পর্দায় মিসির আলী, দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলেন চঞ্চল
হুমায়ুন আহমেদের জনপ্রিয় দুই চরিত্র মিসির আলী ও হিমুর জন্য দর্শকের মনে ধরার মতো অভিনেতা পাওয়া আসলেই দুস্কর। এবার সেই চ্যালেঞ্জটি নিলেন চঞ্চল চৌধুরী।
প্রয়াত লেখকের আলোচিত উপন্যাস ‘দেবী’ থেকে সরকারি অনুদানে একই নামে তৈরি হচ্ছে ছবিটি।
মিসির আলী চরিত্রে রূপদান প্রসঙ্গে বাংলানিউজকে চঞ্চল বলেন, ‘হুমায়ুন আহমেদের লেখা এই উপন্যাসটি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেই পড়েছিলাম। অন্য পাঠকদের মতোই মিসির আলীর প্রতি আমার আগ্রহ আছে। এমন একটি চরিত্র সিনেমায় ফুটিয়ে তোলা বেশ চ্যালেঞ্জের। আমি সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছি। অবশ্য এই সিদ্ধান্ত নিতে আমার সময় লেগেছে।’
তিনি আরো বলেন, “আয়নাবাজি’ সফল হওয়ার পর ভেবেছিলাম বছর দুয়েকের মধ্যে ছবি করবো না। সেই অর্থে নাটকের কাজও কমিয়ে দিয়েছিলাম। মিসির আলী চরিত্রে অভিনয় করবো কী করবো না এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলাম। রাজি হওয়ার পর থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
চঞ্চল জানান, চরিত্রটি ঠিকভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য মনযোগী হয়েছেন তিনি। টেলিভিশনের কেউ কেউ এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন। চঞ্চল তাদেরকে মাথায় রাখছেন না। তিনি বলেন, ‘লেখকের ভাবনার মতোই হওয়া চাই চরিত্রটি। এ ক্ষেত্রে আমি কিছুটা নতুনত্ব যোগ করার চেষ্টা করবো।’
‘দেবী’র রানু চরিত্রে অভিনয় করবেন জয়া আহসানঅভিনয়ের পাশাপাশি ছবিটির প্রযোজক হিসেবেও থাকছে জয়ার নাম।
সহশিল্পী জয়াকে মূল্যায়ন করে চঞ্চল বলেন, ‘নিঃসন্দেহে জয়া বাংলাদেশের শীর্ঘ অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম। দেশের বাইরেও তিনি জনপ্রিয়। তার মতো অভিনেত্রীর সঙ্গে বড়পর্দায় কাজ করার অভিজ্ঞতা অন্যরকম হবে বলেই মনে করি।’
‘দেবী’ পরিচালনা করবেন অনম বিশ্বাস।