নেপথ্য কাহিনি: নেপালে গিয়ে গল্প লেখার অদ্ভুত আবদার
আহমেদ জামান চৌধুরী নামে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের পর্দার পেছনে একজন অসাধারণ মেধাবী ব্যক্তি ছিলেন যার সম্পর্কে আজকের বাংলা চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির অনেক বড় বড় প্রযোজক-পরিচালকরা জানেন না।
সিনে সাংবাদিক থেকে চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির একজন প্রভাবশালী ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব হয়েছিলেন মেধা ও কর্মগুণে।
আহমেদ জামান চৌধুরীকে কীভাবে তৎকালীন সময়ের প্রযোজক-পরিচালকরা সমীহ করতেন তার একটা ছোট ঘটনা বলি, চিত্রনায়িকা শাবানা তখন শীর্ষ সারির একজন প্রযোজক। শাবানার এসএস প্রোডাকশনের সিনেমা মানে বিগ বাজেটের বিগ প্রজেক্ট।
এ প্রোডাকশনের সিনেমাগুলোর সাফল্যের হার ৯৯ শতাংশ। ১৯৮৮ সালের শেষ দিকে এখান থেকে মতিন রহমান পরিচালিত একটা সিনেমা নির্মাণের পরিকল্পনা হয়, আর কাহিনি লেখার দায়িত্ব পড়ে আহমেদ জামান চৌধুরীর ওপর।
আহমেদ জামান চৌধুরী শাবানাকে জিজ্ঞেস করেন, সিনেমার শুটিং কোথায় হবে? শাবানা জবাব দিলেন, নেপালে। আহমেদ জামান চৌধুরী ততক্ষনাৎ বলে দিলেন, কাহিনি-চিত্রনাট্য লেখার আগে আমাকে নেপাল যেতে হবে এবং নেপালে বসেই সিনেমার স্ক্রিপ্ট লিখতে হবে।
শুটিং শুরুর ৩ মাস আগে চৌধুরী সাহেবের নেপালে যাওয়ার বায়না শুনে শাবানা চিন্তিত হয়ে পড়লেন। আহমেদ জামান চৌধুরী সিদ্ধান্তে অনড়, তা না হলে তিনি লিখবেন না। অবশেষে শাবানা রাজী হয়ে গেলেন। তো নিরূপায় প্রযোজক শাবানা আহমেদ জামান চৌধুরীকে নেপালে পাঠিয়ে দিলেন।
তো, চৌধুরী যে স্ক্রিপ্ট লিখলেন সেই সিনেমা মুক্তি পাওয়ার পর বছরের সেরা ব্যবসাসফল সিনেমাগুলোর একটি তো হয়ই, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ৩টি শাখায় ছবিটি পুরস্কার লাভ করে। যার নাম ছিল ‘রাঙা ভাবী’।
‘রাঙা ভাবী’ নিয়ে বিস্তারিত পড়ুন মতিন রহমানের ‘রাঙা ভাবী’ : যে গল্পের ছবি আজ হয় না