পায়ের ছাপের জন্য অস্ট্রেলিয়ার রাখি এখন ঢাকায়
২০১০ সালের লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার খেতাবজয়ী রাখি মাহবুবার প্রথম সিনেমার নাম ‘পায়ের ছাপ’। অথচ বিজয়ী হওয়ার সূত্রে সিনেমায় অভিনয় করার কথা ছিল এক দশক আগেই।
নাটক, টেলিছবি, বিজ্ঞাপনচিত্র এবং গানের ভিডিওতে ব্যস্ত হওয়ার এক পর্যায়ে পড়াশোনার জন্য পাড়ি জমান অস্ট্রেলিয়ায়। আট বছর পর গত ২৭ মার্চ দেশে ফিরেছেন। এরপর ১১ এপ্রিল থেকে শুরু করেন প্রথম ছবির শুটিং।
পরিচালনার পাশাপাশি এই ছবির কাহিনি, সংলাপ ও চিত্রনাট্য সাইফুল ইসলাম মান্নুর। সিনেমাটি বানাতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকায় এসেছেন পরিচালক। এসেই রাখিসহ অন্য অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে এক সপ্তাহের মহড়ায় অংশ নেন তিনি।
প্রথম আলোকে রাখি জানালেন, এক মাস শুটিং করলেই শেষ হবে এই ছবির কাজ। তিনি বললেন, ‘বাংলাদেশে আর্ট হাউসের একটা ফিল্মে কাজ করার চিন্তা ছিল। এটা তেমনই, ভালো একটা বার্তা আছে। মেয়েদের কীভাবে এমপাওয়ার্ড করা যায়, তা–ই রয়েছে এই গল্পে; যা আমার জীবনেরই লক্ষ্য। তাই এমন একটি গল্প নিয়ে আমি খুবই হ্যাপি। এই পরিচালকের সঙ্গে আমার আগের কাজের অভিজ্ঞতাও অসাধারণ। তিনি সর্বশেষ “পুত্র” নামের যে ছবি বানিয়েছেন, তা ১১টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে। এ রকম একজন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালকের সঙ্গে কে না কাজ করতে চায়। তা ছাড়া ছবিটি ইমপ্রেস টেলিফিল্ম থেকে তৈরি। সব মিলিয়েই সিনেমাটিতে অভিনয় করতে রাজি হয়েছি।’
২০১৩ সালে রাখি মাহবুবা প্রকৌশল বিষয়ে স্নাতক করার জন্য পাড়ি জমান অস্ট্রেলিয়ায়। দেশটির পার্থের এডিথ কোয়ান ইউনিভার্সিটিতে (ইসিইউ) পুরকৌশলে স্নাতক করেন। তিনি বললেন, ‘অস্ট্রেলিয়াতেও আমি মিউজিক ভিডিও এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয়। ওখানে পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও ক্যামেরা ছেড়ে যেতে পারিনি।’
এত দিন পর দেশে পূর্ণাঙ্গ একটি সিনেমার শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা কেমন, জানতে চাইলে রাখি বলেন, ‘অনেক কষ্ট হচ্ছে। নয়টা–পাঁচটা চাকরি করা আর শুটিংয়ের পার্থক্য অনেক। প্রথম দিন একটা গার্মেন্টসে শুটিং করেছি। সেদিন আবার খুব গরম ছিল। শুটিংয়ের জন্য আবার ধোঁয়ার ব্যবহার ছিল। সবকিছু মিলে বেশ কষ্টে কেটেছে। আস্তে আস্তে সবকিছুর সঙ্গে মানিয়ে নিতে হচ্ছে।’