পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে জানানো হয় ‘দি রেইন’-এর বৈদেশিক আয়
বিশ্ব বাজারের জন্য তৈরি প্রথম বাংলাদেশি রঙিন ছবি— এই ট্যাগলাইন নিয়ে মুকিত পেয়েছিল এস এম শফির ‘দি রেইন’। একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিজ্ঞাপন থেকে জানা যায়, আলোচিত সিনেমাটি কমপক্ষে ২৬টি দেশে মুক্তি পায়। এ ছাড়া প্রকাশ হয় আয়ের বিবরণও।
১৯৭৭ সালের ১১ মার্চ চিত্রালী সাময়িকীতে ছাপানো খবর বলা হয়, ‘দি রেইন’ ইতিমধ্যে ১৪ হাজার ৫০০ ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করেছে। সূত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয় এস এম শফির প্রতিষ্ঠান চিত্রাঞ্জলীর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
সেখানে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ব্রুনাইয়ে ‘দি রেইন’ ওই পরিমাণ অর্থ আয় করে।
এস এম শফি আরো জানান, এই ছবি পরবর্তী দুই মাসের মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত, পাকিস্তান, সৌদি আরবসহ আরো কয়েকটি দেশ থেকে ৮০ হাজার ডলার আয় করতে সক্ষম হবে। এ ছাড়া
কুয়েত, আফগানিস্তান, নেপাল ও মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে রফতানির ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা চলছে।
এ নির্মাতার অভিমত, সরকার যদি সাহায্য করেন তবে তিনি পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই ‘দি রেইন’ রফতানি করতে সক্ষম হবেন।
সব মিলিয়ে ওই সময় এক লাখ ডলার আয়ের সক্ষমতার কথা জানান এস এম শফি। যা মুদ্রাস্ফীতি অনুসারে বর্তমানে প্রায় ৫ লাখ ডলারের কাছাকাছি।
‘দি রেইন’ বহুভাষী হিসেবে নির্মিত হয়। ইংরেজি-উর্দু ভাষায় ডাবিং-এর পাশাপাশি আরবি সাবটাইটেল করা হয়। যার মধ্যে ইউটিউবে ঝিরঝিরে একটি উর্দু সংস্করণ পাওয়া যায়।
যতদূর জানা যয়, অবহেলার কারণে এ সিনেমার মূল নেগেটিভ নষ্ট হয়ে গেছে।
‘দি রেইন’-এ অভিনয় করেন ওয়াসিম ও অলিভিয়া। অন্যান্য ভূমিকায় আছেন কাজী মেহফুজুল হক, রোজী সামাদ ও সৈয়দ হাসান ইমাম প্রমুখ।
আনোয়ার পারভেজের সুরে ছবির প্রায় সব গানই পায় জনপ্রিয়তা। এর মধ্যে আছে চঞ্চল হাওয়ারে ও একা একা কেন ভালো লাগে না। ছবিটি দুটি জাতীয় পুরস্কার পায়। দুটিই কণ্ঠশিল্পী বিভাগে- মাহমুন্নবী ও রুনা লায়লা পান।