প্রচারণার শুরুতেই ‘ডুব’ হিট
সপ্তাহ দুয়েক আগে ‘ডুব’ সিনেমার আবহ সঙ্গীতের কাজে মুম্বাই অবস্থান করছিলেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তখন ফেসবুকের মাধ্যমে জানান, শীতে আসছে ‘ডুব’। ইঙ্গিত দেননি প্রচার-প্রচারণা শুরুর। তার কয়েকদিন পর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছাড়াই শুরু হয়ে গেল প্রচারণা।
কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা জানালো, হুমায়ূন আহমেদের জীবনী অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ‘ডুব’। তার ফাঁদে পড়লেন হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন।
প্রচারণার কাজ প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বা পরিচালকের— তাহলে আনন্দবাজার পত্রিকার খবরের উৎসও কী তারা? এ প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই ওই প্রতিবেদনে। এমনকি প্রতিবেদনের অন্য কোনো সুত্রের হদিস নেই।
একজন বিশিষ্ট ব্যক্তির জীবনী থেকে নেওয়া কাহিনী বলে একটা উদ্ধৃতি আছে। তাও আবার কলকাতার নায়িকা পার্নো মিত্রের।
মজার বিষয় হলো— এরপর নির্মাতা ফারুকী ফেসবুক স্ট্যাটাসসহ একাধিক মিডিয়ায় জানিয়েছেন, হুমায়ূন আহমেদের বায়োপিক বানাচ্ছেন না তিনি। তবে হুমায়ূন জীবন থেকে প্রভাবিত কিনা— তার সরাসরি উত্তর দেননি। উল্টো জানিয়ে দিলেন হুমায়ূনও অন্যের জীবন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে গল্প লিখেছেন।
সিনেমাটির সমীকরণ মেলানো হচ্ছে এভাবে— ইরফান খান হয়েছেন হুমায়ূন, তিশা হয়েছেন শিলা আহমেদ। হুমায়ূনের প্রথম স্ত্রীর ভূমিকা রোকেয়া প্রাচী ও দ্বিতীয় স্ত্রী পার্নো মিত্র।
শিলা আহমেদ জানান, সিনেমাটি তার বাবার বায়োপিক না হয়ে প্রভাবিত কিছু হলে তার বলার কিছু নেই। অন্যদিকে শাওনের ভাষ্য, প্রভাবিত কিনা স্পষ্ট জানাতে হবে ফারুকী। যদি কোনো মিল পান আইনের আশ্রয় নেবেন।
‘ডুব’ প্রযোজনা করছে জাজ মাল্টিমিডিয়া, ভারতের এসকে মুভিজ ও ইরফান খান। এর শুটিং হয়েছে বাংলাদেশে, বেশির ভাগ অভিনেতা-অভিনেত্রীও এ দেশে।
অনেকে বলছেন ‘ডুব’ এর প্রচারণার জন্য আনন্দবাজার পত্রিকাকে বেছে নেওয়া বুদ্ধির কাজ হয়েছে। পত্রিকাটি বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ও গুজব নির্ভর সংবাদ প্রকাশে সিদ্ধহস্ত। বাংলাদেশের প্রথম সারির কোনো পত্রিকা সাধারণত সূত্র ছাড়া এ ধরনের খবর ছাপে না।
তবে কেউ কেউ প্রচারণার মাধ্যমের সমালোচনাও করছেন। তাদের মতে, বাংলাদেশের নির্মাতাদের ভারতমুখীতার আরেকটি নজির স্থাপন করল ‘ডুব’।
সব মিলিয়ে মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত ‘ডুব’ নিয়ে আলোচনা চলতে থাকবে। নির্মাতাও জানাবেন না তিনি প্রভাবিত হয়েছিলেন কিনা। সেটা যাচাই করার জন্য দর্শক যাবেন সিনেমা হলে। তারপর মিল-অমিলের সমীকরণে চলবে আলোচনা।