পূর্ণিমার প্রশিক্ষক ফেরদৌস
# ‘গাঙচিল’ চলচ্চিত্র এনজিওকর্মী চরিত্রে দেখা যাবে পূর্ণিমাকে
# সিনেমাটির জন্য স্কুটি চালানো শিখছেন নায়িকা। তার প্রশিক্ষক সহশিল্পী ফেরদৌস
# দশদিন চলবে প্রশিক্ষণ
# এ দুই তারকা নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুলের দুটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ
পরপর দুটি সিনেমায় অভিনয় করবেন পূর্ণিমা ও ফেরদৌস। এর মধ্যে একটিতে স্কুটি চালাতে হবে নায়িকাকে, কিন্তু এ বিদ্যা তার রপ্ত নেই। তাই প্রশিক্ষক হয়েছে ফেরদৌস। ঢাকার ফ্লাইং ক্লাবের পাশের একটি রাস্তায় শুক্রবার বিকেলে পূর্ণিমাকে স্কুটি চালানো শিখানো শুরু করেন তিনি। একটানা ১০ দিন চলতে তালিম।
‘গাঙচিল’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য পূর্ণিমাকে স্কুটি চালানো জানতে হবে। ছবিটি পরিচালনা করছেন নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল।
স্পটে গিয়ে দেখা যায়, পূর্ণিমা একটি স্কুটিতে বসে আছেন। পাশে থেকে চালানোর কৌশল শিখিয়ে দিচ্ছিলেন ফেরদৌস। একটু পরপর দৌড়ে আসছেন পরিচালকও।
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ‘গাঙচিল’ ছবির শুটিং শুরুর কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে পূর্ণিমা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় শুটিং পিছিয়ে দেন নির্মাতা।
‘গাঙচিল’-এ পূর্ণিমা এনজিওকর্মী আর ফেরদৌস সাংবাদিক চরিত্রে অভিনয় করবেন। ফেরদৌসের চরিত্রের নাম সাগর আর পূর্ণিমার মোহনা। নোয়াখালীর সুবর্ণচরের বাসিন্দাদের জীবনের নানা ঘটনা এই ছবির প্রধান উপজীব্য। এটি নির্মিত হচ্ছে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে।
স্কুটি চালানোর প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে পূর্ণিমা বলেন, ‘আমি জীবনে কোনো দিন সাইকেল আর স্কুটি চালাইনি। আজই প্রথম উঠলাম। শুরুতে কিছুটা ভয় ছিল, কাত হয়ে পড়ে যাবে না তো। আস্তে আস্তে ফেরদৌস ভয় দূর করতে পেরেছেন। পুরোপুরি শিখতে কত দিন যে লাগবে, বুঝতে পারছি না।’
আরও বলেন, ‘বেশ কিছুদিন বিরতির পর একসঙ্গে দুটি ছবিতে সাইন করেছি। দুটি ছবিরই পরিচালক একজন। এখন কিন্তু ছবি বানানোর পুরো পদ্ধতিই বদলে গেছে, যা আমাদের এখানে আগে পাইনি। এখন সিনেমা বানানোর আগেই অনেক কিছু করা হচ্ছে। স্ক্রিপ্ট নিয়ে অনেকবার বসা হচ্ছে। সুন্দরভাবে ছবির কাজ শেষ করার প্রস্তুতি শিল্পীদের সঙ্গে আলোচনা করে শুটিং শুরুর আগে নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টিকে দারুণ ইতিবাচক মনে হয়েছে।’
সূত্র : প্রথম আলো