নিশিকথা
নিশি…
হরিণী চোখের নায়িকা। মডেলও ছিল। নব্বই দশকে আগমন এবং ২০০০ পরবর্তী কিছু ছবিতেও কাজ করেছে। প্রথমদিকে ভালো মানের ছবিতে কাজ করলেও পরে কয়েকটি অশ্লীল ছবিও করেছে। চোখ দুটো খুব আকর্ষণীয় ছিল। অভিনয় ভালো ছিল।
প্রথম ছবি ‘চোখে চোখে।’ অন্যান্য ছবি – মৌমাছি, লজ্জা, পরাণ কোকিলা, আজকের হিটলার, কথা দাও, মাতৃভূমি, প্রেমের কসম, আখেরি হামলা, বীর সন্তান, জানের দুশমন, মা যখন বিচারক, আন্দোলন, দেশের মাটি, দোস্ত আমার দুশমন, মেয়ের অধিকার, গরিব কেন কাঁদে, মায়ের কসম, শক্তের ভক্ত, নারী আন্দোলন, আলী বাবা, মেয়েরাও মাস্তান।
‘চোখে চোখে’ প্রথম ছবি হলেও বেশ ভালো অভিনয় করেছিল। নাঈমকে পছন্দ করত কিন্তু নাঈম পাত্তা দিত না। ‘কথা দাও’ ছবিতেও ওমর সানীর প্রেমে পড়ে কিন্তু তাকে পায় না। স্যাক্রিফাইসিং রোলে তার বেশকিছু ছবি ছিল বলা যায়।
‘মৌমাছি’ ছবিতে নিশির অভিনয় বেশ ভালো ছিল। বাবার অসহায় অবস্থার জন্য বাধ্য হয়ে সামাজিকতার বাইরের জীবন বেছে নিতে হয় তাকে। ভায়োলিন বাজিয়ে শোনানো বাবার কষ্টটা বোঝার জন্য তার কান্নার অভিনয় মনে দাগ কেটেছিল।
‘দোস্ত আমার দুশমন’ ছবিটি তার ক্যারিয়ারে ভূমিকা রেখেছিল।
‘আজকের হিটলার’ ছবিতে হুমায়ুন ফরীদির পুত্রবধূ থাকে নিশি। নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য ফরীদি ছেলে ও পুত্রবধূ নিশি দুজনকেই খুন করে।
‘মা যখন বিচারক’ ছবিতে বাপ্পারাজের বিপরীতে ‘যেজন প্রেমের ভাব জানে না’ এবং ‘মাতৃভূমি” ছবিতে আমিন খানের বিপরীতে ‘কালবোশেখী মেঘ তুই’ গান দুটি জনপ্রিয়। ‘বীর সন্তান, কথা দাও, আন্দোলন, দেশের মাটি’ ছবিগুলোও উল্লেখযোগ্য। রোমান্টিক, ফ্যামিলি ড্রামার বাইরেও লেডি অ্যাকশন ছবিতেও নিশির পারফরম্যান্স ভালো ছিল। ভিউকার্ড যখন জনপ্রিয় ছিল নিশিরও ভিউকার্ড পাওয়া যেত।
নিশি কিছু অশ্লীল ছবিতেও কাজ করে সমালোচিত হয়েছিল।
নিশির ভালো মানের ছবিগুলো দিয়েই একটা অংশ হয়ে থাকবে চলচ্চিত্রে।