নিয়ম মেনে মুক্তি পেয়েছে দুই বিতর্কিত ছবি, বিবৃতিতে তথ্য অধিদপ্তর!
নিয়ম মেনেই যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র ‘নবাব’ ও ‘বস-২’ মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এক বিবৃতির মাধ্যমে সম্প্রতি তথ্য অধিদপ্তর (পিআইডি) এ কথা জানিয়েছে। খবর এনটিভি অনলাইন।
সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত চলচ্চিত্র ‘নবাব’ ও ‘বস-২’ মুক্তির বিরোধিতা করে আসছে চলচ্চিত্র সমাজের একটি অংশ। এর মধ্যেই পিআইডি এ ব্যাপারে বিবৃতি দিল।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যৌথ প্রযোজনায় চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে এবং এ নীতিমালার আলোকে যৌথ প্রযোজনায় চলচ্চিত্র নির্মাণের বিষয়টি তদারকি করার জন্য এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে প্রধান করে চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পীদের প্রতিনিধির সমন্বয়ে ‘যৌথ প্রযোজনা চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রিভিউ কমিটি’ রয়েছে। এ প্রিভিউ কমিটি যৌথ প্রযোজনায় চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য চিত্রনাট্য কলাকুশলীর সংখ্যাসহ পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব নীতিমালা অনুযায়ী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অনুমোদন দেওয়ার পরই কেবল যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করা যায়।
যৌথ প্রযোজনায় চলচ্চিত্র নির্মাণ শেষে আবারও ছবিটি প্রিভিউ কমিটির নিকট জমা দিতে হয়। প্রিভিউ কমিটি পুনরায় নির্মিত চলচ্চিত্রটি নীতিমালা অনুযায়ী নির্মিত হয়েছে কি না, তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাছাই-বাছাই করে ছাড়পত্র প্রদান করলেই চলচ্চিত্রটির নির্মাতা/প্রযোজক তা সেন্সর সনদের জন্য সেন্সর বোর্ডে জমা দেন। সেন্সরবোর্ড অন্যান্য চলচ্চিত্রের মতোই সেন্সর আইন অনুযায়ী চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করে। কর্তন-বিয়োজনের পরামর্শ থাকলে, তা প্রদান করে। সেই অনুযায়ী নির্মাতা/প্রযোজক চলচ্চিত্রটি কর্তন-বিয়োজন করে পুনরায় সেন্সর বোর্ডে জমা দিলে, সেন্সর বোর্ড পুনরায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আইন অনুযায়ী সেন্সর সনদ প্রদান করে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সেন্সর সনদপ্রাপ্ত যে কোনো চলচ্চিত্রের মতোই যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত চলচ্চিত্র মুক্তির বিষয়টি চলচ্চিত্রটির নির্মাতা/প্রযোজক, পরিবেশক, প্রদর্শকদের নিজস্ব বিষয়। সামগ্রিক এ প্রক্রিয়ায় কোথায়ও সরকারে পক্ষ থেকে কোনো প্রভাব বিস্তার করা বা আইনের বাইরে পা ফেলার সুযোগ নেই। উল্লিখিত চলচ্চিত্র দুটির বিষয়েও একই নীতি অনুসৃত হয়েছে।
যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত চলচ্চিত্র ‘বস-২’ এর বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে দেওয়া লিখিত অভিযোগটিও বিধি অনুযায়ী মন্ত্রণালয় সঙ্গে সঙ্গেই সাথেই ‘যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রিভিউ কমিটি’র কাছে পাঠায়। প্রিভিউ কমিটি অভিযোগটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সর্বসম্মতিক্রমে অনাপত্তি ছাড়পত্র প্রদান করে। প্রিভিউ কমিটির অনাপত্তি ছাড়পত্র পাবার পর ‘বস-২’-এর নির্মাতা/প্রযোজক সেন্সর সনদের জন্য সেন্সর বোর্ডে জমা দেন। সেন্সরবোর্ড আইন অনুযায়ী চলচ্চিত্রটি দেখে সেন্সর সনদপত্র প্রদান করে। ‘বস-২’ এর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির বিষয়টি চলচ্চিত্রটির নির্মাতা/প্রযোজক, পরিবেশক, প্রদর্শকদের একান্ত নিজস্ব বিষয়।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নিতে সরকার ও সরকারের সকল সংস্থা বদ্ধপরিকর। কোনো ব্যক্তিস্বার্থ রক্ষা বা হীন উদ্দেশে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য প্রদান বা গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকার জন্যও পিআইডির বিবৃতিতে সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে।