই নতুন মুখ। পূর্বের মতোই সিনেমা গুলোর গল্প ঘিরে আছে মাহিয়া মাহি।

একাধিক কাজ করা সহশিল্পী বাপ্পীর উপর নির্ভরশীল ছিল, এমনটাও কেউ বলতে পারবে না। কারণ মাহির সর্বচ্চো সফলতা পাওয়া সিনেমাগুলোও রয়েছে অভিষেক জুটির বাইরে।

পরিচালক নির্ভর : একটি সিনেমার পরিচালককে বলা হয় ‘ক্যাপ্টেন অফ দ্য শিপ’.. যাদের চেষ্টাতেই গড়ে ওঠে জনপ্রিয় সব শিল্পী। তাই অস্বীকার করবার কিছু নেই। তবে মাহির আজকের অবস্থানে আসার জন্য নির্দিষ্ট কোন পরিচালকের অস্তিত্ব নেই। তবে সকল পরিচালকের যত্নেই আজকের মাহির অবস্থান। মুক্তিপ্রাপ্ত ১৮টি সিনেমায় রয়েছে ১২জন পরিচালক। এবং বর্তমানে আরো নতুন এক ডজন পরিচালকের পরিচালনায় নিজেকে প্রস্তুত করছেন। সুতরাং মাহি কোন পরিচালক নির্ভর এ রকমটা বলার কোন সুযোগ নেই। বরঞ্চ নতুন পরিচালকেরা মিডিয়াতে আসার জন্য ধরতে চাইছে মাহির হাত।

তাহলে কি অভিন্ন ধারার গল্পে নির্ভর?  এটার উত্তর সবাই ভালো জানি। পাচ বছরের ক্যারিয়ারে মাত্র আঠারো সিনেমা, সে দেখিয়েছে ভালবাসায় পুড়ে কতটা খাঁটি হয় প্রেম, প্রতিশোধের নেশায় কতটা নির্মম হয় মানুষ, ধনীর অত্যাচারে কতটা নিথর হওয়া যায়, দেখিয়েছে কিভাবে আন্ডারওয়ার্ল্ডের ডন হয়ে শাসন করতে হয়, কিভাবে মানুষকে হাসাতে হয়। তার মাঝে দেখেছি দৃষ্টিহীন মানুষের কান্না, শুনেছি শান্ত মেয়ের আর্তনাদ, বুঝেছি বদ্ধ ডানার উড়ন্ত স্পৃহা।

চারিত্রিক প্রয়োজনে কতবারই না নিজেকে পাল্টিয়েছে। কখনো চিটিংবাজ, কখনো উপস্থাপিকা, কখনো সাংবাদিকতা আর ভালবাসার গল্পগুলোতে তো আছেই।

হাতে থাকা অসংখ্য সিনেমাতেও রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্র। তাই আর যাই বলুন না কেন, ‘একই ধারার গল্পে নির্ভর মাহি’ এমনটা বলা যাবেনা।

তাহলে মাহি কার উপর নির্ভরশীল?? নির্ভরশীল তো বটেই, তবে সেটা ভক্তের উপর। যে মানুষগুলো ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ফেসবুকে এসে প্রিয় নায়িকার উদ্দেশ্যে সময় কাটায়, যে মানুষগুলো প্রিয় নায়িকার সিনেমার জন্য লাইন ধরে প্রেক্ষাগৃহে দাঁড়িয়ে থাকে, যে মানুষগুলো বাসায় মিথ্যা বলে টাকা নিয়ে ব্লাকের টিকিট কাউন্টারে দেয়,তাদের উপরই নির্ভরশীল মাহিয়া মাহি। এটা মাহি নিজেও অস্বীকার করতে পারবে না। এরা ছিল বলেই তার আজকের অবস্থান, এরা আছে বলেই তার আগামীর শক্তি।

তবে হ্যাঁ! নির্দিষ্ট কোন ভক্তের উপর মাহি কখনই নির্ভরশীল ছিল না, এমনকি আজও নেই।

আজকের আলোচনায় এটাই প্রমাণ করতে চাইছিলাম যে মাহি কখনই কারও উপর নির্ভরশীল হতে পারে না। একবার ভাবুন তো,মুক্তিপ্রাপ্ত আঠারো সিনেমায় ১১ জন নায়ক, ১২ জন পরিচালক এবং ১০টি প্রযোজনা সংস্থা। তাহলে কিভাবে সে কারও উপর নির্ভরশীল ছিল। তার হাতে থাকা সতেরোটি সিনেমাতে ১৫ জন নায়ক, এক ডজন পরিচালক। একমাত্র জাজ মাল্টিমিডিয়ার ব্যানারে দেখা যাচ্ছে না তার নতুন সিনেমা। তবে সমস্ত প্রযোজনা সংস্থা গুলোতে রয়েছে মাহির চাহিদা। বর্তমানে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম, হার্টবিট প্রডাকশন, একশন-কাট এন্টারটেইনমেন্ট, স্প্ল্যাশ মাল্টিমিডিয়া, অভি কথাচিত্র/টাইগার মিডিয়া,থ্রি হুইলার লিঃ, এস এস মাল্টিমিডিয়া,সাগা এন্টারটেইনমেন্ট, চাটগাঁ ফিল্মস, চিত্রবানি মিডিয়া, ফোর সিজন,  জান্নাত কথাচিত্রসহ বিভিন্ন প্রযোজনা সংস্থাগুলো ভাবছে মাহিকে নিয়ে।

ওপার বাংলায় রয়েছে আলাদা চাহিদা, সেখানকার স্থানীয় এসকে মুভিজও চাইছে মাহিকে।

সর্বত্রই মাহির চাহিদা, সর্বত্রই তার ভিন্নতা, এ থেকে কি প্রমাণ হয়না ‘মাহি কখনই কারও উপর নির্ভরশীল ছিল না। এমনকি আজও নেই!!?’


Leave a reply