পরপর সুখবর, এবার জুরিখে ‘অন্যদিন…’
সেপ্টেম্বরে হতে যাওয়া দুটি উত্তর আমেরিকার চলচ্চিত্র উৎসব ক্যামডেন ও ভ্যানকুভারে আমন্ত্রিত হয়েছে কামার আহমাদ সাইমনের ‘অন্যদিন…’। এ খবর অনেকের জানা। নতুন খবরটি হলো, ক্যামডেনের উদ্দেশ্যে রওনা হবার পূর্বে একই মাসে পরপর তিনটি উৎসবে আমন্ত্রণ কামারকে ফেলেছে এক মধুর সমস্যায়।
সর্বশেষ সুইজারল্যান্ডের জুরিখ চলচ্চিত্র উৎসবে আমন্ত্রিত হয়েছে ‘অন্যদিন…’। উৎসবের গোল্ডেন আই পুরস্কারের জন্য প্রতিযোগিতা করবে ১৪টি চলচ্চিত্র, যার অন্যতম কামারের ছবিটি। ইতিমধ্যে উৎসবের অন্যদিন…-এর প্রদর্শনীতে উপস্থিত থাকতে ছবিটির নির্মাতা এবং প্রযোজককে আমন্ত্রণ জানিয়েছে উৎসব কর্তৃপক্ষ।
ভ্যানকুভার এবং জুরিখে উৎসবের তারিখ কাছাকাছি হওয়ায় ভ্যানকুভারের এত কাছে গিয়েও উৎসব কর্তৃপক্ষের আমন্ত্রণে সাড়া দিতে পারছেন না তিনি।
গত নভেম্বরে ওয়ার্ল্ড টপ-টেন ফেস্টিভ্যাল ইডফার মূল আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় আমন্ত্রণ পেয়েছিলো ‘অন্যদিন…’। বিশ্ব-অভিষেক হয়েছিলো দুনিয়ার সুন্দরতম থিয়েটার আমস্টারডামের পাথে তুসান্সকিতে।
ইডফা’র ওয়েবসাইটে ‘অন্যদিন…’কে লেখা হয়েছিলো ‘ক্যালাইডোস্কোপিক ও ফিলসফিক্যাল’।
এর আগে মার্চে নিউ ইয়র্কের মিউজিয়াম অফ মুভিং ইমেজ বা মমি’র ফার্স্ট লুক ফেস্টিভালে মাত্র ১৮টা নির্বাচিত ফিচারের মধ্যে প্রথম বাংলা ছবি ছিলো ‘অন্যদিন…’। মমি’র ওয়েবসাইটে ‘অন্যদিন…’ এর সেগমেন্টকে বর্ণনা করা হয়েছিলো ‘আর্টিস্টিক মাস্টারপিস’ হিসেবে।
গেল জুনে ছবিটি ছিলো সিডনি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে যেখানে অস্ট্রেলিয়ান সেগমেন্টে জুরির দায়িত্বেও ছিলেন কামার। অস্ট্রেলিয়ার লিডিং ফিল্ম ম্যাগাজিন ফিল্ম-ইংক তখন ‘অন্যদিন…’ নিয়ে লিখেছিল, “ছবিটা সবচাইতে বড় পর্দায় দেখানো উচিত”।
২০১৪’তে সানড্যান্স থেকে গ্রান্ট এওয়ার্ড জয় করে ‘অন্যদিন…’এর কাজ শুরু করলেও ছবির গল্প নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ কামার। এই ছবির স্ক্রিপ্টের জন্যই ২০১৬তে লোকার্নোতে প্রথম কোন বাংলাদেশী নির্মাতা হিসাবে পিয়াতজা গ্রান্দায় রেড কার্পেট ডিরেক্টরের সম্মাননা দেওয়া হয়েছিলো কামারকে। একইসাথে পেয়েছিলেন ওপেন ডোর্সে শ্রেষ্ঠ পুরষ্কার এবং আর্তে ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ। আর ২০১৭তে পেয়েছিলেন কান চলচ্চিত্র উৎসবের সিনফন্দেশিওনে এক্সক্লুসিভ আমন্ত্রণ।
দশ বছরের বেশি সময় ধরে একটা ওয়াটার ট্রিলজি বা জলত্রয়ীর কাজ করছেন কামার যেখানে প্রথম ছবি ‘শুনতে কি পাও!’ আর দ্বিতীয় ছবি ‘অন্যদিন…’ । লোকার্নোর ওপেন ডোর্স এবং জার্মানীর ডক-লাইপজিশের উদ্বোধনী ছবি ছিলো ‘শুনতে কি পাও!’ প্যারিসে সিনেমা দ্যু রিলে গ্রাপ্রি, মুম্বাই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে গোল্ডেন কোঞ্চ বা স্বর্ণশঙ্খ এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ আরও অনেক পুরষ্কার জয় করেছিলো ছবিটি।