নোটিশের জবাবে কী বললেন বাপ্পারাজ?
হেয়প্রতিপন্ন করার অভিযোগে শাকিব খানকে নিষিদ্ধ করেছিল পরিচালক সমিতি। পরিচালক শামীম আহমেদ রনির ফাড়া না কাটলেও শাকিবের সঙ্গে মিটমাট হয়ে গেছে। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই গত রোববার নায়ক ও পরিচালক বাপ্পারাজকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করল চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি। সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম স্বাক্ষরিত চিঠি বাপ্পারাজের গুলশানের বাসায় পাঠানো হয়েছে। চিঠিটি গ্রহণ না করে উল্টো পরিচালক সমিতিকে তাদের এমন কর্মকাণ্ডের জন্য সতর্ক করেন বাপ্পারাজ।
চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির দেওয়া নোটিশে উল্লেখ করা হয়, একটি জাতীয় দৈনিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাপ্পারাজ পরিচালক সমিতিকে হেয়প্রতিপন্ন করেছেন। পত্রিকায় প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে বাপ্পারাজ বলেছিলেন, ‘যদি ফিল্মের উন্নয়ন হয় কারও দ্বারা, সেটা পরিচালক সমিতির দ্বারা সম্ভব। পরিচালক সমিতির হাতে অনেক ক্ষমতা ও সুযোগ রয়েছে। বাংলা চলচ্চিত্রকে চাইলে তারা অনেক দূর নিয়ে যেতে পারে। বুস্টিং, প্রমোটিং এগুলো সম্পূর্ণ তাদের এখতিয়ারে রয়েছে। অথচ তারা কোনো কাজ না করে একজন আরেকজনের পেছনে লাগছে। তারা কোনো কাজের কাজ করছে না।’
চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি মনে করে, পরিচালক হয়েও তাঁর এমন বক্তব্যে সমিতির শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়েছে। সমিতিকে হেয়প্রতিপন্ন করে যে সাক্ষাৎকার বাপ্পারাজ দিয়েছেন, সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিবাদলিপি না পাঠানো কিংবা দুঃখ প্রকাশও না করায় এটিকে ইচ্ছাকৃতভাবে বলে মনে করছে সমিতি। এ অবস্থায় গঠনতন্ত্রের ৫(ক) ধারা মোতাবেক কেন তাঁর সদস্যপদ বাতিল করা হবে না, তার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
পরিচালক সমিতির কাছ থেকে পাওয়া এমন নোটিশে বেশ চটেছেন নায়করাজ রাজ্জাক-তনয় বাপ্পারাজ। তিনি বলেন, ‘আমি যা বলি, ভেবেচিন্তেই বলি। আমি কখনো না জেনে কিংবা না বুঝে কথা বলার মানুষ নই। তাই পরিচালক সমিতি নিয়ে যা বলেছি, তা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করার কোনো প্রশ্নই আসে না।’
বাপ্পারাজ এও বলেন, ‘আমি তাদের (পরিচালক সমিতি) জানিয়ে দিয়েছি, আপনারা যা মন চায় তাই করেন। পরিচালক সমিতির সদস্যপদ যদি বাতিল করে দেন, তাহলে যে টাকা জমা দিয়েছিলাম, তা আমাকে ফেরত দিয়ে দিতে হবে।’
নোটিশের উত্তরে কী বলেছেন এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘উত্তরে কী বলেছি সেটি সমিতির মাধ্যমেই জানতে পারবেন আপনারা। তবে আমার মনে হয়েছে সমিতির নেতারা অনেক ক্ষেত্রেই ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। তারা বিষয়গুলো সামগ্রিকভাবে চিন্তা করছেন না। আমি যে কথাগুলো বলেছি তার পেছনে যুক্তিও রয়েছে। আমি সেটা উপস্থাপন করেছি। এখন তারা যদি আমাকে নিষিদ্ধ করেন আমার কোনো আপত্তি নেই। নিষিদ্ধ হলে আমার যে পাওনা তারা সেটি মিটিয়ে দিলেই হবে। এর বাইরে আমার আর কোনো কথা নেই। তবে মনে রাখা উচিত পরিচালক সমিতি কারও একার প্রতিষ্ঠান নয়, ব্যক্তি আক্রোশে এটিকে ব্যবহার করাও অন্যায়।’
এদিকে বাপ্পারাজের ভাই নায়ক সম্রাট জানিয়েছেন, চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সকল সংগঠনকে নিজেকে গুটিয়ে নেবেন তিনি।
সূত্র : প্রথম আলো, যুগান্তর, রাইজিং বিডি।